মেহেদী হাসান, ১৮/৯/২০১২
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে পঞ্চম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা খসরুল আলমের জেরা আজ সোমবার শেষ হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টম্বর তার জবানবন্দী শেষে আংশিক জেরা হয়। আজ তাকে জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী।
জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় “বিপদ সাহা আপনার কাছে তার ক্ষতির কথা বলেছে বলে উল্লেখ করেছেন আপনি। তার কি ক্ষতি হয়েছিল?”
জবাবে সাক্ষী বলেন, তার আর্থিক ক্ষতি হয়নি। সামাজিক এবং মানসিক ক্ষতি হয়েছিল। পিস কমিটির সেক্রেটারি মোসলেম মাওলানা বিপদ সাহার মেয়েকে নিয়ে বিপদ সাহার বাড়িতে থাকত মুক্তিযুদ্ধের সময়।
এর আগে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষেরও একজন সাক্ষী জেরার সময় বলেছেন, বিপদ সাহার মেয়েকে নিয়ে বিপদ সাহার বাড়িতে থাকত মোসলেম মাওলানা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যে বিচার বর্তমানে চলছে তাতে একটি আলোচিত চরিত্র ভানু সাহা । ভানু সাহাকে জড়িয়ে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজাকার, পিস কমিটির লোকজন এবং পাক আর্মির বিরুদ্ধে আদালতে পরষ্পর বিরোধী সাক্ষ্য দিয়েছেন সাক্ষীরা।
আদালতে সাক্ষীদের দেয়া তথ্য এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে ভানু সাহার পিতার নাম বিপদ সাহা। । ১৯৭১ সালে পিরোজপুর পাড়েরহাট বাজারে বিপদ সাহা তার মেয়ে ভানু সাহাকে নিয়ে বাস করতেন। । পাড়েরহাট বাজারে তাদের একটি দোকান ছিল এবং দোকানের পেছনেই ছিল তাদের বসবাসের ঘর। ভানু সাহা তখন বয়সে তরুনী ছিল ।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষী তাদের জবানবন্দীতে ভানু সাহাকে ধর্ষনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। ধর্ষনের বিষয়ে তিনজন সম্পূর্ণ তিন রকম কথা বলেছেন।
যেমন, গত বছর ৮ ডিসেম্বর মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, ভানু সাহা ও ছবি রায়সহ আরো অনেক মেয়েদের পাক আর্মি শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের সাথে নিয়ে ধর্ষন করত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে। ভানু সাহাকে দীর্ঘ কয়েক মাস আটকে রেখে পাক আর্মি উপর্যপুরী ধর্ষন করে।
গত বছর ২৭ ডিসেম্বর মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পঞ্চম সাক্ষী মাহতাব উদ্দিন হাওলাদার জেরার সময় জানান, পাড়েরহাটে বিপদ সাহার মেয়েকে নিয়ে বিপদ সাহার বাড়িতেই বাস করতেন পিস কমিটির নেতা মোসলেম উদ্দিন মাওলানা। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাকে প্রশ্ন করেন, ভানু সাহাকে মোসলেম মাওলানা বিয়ে করে জামাই হিসেবে থাকতেন কি-না। তখন মাহতাব উদ্দিন বলেন, বিয়ে করেছিল কিনা বলতে পারবনা। তবে গন্ডগোলের সময় ভানু সাহাকে নিয়ে মোসলেম মওলানা থাকতেন বিপদ সাহার বাড়িতে। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী সাক্ষীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মোসলেম উদ্দিন মাওলানা বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তিনি পিরোজপুর ওলামা লীগের সভাপতি এ বিষয়টি জানেন কি-না? সাক্ষী ‘সত্য নয়’ বলে জবাব দেন।
এ দুজন সাক্ষী ভানু সাহাকে ধর্ষন বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর নাম বলেননি। কিন্তু ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ সাক্ষী সুলতান আহমদ হাওলাদার আদালতে ভানু সাহা প্রসঙ্গে বলেন, মাওলানা সাঈদী ভানু সাহাকে নিয়মিত ধর্ষন করত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে।
মোসলেম মাওলানার খপ্পরে ভানু সাহা
পাড়েরহাট সূত্র জানায় মোসলেম মাওলানা একটি লাঠি হাতে নিয়ে পারেরহাট বাজারে ঘোরাফেরা করত। বাজারে মাতব্বরী খবরদারী করত। উর্দু ভাষা ভাল জানায় তিনি পাক আর্মিদের সাথে সবরকম যোগাযোগ করতেন এবং তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। পারের হাটে পিস কমিটি গঠনে ভূমিক পালন এবং পাক আর্মির সাথে সম্পর্কের কারনে তখন পারেরহাটের একচ্ছত্র নেতায় পরিণত হন তিনি।
পাড়েরহাট বাজারে নিয়মিত যাতায়াতের সুবাদে মোসলেম মাওলানার চোখ পড়ে বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহার ওপর। মোসলেম মাওলানা ভানুসাহাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় বিপদ সাহার ওপর। বিপদ সাহা তখন মোসলেম মাওলানাকে তার বাড়িতে ওঠাতে বাধ্য হন তার প্রভাবের কারনে। সেই সুযোগে মোসলেম মাওলানা ভানু সাহার সাথে একত্রে বসবাস করে। মোসলেম মাওলানার প্রভাবে এবং পাক আর্মিদের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিপদ সাহা এবং তার ছেলেরা তখন মাথায় টুপি পরে বাজারে যাতায়াত করত। মাঝে মাঝে মসজিদে গিয়ে নামাজও পরত। বাজারের লোকজন তখন মনে করত মোসলেম মাওলানা ভানুসাহা এবং তার পরিবারের সবাইকে মুসলমান বানিয়েছে এবং ভানু সাহাকে বিয়ে করে তার সাথে বাস করছে। তবে বিয়ে হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধারা ভানু সাহাকে উদ্ধার করে। এরপর তারা সবাই আবার নিজ ধর্মে ফিরে যায় সবাই ভারতে চলে যায়।
মোসলেম মাওলানার একচ্ছত্র প্রভাবের কারনে এবং পারেরহাট বাজার তাদের নিয়ন্ত্রনে থাকায় তখন ভানু সাহার সাথে বসবাস নিয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলার সাহস পায়নি। সবাই তখন তাকে ভয় করে চলত।
কে এই মোসলেম মাওলানা?
পিরোজপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বইয়ের ৪১২ পৃষ্ঠায় স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মোসলেম মাওলানার অপকর্মের বিষয়ে উল্লেখ আছে। মোসলেম মাওলানা ১৯৬৯ সালে ঢাকা রেসিডেন শিয়াল মডেল স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি এলাকায় চলে আসেন। তার গ্রাম বাদুরায়। পাড়েরহাটে পাক আর্মি আসার আগেই মোসলেম মাওলানার নেতৃত্বে সেখানে পিস কমিটি গঠন করা হয়। পিস কমিটির সভাপতি করা হয় রাজলক্ষী স্কুলের সাবেক শিক্ষক এবং পরবর্তীতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দানেশ মোল্লাকে। সেক্রেটারি করা হয় সেকেন্দার শিকদারকে। তবে পিস কমিটি পরিচালনার কাজ করেন মোসলেম মাওলানা।
স্বাধীনতার পরপরই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় মোসলেম মাওলানা। এরপর এরশাদের সময় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। আশ্রয় নেন জমিয়তুল মোদাররেছীনের তলে। পরবর্তীতে জড়িত হন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সঙ্গঠন ওলামা লীগের সাথে।
আজ খসরুল আলমকে জেরা :
প্রশ্ন : আপনারা কয় ভাই?
উত্তর : তিন ভাই।
প্রশ্ন : অন্য দুজন কি আপনার বড় না ছোট?
উত্তর : বড়। বড় ভাই মারা গেছে।
প্রশ্ন : দ্বিতীয় জন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কি করতেন?
উত্তর : সাংসারিক কাজকর্ম করতেন। বর্তমানে সে অসুস্থ। বিছানায় শায়িত।
প্রশ্ন : বড় জন কি করতেন তখন?
উত্তর : তিনিও সাংসারিক কাজকর্ম করতেন। নিম্ন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কি বিবাহিত ছিলেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : তার তখন সন্তান ছিল?
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : আপনি ছাত্রলীগ করতেন বলেছেন। ছাত্রলীগে কিভাবে সদস্য হতে হয় বা অন্তর্ভুক্ত হতে হয়?
উত্তর : আমরা স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগ করতাম। ছাত্রলীগের নেতারা পশ্চিম পাকিস্তানের শোসনের কথা আমাদের বলতেন। বোঝাতেন। এভাবে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত হই। ওয়াদাপত্রে সই করি।
প্রশ্ন : ওয়াদাপত্রে কি লেখা ছিল?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : ছাত্রলীগের স্লোগান কি ছিল মনে আছে?
উত্তর : স্কুলে থাকতে আমরা ছাত্রলীগের সমর্থক ছিলাম। কলেজে যাবার পর সদস্য হই।
প্রশ্ন : কলেজে যাবার পর ছাত্রলীগের স্লোগান কি ছিল মনে আছে?
উত্তর : তখন ছাত্রদের শিক্ষা, বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতেন । সমস্যার সমাধানের কথা বলতেন। স্লোগান কি ছিল স্মরন নেই।
প্রশ্ন : আপনি ছাত্রলীগ করতেন এটা সঠিক বলেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ছাত্রলীগের কোন ওয়াদাপত্র তখন ছিলনা।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের পরে লেখাপড়া কতদূর করেছেন?
উত্তর : বিকম পরীক্ষা দিয়েছি মোড়েলগঞ্জ কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে।
প্রশ্ন : পরীক্ষার পর কোথায় ছিলেন?
উত্তর : মোড়েলগঞ্জে ছিলাম। পারেরহাট আসতাম। ঢাকাও আসা যাওয়া ছিল।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের পর আজ পর্যন্ত আপনি দেশের বাইরে গেছেন?
উত্তর : ১৯৮৫ সালে আমি সৌদি আরব যাই। ২০ বছর পর দেশে আসি ২০০৪ সালে।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের পর কোন এক অস্ত্র মামলার আসামী আপনার নাম বলেন। সে কারনে আপনি সৌদি আরব পালিয়ে যান।
উত্তর : নাউজুবিল্লাহ।
প্রশ্ন : সৌদি আরব কি করতেন?
উত্তর : চাকরি করতাম । এয়ার ডিফেন্স এর সিভিল প্রজেক্টে চাকরি করেছি।
প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের পরে একটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড গঠন করে তা জানা আছে?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনার কয়টা পাসপোর্ট?
উত্তর : ২টা।
প্রশ্ন : বিয়ে করেছেন কোন সালে?
উত্তর ” ১৯৭৮ সালে।
প্রশ্ন : আপনার শশুর কোথায় থাকত কি করত?
উত্তর : পিরোজপুরে তার স্বর্নের দোকান ছিল।
প্রশ্ন : তারা কি বংশপরম্পরায় পিরোজপুর থাকত?
উত্তর : তারা ভারত থেকে এসেছেন। আমার শশুরের আবার সাথে শশুর এসেছেন। তখন তিনি ছোট ছিলেন।
প্রশ্ন : তারা বাংলাভাষী নন।
উত্তর : তারা বাংলাভাষী এবং বাংলায় কথা বলেন।
প্রশ্ন : পারিবারিকভাবে আপনার শশুর পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন এবং এখনো আছেন।
উত্তর : সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।
প্রশ্ন : শামসুল আলম তালুকদার (মাওলানা সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী) মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন দল করতেন?
উত্তর : ছাত্র ইউনিয়ন, ভাসানী ন্যাপ গ্রুপ।
প্রশ্ন : তার সাথে তখন আপনার সম্পর্ক কেমন ছিল?
উত্তর : ভাল।
প্রশ্ন : ভাসানী ন্যাপের দুটি গ্রুপ ছিল। একটি অংশ মুক্তিযুদ্ধ সমর্থক ছিল আরেকটি অংশ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল। শামসুল আলম তালুকদার ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী গ্রুপের লোক।
উত্তর : সত্য নয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গ্রুপের লোক ছিলেন।
প্রশ্ন : শঙ্কর পাশার আইউব আলীকে চেনেন?
উত্তর : স্বাধীনতার পর আইউব আলী বেওনেটসহ গ্রেফতার হয়।
উত্তর : শুনেছি।
প্রশ্ন : আইউব আলী গ্রেফতারের পর আপনি ঢাকায় চলে আসেন।
উত্তর : সম্পূর্ণ মিথ্যা।
প্রশ্ন : আপনি কোথায় ছিলেন?
উত্তর : মোড়েলগঞ্জে।
প্রশ্ন : ঢাকায় চাকরির জন্য কবে আসেন?
উত্তর : ১৯৭৭ সালে।
প্রশ্ন : আপনি আত্মগোপনের জন্য ঢাকায় আসেন।
উত্তর : সস্পূর্ণ বানোয়াট।
প্রশ্ন : আপনি বলছেন ক্যাম্পে ১৫/১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। তাদের কয়েকজনের নাম বলেন।
উত্তর : মোকাররম হোসেন কবির, আব্দুল গনি পসারী, সেলিম খান, আব্দুস সালাম পশারী, আব্দুস সোবহান, মিজানুর রহমান তালুকদার, অনেক পরে আসেন রুহুল আমিন নবিন, তার চাচাত ভাই শাহ আলম প্রথম থেকে আমাদের সাথে ছিল।
প্রশ্ন : বিপদসাহা আপনার কাছে তার ক্ষতির কথা বলেছে বলে বলছেন আপনি। তার কি ক্ষতি হয়েছিল?
উত্তর : তার আর্থিক ক্ষতি হয়নি। সামাজিক এবং মানসিক ক্ষতি হয়েছিল। পিস কমিটির সেক্রেটারি মোসলেম মাওলানা বিপদ সাহার মেয়েকে নিয়ে বিপদ সাহার বাড়িতে থাকত মুক্তিযুদ্ধের সময়।
প্রশ্ন : আপনি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পারেরহাট ক্যাম্পে ছিলেন বলেছেন। তখন পর্যন্ত মোসলেম মাওলানাকে পাননি।
উত্তর : পাইনি কারণ সে পলাতক ছিল।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা গ্রেফতার হওয়ার কথা শুনেছেন?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : সাঈদী সাহেবের ছেলেরা কে কোথায় লেখাপড়া করেছেন জানেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : সাঈদী সাহেবের দেশে কোথায় কি সম্পদ আছে জানেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের আগে তার কি সম্পদ ছিল?
উত্তর : পৈত্রিক সূত্রে কিছু সম্পদ ছিল।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের সময় তার কয় সন্তান ছিল?
উত্তর : সম্ভবত দুই ছেলে।
প্রশ্ন : আপনার বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার সময় কয়জন রাজাকার ছিল?
উত্তর : একজন। মহসিন রাজাকার। সাথে পাঞ্জাবী সেনারা ছিল।
প্রশ্ন : আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেননা। সে কারনে আপনার সনদ বাতিল হয়েছে এবং তালিকা থেকেও নাম বাদ হয়েছে।
উত্তর : বানোয়াট, মিথ্যা।
প্রশ্ন : রাজলক্ষী স্কুলে আর্মি থাকত মানে কি বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর : মাঝে মাঝে তারা আসত। রাত্রি যাপন করত মাঝে মাঝে।
প্রশ্ন : পারেরহাট ও শঙ্করপাশায় কোন নারী ধর্ষিত হয়নি বলে যে কথা বলেছেন তা সত্য নয়।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : আপনি এখন জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
উত্তর : মোটেই সত্য নয়।
প্রশ্ন : জামায়াতের অর্থানুকুল্যে আপনি সৌদিআরব গেছেন। তাদের সহায়তায় আপনি জীবন যাপন করেন বলে জামায়াতের নেতা মাওলানা সাঈদী সাহেবের পক্ষে সত্য গোপন করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেন আপনি।
উত্তর : সত্য নয়।
ট্রাইব্যুনাল (১) চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, মনজুর আহমদ আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন