সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মাওলানা সাঈদীর পক্ষে তৃতীয় সাক্ষী পাড়েরহাট রাজাকার ক্যাম্প, পিস কমিটি অফিস এবং লুটপাটের ঘটনায় সাঈদী সাহেবকে দেখিনি


১০/৯/২০১২
মেহেদী হাসান
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে আজ  তৃতীয় সাক্ষী জবানবন্দী দিয়েছেন। তার নাম নুরুল হক হাওলাদার। নুরুল হক হাওলাদার  তার জবানবন্দীতে বলেন, ১৯৭১ সালে  স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তিনি পাড়েরহাট বাজারে  তাদের বাড়িতে ছিলেন। পাড়েরহাট বাজারে রাজাকার ক্যাম্প, শান্তি কমিটির অফিসে কারা যেত  তাদের তিনি দেখেছেন। কিন্তু এদের মধ্যে তিনি কখনো মাওলানা সাঈদীকে দেখেননি। তাছাড়া পাড়েরহাট বাজারে আর্মি আসার পর কারা  দোকানপাট লুটপাট করেছে তাও দেখেছেন। কিন্তু এ লুটপাটের ঘটনাও তিনি মাওলানা সাঈদীকে দেখেননি।

মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষী  মাহবুবুল আলম হাওলাদার গত ৭ ডিসেম্বর তার জবানবন্দীতে তাদের বাড়ি লুটের অভিযোগ করেছিলেন । এ বিষয়ে সাক্ষী নুরুল হক গতকাল বলেন, ৪০ বছরে কোনদিন শুনিনাই তাদের বাড়ি লুট হয়েছে। মাহবুবু আলম আমার ভগ্নিপতির ভাগনে এবং ফুফাত ভাইয়ের চাচাত ভাই। তাদের বাড়ি আমার ছোটবেলা থেকে যাওয়া আসা ছিল। সাক্ষী নুরুল হক তার ফুফাত ভাইকে উদ্ধৃত করে  বলেন, বড় রকমের স্বার্থ আদায়ের জন্য মাহবুুব  সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। শুনেছি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলার পর সে দোতলা বাড়ি  করছে। একতলার কাজ শেষ হয়েছে।

সাক্ষীর জবানবন্দী :
আমার নাম মোঃ নুরুল হক হাওলাদার, বয়স  ৬০ বছর।  আমি আমার কলার ক্ষেত পরিচর্যা করি এবং কৃষি জমি দেখাশুনা করি। আমি ট্রাইব্যুনালে এসেছি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের পক্ষে সত্য সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। আমি ১৯৬৯ সালে পাড়েরহাট বন্দর নিজ বাসায় বসবাস করতাম। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম দিকে ফকির দাসের বিল্ডিংয়ে পিস কমিটি অফিস করে। ঐ অফিস আমাদের বাসা থেকে ১০০/১৫০ গজ দূরে হবে। ঐ অফিসে আমি সব সময় দেখেছি সেকেন্দার শিকদার, দানেশ মোল্লা, মোসলেম মওলানা, হাজী আব্দুল গণি গাজি, শফিক উদ্দিন মৌলভী, আসমত আলী মুন্সিদেরকে। ঐ অফিসে আমি কখনও সাঈদী সাহেবকে দেখি নাই। ১৯৭১ সালের জৈষ্ঠ্য মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে পাড়েরহাট রাজলক্ষী হাইস্কুলের দোতলায় আবার একটি রাজাকার ক্যাম্প করে। ঐ রাজাকার ক্যাম্পে আমি দেখেছি রাজাকার আব্দুল হালিম, মশিউর রহমান, সুলতান, ইছহাক, সোলায়মানদেরকে। আমি ঐ রাজাকার ক্যাম্পে কখনও সাঈদী সাহেবকে দেখি নাই।
১৯৭১ সালে বৈশাখ মাসের শেষের দিকে পাক আর্মিরা পাড়েরহাটে আসে। এসে তারা ৫/৬ টি দোকান লুট করে। ঐ দোকানগুলির মালিক ছিলেন মাখন সাহা, মদন সাহা, নারায়ন সাহা, বিজয় মাষ্টার এবং গৌরাঙ্গ পাল। তারা লুট করে পিরোজপুরে চলে যায়। সেকেন্দার শিকদার, দানেশ মোল্লা, মোসলেম মওলানা হাজি গণি গাজী, আসমত আলী মুন্সি তাদের সাথে ছিল। সাঈদী সাহেবকে কোথাও দেখি নাই। তার পরদিন বাসায় বসে বাহিরে শোরগোল শুনি। আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে অনেক লোক দেখতে পাই, তাদের সংগে পাক আর্মিও ছিল। পূর্বে যারা ছিল ঐদিনও পাক বাহিনীর সংগে তারা ছিল। তারা যখন আমাদের বাসা অতিক্রম করে দক্ষিণ দিকে যায় তখন আমি ঐ লোকজনের পিছনে ছিলাম। তারপর দেখি তারা পাড়েরহাট ব্রিজ পার হয়ে বাদুরা গ্রামে যাইতেছিল। আমি ঐ ব্রিজের গোড়ায়  একটি দোকানের আড়ালে ছিলাম। দেখি তারা আওয়ামী লীগের নেতা নুরু খাঁ এর বাড়িতে ঢুকছে। কিছুক্ষণ পর দেখলাম যে, দাউ দাউ আগুন জ্বলছে। তারপর তারা বাহির হয়ে আবার দক্ষিন দিকে যাইতেছে। এর আধাঘন্টা পর দেখি যে, ধোয়ার কুন্ডলী আকাশের দিকে উঠিতেছে। আনুমানিক ঘন্টা খানেক পরে তারা আবার ব্রিজ পার হয়ে পিরোজপুর চলে যায়।
টেংরাখালীর মাহবুব আলম হাওলাদার আমার ভগ্নিপতির আপন ভাগ্নে। আরেকদিকে তিনি আমার আপন ফুফাতো ভাইয়ের চাচাতো ভাই। সেই হিসাবেও তিনি আমারও ভাই। ফুফাতো ভাইয়ের ঘর ও মাহবুব আলম হাওলাদারের ঘর পাশাপাশি। ছোট বেলা থেকেই ঐ বাড়িতে আমাদের যাওয়া আসা ছিল। ৪০ বৎসরের মধ্যে আমি কোন দিন শুনি নাই যে, তাদের বাড়ি লুট হয়েছিল। আমি শুনি যে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে তিনি একটি মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পরে আমি তার বড় ভাই বাতেন হাওলাদারের নিকট জিজ্ঞাসা করি, ভাইডি মাহবুব তো সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে কেস করল। বাতেন হাওলাদার উত্তরে বলে, ওকথা বলো না, বললে আমার লজ্জা করে, আমাদের বাড়িতে লুট হলে তো তোমরাও জানতা। আমাদের বাড়ি তো দূরের কথা টেংরাখালী গ্রামে কখনও রাজাকার বা পাক বাহিনী আসে নাই। তৎপর আমি আমার ফুফাতো ভাই আব্দুস সালাম হাওলাদারকে জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তর দিল, ১৯৭১ সালে মাহবুব হাওলাদারের বয়স ১০/১১ বৎসর ছিল এবং সে প্রাইমারী স্কুলে পড়তো। ও বড় কোন স্বার্থের জন্য সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। আমাদের বাড়িতে কিংবা আশে পাশে কোন সাক্ষী পাবে না বিধায় দূরের সাক্ষী মেনেছে। সব মিলিয়ে ওর বাবার চার/পাঁচ বিঘা সম্পত্তি ছিল মাত্র। মাহবুবুল আলম হাওলাদারের ভাগে পড়ে এক/দেড় বিঘা সম্পত্তি। সে সম্পত্তি সে বিক্রি করে ফেলেছে এবং তার স্ত্রীর সম্পত্তিও বিক্রয় করে ফেলেছে। সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলা করার পর সে এখন দোতলা বিল্ডিং তৈরি করেছে। একতলা শেষ হয়েছে। (ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, তাহলেতো মামলা করে তার উপকার হয়েছে) ।
 মিজানুর রহমান তালুকদার আমার মামাতো ভাইয়ের শ্যালক। সেই হিসাবে তিনি আমার বিয়াই। তার বাড়ি আমার বাড়ির সন্নিকটে। জোরে ডাক দিলে তার বাড়ি থেকে শোনা যায়। তিনি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে অত্র ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই মান্নান তালুকদার সাহেবকে পাড়েরহাট রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল। রাজাকাররা মালামাল লুট করে মিজানুর রহমান তালুকদারের বাড়িতে জমা দিয়েছে। তিনি সেই মালামাল ঢোল সহরত করে যাদের মাল তাদেরকে ফেরত দিয়েছে বলে বলেছে।  আমরা আজ ৪০ বৎসরের মধ্যে এমন কথা শুনি নাই। মান্নান তালুকদারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।  তিনি টগরা কামিল মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি ছিলেন। আমি ঐ মাদ্রাসার সহ সভাপতি ছিলাম প্রায় ৮/৯ বৎসর। তিনি অনেক সময় আমার সাথে তার পারিবারিক ব্যাপারে আলাপ করতেন। তিনি কখনও তাকে নিয়ে নির্যাতন করার কথা বলেন নাই। অন্য কোন লোকের নিকট থেকে এই ৪০ বৎসর যাবত পাড়ের হাট রাজাকার ক্যাম্পে নির্যাতনের কথা শুনি নাই।
গৌরাঙ্গ সাহা অভিযোগ করেছে যে, তার বোনকে সাঈদী সাহেব পাক আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে ধর্ষণ করিয়েছে। সেই সময় গৌরাঙ্গ সাহার বয়স ১০/১১ বৎসর। তার বোনেরা তার ছোট ছিল। বড় বোনের বয়স ৬/৭ বৎসর। আমাদের পাড়ের হাট ইউনিয়েনে কোন মহিলা ধর্ষিত হয় নাই। আজ প্রায় ৪০ বৎসর হয়ে গেছে কোন লোক বলাবলি করে নাই যে, গৌরাঙ্গ সাহার বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে, যদিও আমরা দীর্ঘদিন যাবত বাজারে চলাফেরা করি। হিন্দুরা তাদের জান বাঁচানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ইয়াছিন মাওলানা সাহেবের খানকায় গিয়ে মুসলমান হয়েছে।
সাক্ষী এ  কথা বলার পর ট্রাইুব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক সাক্ষীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি কিভাবে জানলেন তারা ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমান হয়েছে? আপনি কি সেখানে তখন ছিলেন?
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম তখন আপত্তি উত্থাপন করে বলেন,  তাকে বলতে দেন। আপনি তো জেরা শুরু করেছেন।
তখন বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, মি. তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনাল সাক্ষীকে যেকোন প্রশ্ন করতে পারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, অবশ্যই পারে। কিন্তু আপনি তো সাক্ষীকে ধমকাচ্ছেন।
এরপর  ট্রাইব্যুনালের প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন,  আমি শুনেছি। তারপর সাক্ষী  আবার জবানবন্দী প্রদান শুরু করেন।
এই ঘটনা ১৯৭১ সালে। দেশ স্বাধীনের পরে তারা  আবার স্ব-ধর্মে ফিরে যান। বিপদ সাহার মেয়ে ভানু সাহাকে সাঈদী সাহেব ধর্ষণ করেছে মর্মে অভিযোগ করেছে। এই অভিযোগ অসত্য । মোসলেম মওলানা ঐ বাসায় ১৯৭১ সালে সব সময় থাকতো। বাজারে  প্রচারিত হয়েছিল যে, ঐ মেয়েকে (ভানু সাহা) মোসলেম মওলানা বিবাহ করেছে। সাঈদী সাহেব রাজাকারও ছিলেন না, স্বাধীনতা বিরোধীও ছিলেন না এবং মানবতা বিরোধী কোন কাজ তিনি করেন নাই। তিনি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ। সাঈদী সাহেব তিনবার  এম,পি, নির্বাচন করেছেন।  তার প্রতিপক্ষ নির্বাচনী প্রচারনায় তার বিরুদ্ধে মাঠে কোন দিন এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন নাই।  যদি তিনি এই অপরাধে অভিযুক্ত হতেন তাহলে নিঃসন্দেহে প্রতিপক্ষ তার নির্বাচনী প্রচারনার সময় তা তুলে ধরতো।
জবানবন্দী প্রদানে সাক্ষীকে পরিচালনা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মনজুর আহমেদ আনসারী। এসময় তাকে সহায়ত করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ মিঠু,  আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

জবানবন্দী শেষে সাক্ষীকে জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী।

জেরা :
প্রশ্ন :  জমিজমা দেখাশুনা ছাড়া আর কিছু করেন ? যেমন বিচার শালিশী।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : কারো বিরুদ্ধে কোন মামলা হলে তার খোঁজ নেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : কোন পক্ষে সাক্ষী জোগাড় করর জন্য যান?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনার কয় ছেলে মেয়ে?
উত্তর : ৩ মেয়ে ১ ছেলে।
প্রশ্ন : তারা কি করছে?
উত্তর : ২ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ২ জন পড়ছে।
প্রশ্ন : মেয়ের বিয়েতে সাঈদী সাহেবকে দাওয়াত দিয়েছিলেন বা তিনি এসেছিলেন?
উত্তর : দাওয়াত দেইনি। তিনি আসেনও নি।
প্রশ্ন ১৯৬৯ সালের আগে থেকেই সাঈদী সাহেবের সংগে আপনার পরিচয় ছিল?
উত্তর : তার আগে থেকেই।
প্রশ্ন : ঢাকা আসলেন কিভাবে?
উত্তর: বাসে করে। সায়েদাবাদ আসার পর সাঈদী সাহেবের শ্যালক আমাকে নিয়ে আসেন।
প্রশ্ন :  আপনাকে কোর্টে এসে সাক্ষ্য দিতে হবে তা প্রথম কবে জানলেন?
উত্তর : প্রায় এক বছর আগে। সাঈদী সাহেবের ছেলে রাফিক সাঈদী আমাদের মাদ্রাসার সামনে যান। সেখানে অনেক লোক   জড়ো হয়। তিনি তাদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার আবার বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ আছে আপনারা তা শুনেছেন? আমিসহ অনেকে বলি শুনেছি এবং সব মিথ্যা । তিনি তখন বলেন কোর্টে গিয়ে একথা বলতে পারবেন? আমিসহ অনেকে তখন রাজি হই।
প্রশ্ন : ঐ মাদ্রাসার সভাপতি সেক্রেটারি কে ছিল তখন?
উত্তর : সভাপতি এমপি আওয়াল সাহেব। সেক্রেটারি কে স্মরন নেই।
প্রশ্ন : যখন  রাফিক সাহেবের কাছে মামলার কথা শুনলেন তখন কি মামলার তদন্ত চলছিল?
 উত্তর : চলছিল।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের মে মাস থেকে  ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপনি পাড়েরহাট ছিলেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনার মত যারা ব্যবসা বানিজ্য করত তারাও কি তখন সেখানে ছিল না পালিয়ে গিয়েছিল>
উত্তর : বিশেষ করে হিন্দুরা পালিয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন : মুসলমান কেউ পালায়নি?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : রাজাকার ক্যাম্পে গেছেন?
উত্তর : কখনো যাইনি। পিস কমিটির অফিসেও  যাইনি।
প্রশ্ন : ওই দুই অফিসে কি কাজ হত তা জানা নেই আপনার।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : রাজাকার শান্তি কমিটির লোকেরা যেখানে যেত তাদের সাথে আপনি যেতেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : তাদের কোন অপরাশেনে যেতেন?
উত্তর : না। আমি তো রাজাকার নই যে যাব।
কাল সোমবার তার আবার জেরা শুরু হবার কথা রয়েছে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন