15/9/2012
দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (এমসি) জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে আজ সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার পক্ষে কোন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত ছিলেননা। টাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী একজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নিয়ম।
মীর কাসেম আলীর পক্ষে আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। কোর্টের আদেশ অনুযায়ী দুই দিন আগে আইনজীবীকে জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে জানাতে হবে। আইনজীবী না জানিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থা কোর্টের আদেশ ভঙ্গ করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনব। তাজুল ইসলাম বলেন যেহেতু আমাদের জানানো হয়নি তাই আমরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত হয়নি।
মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বলেন, পরিবারকেও জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে আগে কিছু জানানো হয়নি। সকালে ধানমন্ডিস্থ সেফ হোমে তার পিতাকে নেয়ার পর সেফ হোম থেকে পরিবারে ফোন করে বলা হয়েছে মীর কাসেম আলীর কিছু গরম কাপড় দরকার। তাকে সেফ হোমে আনা হয়েছে। । তখনই পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে অবহিত হয়েছে বলে জানান সেফ হোমের সামনে অপক্ষেমান মীর আহমাদ।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা গত ৯ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়ে জানিয়েছি জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়ে । । তারা কেন জানায়নি সেটা বলতে পারবনা। কোন এক জায়গায় গ্যাপ হয়েছে হয়ত।
আব্দুল হান্নান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরো জিজ্ঞাসাবাদের দরকার। সেজন্য তারা এক অথবা দুইদিনের সময় চেয়ে আবেদন করবেন ট্রাইব্যুনালের কাছে। আব্দুল হান্নান খান সেফ হোমের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের জানান, তিনিসহ তদন্ত সংস্থার আরো কয়েকজন মিলে একটি টিম গঠন করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মীর কাসেম আলীকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকাল সাড়ে ছয়টায় সেফ হোম থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৮ জুলাই ট্রাইব্যুনাল (১) মীর কাসেম আলীকে একদিনের জন্য সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করে আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়েছিল যেদিন তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তার দুইদিন আগে তা নোটিশ দিয়ে মীর কাসেম আলীর আইনজীবীকে জানাতে হবে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেখানে একজন ডাক্তার তার পক্ষে একজন আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। আব্দুল হান্নান খান বলেন একজন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন। কোন সমস্যা হয়নি।
গত ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে ট্রাইব্যুনালের আদেশে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মেহেদী হাসান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন