মেহেদী হাসান, ২/২/২০১৪
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন শুনানীতে আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগ বিষয়ে মাওলানা সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার অভিযোগ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ছয় নং সাক্ষীর সাক্ষ্য খন্ডন করে আজ যুক্তি উপস্থাপন করেছেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান।
প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন।
অ্যাডভোকেট এসএম শাহাজাহন শুনানীর শুরুতে বলেন, ছয় নং সাক্ষী মানিক পসারী বলেছেন তাদের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা তিনি বাড়ির পূর্ব পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে দেখেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের ১০ নং সাক্ষী বলেছেন মানিক পসারীর বাড়িতে আগুন দেয়ার আগেই বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, মানিক পসারী বলেছেন বাড়ির পাশে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে তিনি তাদের বাড়িতে আর্মি এবং শান্তি কিমিটির লোকজন কর্তৃক লুটপাট চালানো, আগুন দেয়া এবং এরপর তাদের বাড়ির কাজের লোক ইব্রাহীম কুট্টি ও মফিজউদ্দিনকে ধরে এক দড়িতে বেঁধে পাড়েরহাট বাজারে নিয়ে যেতে দেখেছেন। জীবন বাঁচাতে বাড়ির পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নিতে পারে যে কেউ। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে লুকিয়ে থেকে বাড়িতে ঘটে যাওয়া এতসব ঘটনা কারো পক্ষে দেখা সম্ভব কি-না তা আদালত বিবেচনা করবেন।
আইনজীবী বলেন, মানিক পসারী এ মামলায় সাক্ষী হবার বিনিময়ে একটি খামার একটি বাড়িসহ নানা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছে যা জেরায় বের হয়ে এসেছে।
অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা ঘটনার সাথে মফিজ উদ্দিন পসারীর ওপর নির্যাতনের ঘটনাও জড়িত। ইব্রাহীম কুট্টি এবং মফিজ উদ্দিনকে মানিক পসারীর বাড়ি থেকে একই দড়িতে বেঁধে পাড়েরহাট বাজারে নিয়ে যাওয়া হয় মর্মে মানিক পসারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের অন্যান্য সাক্ষীরা বলেছেন। তাদের দাবি পাড়েরহাট বাজারে নিয়ে ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা করা হয় এবং মফিজ উদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয় আর্মি ক্যাম্পে। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে তিনি রাতের অন্ধকারে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
মানিক পসারী ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলায় তাদের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা বিষয়ে একটি মামলা করেন। সে মামলার এজাহারে তাদের বাড়িতে আগুন দেয়া এবং লুটপাটের বিবরনের সাথে ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার কথাও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু পিরোজপুরের ওই মফিজ উদ্দিনকে নির্যাতনের বিষয়ে একটি কথাও উল্লেখ নেই । অথচ ইব্রাহীম কুট্টি এবং মফিজ তাদের বাড়িতে কাজ করত এবং তাদেরকে একই সাথে একই দড়িতে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মর্মে ট্রাইব্যুনালে দাবির করা হয়েছে। কিন্তু একই ঘটনায় ইব্রাহীম ও মফিজ দুজন ভুক্তভোগী হলেও মফিজের ঘটনা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত পিরোজপুরের মামলায়। অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, অপরদিকে মানিক পসারী ট্রাইব্যুনালে জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে জানান ইব্রাহীম কুট্টির পিতার নাম গফুর শেখ। অপর দিকে পিরোজপুরে তিনি যে মামলা করেছেন তাতে তিনি ইব্রাহীম কুট্টির পিতার নাম লিখেছেন সইজুদ্দিন হালদার।
তাছাড়া ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মানিক পসারীর অভিযোগে উল্লেখ আছে তিনি জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থেকে তাদের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা দেখেছেন কিন্তু পিরোজপুরে তিনি ২০০৯ সালে যে মামলা করেন তাতে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে ঘটনা দেখার কথা উল্লেখ নেই। সেখানে শুধু পালিয়ে যাবার কথা উল্লেখ আছে।
এসময় আদালতের একজন বিচারপতি বলেন, মানিক পসারী কেন এতদিন পর পিরোজপুরে এ ঘটনায় মামলা করল সে বিষয়ে একটি কথাও উল্লেখ নেই।
এরপর আট নং অভিযোগ তথা ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাত নং সাক্ষী মফিজ উদ্দিনের সাক্ষ্য বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরুর কিছুক্ষন পর মামলার কার্যক্রম আজ সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
শুনানীর সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীসহ আসামী পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন শুনানীতে আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন চলছে। ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগ বিষয়ে মাওলানা সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার অভিযোগ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ছয় নং সাক্ষীর সাক্ষ্য খন্ডন করে আজ যুক্তি উপস্থাপন করেছেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান।
প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন।
অ্যাডভোকেট এসএম শাহাজাহন শুনানীর শুরুতে বলেন, ছয় নং সাক্ষী মানিক পসারী বলেছেন তাদের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা তিনি বাড়ির পূর্ব পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে দেখেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের ১০ নং সাক্ষী বলেছেন মানিক পসারীর বাড়িতে আগুন দেয়ার আগেই বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, মানিক পসারী বলেছেন বাড়ির পাশে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে তিনি তাদের বাড়িতে আর্মি এবং শান্তি কিমিটির লোকজন কর্তৃক লুটপাট চালানো, আগুন দেয়া এবং এরপর তাদের বাড়ির কাজের লোক ইব্রাহীম কুট্টি ও মফিজউদ্দিনকে ধরে এক দড়িতে বেঁধে পাড়েরহাট বাজারে নিয়ে যেতে দেখেছেন। জীবন বাঁচাতে বাড়ির পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নিতে পারে যে কেউ। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে লুকিয়ে থেকে বাড়িতে ঘটে যাওয়া এতসব ঘটনা কারো পক্ষে দেখা সম্ভব কি-না তা আদালত বিবেচনা করবেন।
আইনজীবী বলেন, মানিক পসারী এ মামলায় সাক্ষী হবার বিনিময়ে একটি খামার একটি বাড়িসহ নানা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছে যা জেরায় বের হয়ে এসেছে।
অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা ঘটনার সাথে মফিজ উদ্দিন পসারীর ওপর নির্যাতনের ঘটনাও জড়িত। ইব্রাহীম কুট্টি এবং মফিজ উদ্দিনকে মানিক পসারীর বাড়ি থেকে একই দড়িতে বেঁধে পাড়েরহাট বাজারে নিয়ে যাওয়া হয় মর্মে মানিক পসারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের অন্যান্য সাক্ষীরা বলেছেন। তাদের দাবি পাড়েরহাট বাজারে নিয়ে ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা করা হয় এবং মফিজ উদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয় আর্মি ক্যাম্পে। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে তিনি রাতের অন্ধকারে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
মানিক পসারী ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলায় তাদের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা বিষয়ে একটি মামলা করেন। সে মামলার এজাহারে তাদের বাড়িতে আগুন দেয়া এবং লুটপাটের বিবরনের সাথে ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার কথাও উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু পিরোজপুরের ওই মফিজ উদ্দিনকে নির্যাতনের বিষয়ে একটি কথাও উল্লেখ নেই । অথচ ইব্রাহীম কুট্টি এবং মফিজ তাদের বাড়িতে কাজ করত এবং তাদেরকে একই সাথে একই দড়িতে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মর্মে ট্রাইব্যুনালে দাবির করা হয়েছে। কিন্তু একই ঘটনায় ইব্রাহীম ও মফিজ দুজন ভুক্তভোগী হলেও মফিজের ঘটনা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত পিরোজপুরের মামলায়। অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, অপরদিকে মানিক পসারী ট্রাইব্যুনালে জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে জানান ইব্রাহীম কুট্টির পিতার নাম গফুর শেখ। অপর দিকে পিরোজপুরে তিনি যে মামলা করেছেন তাতে তিনি ইব্রাহীম কুট্টির পিতার নাম লিখেছেন সইজুদ্দিন হালদার।
তাছাড়া ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মানিক পসারীর অভিযোগে উল্লেখ আছে তিনি জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে থেকে তাদের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা দেখেছেন কিন্তু পিরোজপুরে তিনি ২০০৯ সালে যে মামলা করেন তাতে জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে ঘটনা দেখার কথা উল্লেখ নেই। সেখানে শুধু পালিয়ে যাবার কথা উল্লেখ আছে।
এসময় আদালতের একজন বিচারপতি বলেন, মানিক পসারী কেন এতদিন পর পিরোজপুরে এ ঘটনায় মামলা করল সে বিষয়ে একটি কথাও উল্লেখ নেই।
এরপর আট নং অভিযোগ তথা ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাত নং সাক্ষী মফিজ উদ্দিনের সাক্ষ্য বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরুর কিছুক্ষন পর মামলার কার্যক্রম আজ সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
শুনানীর সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীসহ আসামী পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন