মেহেদী হাসান, ৩০/১/২০১৪
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন মামলায় আজ তৃতীয় দিনের মত যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রমানিত আটটি অভিযোগের মধ্যে ছয় এবং সাত নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি পেশ শেষে গতকাল আট নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন অ্যাডভোকে এসএম শাহজাহান।
প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপির বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করেন।
সাত নং অভিযোগ যথা সেলিম খানের বাড়িতে আগুন দেয়া বিষয়ে গতকাল বুধবার যেখান থেকে যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি হয় আজ সেখান থেকে যুক্তি পেশ শুরু হয়। অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আট নং সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদারের একটি মামলায় সাজা হয় এবং পরে খালাস পান। সেলিম খানের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা তিনি খালের ওপর থেকে দেখার কথা ট্রাইব্যুনালে বললেও তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি তা বলেননি। তাছাড়া তিনি আরো বলেছেন সাঈদী সেলিম খানের বাড়ি দেখিয়ে দিয়েছে আগুন দেয়ার জন্য। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা জেরায় বলেছেন একথাও তাকে মোস্তফা হাওলাদার বলেননি জবানবন্দীতে । তাছাড়া ১৫/১৬ বছর আগে সাঈদী নাম ধারনের কথাও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেননি বলে জেরায় স্বীকার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
রাষ্ট্রপক্ষের ১২ নং সাক্ষী একেএম আউয়াল জবানবন্দীতে বলেছেন ‘শুনেছি দানেশ মোল্লা সেকেন্দার শিকদারের সাথে সাঈদী সাহেবও ছিলেন’। জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় সাঈদী সাহেব থাকার যে কথা আপনি শুনেছেন বলে ট্রাইব্যুনালে বলেছেন তা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেননি। তিনি জানান বলেছি। অপর দিকে তদন্ত কর্মকর্তা জেরায় জানিয়েছেন ‘শুনেছি সাঈদী সাহেবও ছিলেন/ একথা এমপি আউয়াল তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেননি।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, সাত নং অভিযোগ প্রমানের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল আসামী পক্ষের তিনজন সাক্ষীর ওপরও নির্ভর করেছে। কিন্তু এর মধ্যে ৩ নং সাক্ষী সাত নং অভিযোগ বিষয়ে কিছুই বলেননি। ট্রাইব্যুনাল রায়ে ভুলক্রমে এটি করে থাকতে পারে। অরপর দিকে আসামী পক্ষের ১৫ নং সাক্ষী সাত নং অভিযোগ বিষয়ে বলেছেন ঘটনার সময় সেলিম খান এবং তার পিতা নুরুল ইসলাম খান কেউ বাড়িতে ছিলেননা। ৭ মের আগেই সেলিম খান মুক্তিযুদ্ধে চলে যান। কাজেই নুরুল ইসলামের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।
অ্যাডভোকেট এসএম শাহাজাহান বলেন, তাছাড়া সাত নং চার্জে আগুন দেয়া এবং নির্যাতনের অভিযোগ থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের কোন সাক্ষী নির্যাতন বিষয়ে কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, এ ঘটনা বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সেলিম খানকে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি সেফ হাউজে এনে রাখে। ১১ এবং ১২ জানুয়ারি তাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আনে কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় ১২ জানুয়ারি তাকে গাড়িতে করে আজিমপুরে তার মেয়ের বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়।
দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পড়ে শোনানোর সময় আদালত জানতে চান এর ভিত্তি কি। এসএম শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সেফহাউজ ডায়েরিতে এ তথ্য রয়েছে।
এরপর তিনি আট নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। আট নং অভিযোগ ছিল মানিক পসারীর বাড়িতে আগুন দেয়া ও লুটপাটের পর সেখান থেকে তাদের বাড়িতে কর্মরত ইব্রাহীম কুট্টি ও মফিজ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যাওয়ায়। এরপর ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা করা হয় এবং মফিজ উদ্দিন নির্যাতনের পর পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে মোট নয় জন যথা ২,৪,৬,৭,৮,৯,১০,১১, এবং ১২ নং সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এসএম শাহজাহান বলেন, চার্জে উল্লেখ আছে মানিক পসারীর বাড়ি আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে বিকাল তিনটায়। কিন্তু ২ নং সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন বলেছেন তিনি ১১/১২টার দিকে জানতে পেরেছেন আগুন দেয়ার ঘটনা।
আইনজীবী বলেন, আসলে তিনি আগুন দেয়ার সময় ঘটনাস্থলে বা তার আশপাশেও ছিলেননা। রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী বলেছেন ৭ মে’র অনেক আগেই রুহুল আমিন নবিন এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপর দেশ স্বাধীনের পর ১৮ ডিসেম্বর পাড়েরহাট তিনি তাকে প্রথম দেখেন। এসএম শাহাজান বলেন, রুহুল আমিন নবিন মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নবম সাক্ষী তাকে আগে থেকেই চিনতেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন ২৫ মার্চের পর তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়াই স্বাভাবিক এবং রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী সে দাবিই করেছেন। কাজেই রুহুল আমিন নবিন আসলে ৭ মে’র ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেননা।
এরপর আট নং অভিযোগ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের চার নং সাক্ষীর সাক্ষ্য বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি বলেন এ সাক্ষীর পরিচয় কি? ট্রাইব্যুালে জেরায় চতুর্থ সাক্ষী (সুলতান আহমেদ) স্বীকার করেছেন কলা চুরির মামলায় জজ কোর্টে তার সাজা হয়েছে এবং এ মামলা বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া ট্রলার চুরির ২টি মামলা বরিশাল কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
এ পর্যন্ত যুক্তি পেশের পর শুনানী আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
যুক্তি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান, আসামী পক্ষে গিয়াসউদ্দিন মিঠু, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন মামলায় আজ তৃতীয় দিনের মত যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রমানিত আটটি অভিযোগের মধ্যে ছয় এবং সাত নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি পেশ শেষে গতকাল আট নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন অ্যাডভোকে এসএম শাহজাহান।
প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপির বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করেন।
সাত নং অভিযোগ যথা সেলিম খানের বাড়িতে আগুন দেয়া বিষয়ে গতকাল বুধবার যেখান থেকে যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি হয় আজ সেখান থেকে যুক্তি পেশ শুরু হয়। অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আট নং সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদারের একটি মামলায় সাজা হয় এবং পরে খালাস পান। সেলিম খানের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা তিনি খালের ওপর থেকে দেখার কথা ট্রাইব্যুনালে বললেও তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি তা বলেননি। তাছাড়া তিনি আরো বলেছেন সাঈদী সেলিম খানের বাড়ি দেখিয়ে দিয়েছে আগুন দেয়ার জন্য। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা জেরায় বলেছেন একথাও তাকে মোস্তফা হাওলাদার বলেননি জবানবন্দীতে । তাছাড়া ১৫/১৬ বছর আগে সাঈদী নাম ধারনের কথাও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেননি বলে জেরায় স্বীকার করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
রাষ্ট্রপক্ষের ১২ নং সাক্ষী একেএম আউয়াল জবানবন্দীতে বলেছেন ‘শুনেছি দানেশ মোল্লা সেকেন্দার শিকদারের সাথে সাঈদী সাহেবও ছিলেন’। জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় সাঈদী সাহেব থাকার যে কথা আপনি শুনেছেন বলে ট্রাইব্যুনালে বলেছেন তা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেননি। তিনি জানান বলেছি। অপর দিকে তদন্ত কর্মকর্তা জেরায় জানিয়েছেন ‘শুনেছি সাঈদী সাহেবও ছিলেন/ একথা এমপি আউয়াল তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেননি।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, সাত নং অভিযোগ প্রমানের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল আসামী পক্ষের তিনজন সাক্ষীর ওপরও নির্ভর করেছে। কিন্তু এর মধ্যে ৩ নং সাক্ষী সাত নং অভিযোগ বিষয়ে কিছুই বলেননি। ট্রাইব্যুনাল রায়ে ভুলক্রমে এটি করে থাকতে পারে। অরপর দিকে আসামী পক্ষের ১৫ নং সাক্ষী সাত নং অভিযোগ বিষয়ে বলেছেন ঘটনার সময় সেলিম খান এবং তার পিতা নুরুল ইসলাম খান কেউ বাড়িতে ছিলেননা। ৭ মের আগেই সেলিম খান মুক্তিযুদ্ধে চলে যান। কাজেই নুরুল ইসলামের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।
অ্যাডভোকেট এসএম শাহাজাহান বলেন, তাছাড়া সাত নং চার্জে আগুন দেয়া এবং নির্যাতনের অভিযোগ থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের কোন সাক্ষী নির্যাতন বিষয়ে কিছু বলেননি।
তিনি বলেন, এ ঘটনা বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সেলিম খানকে ২০১২ সালের ১০ জানুয়ারি সেফ হাউজে এনে রাখে। ১১ এবং ১২ জানুয়ারি তাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আনে কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় ১২ জানুয়ারি তাকে গাড়িতে করে আজিমপুরে তার মেয়ের বাড়িতে পৌছে দেয়া হয়।
দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পড়ে শোনানোর সময় আদালত জানতে চান এর ভিত্তি কি। এসএম শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সেফহাউজ ডায়েরিতে এ তথ্য রয়েছে।
এরপর তিনি আট নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। আট নং অভিযোগ ছিল মানিক পসারীর বাড়িতে আগুন দেয়া ও লুটপাটের পর সেখান থেকে তাদের বাড়িতে কর্মরত ইব্রাহীম কুট্টি ও মফিজ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যাওয়ায়। এরপর ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা করা হয় এবং মফিজ উদ্দিন নির্যাতনের পর পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে মোট নয় জন যথা ২,৪,৬,৭,৮,৯,১০,১১, এবং ১২ নং সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এসএম শাহজাহান বলেন, চার্জে উল্লেখ আছে মানিক পসারীর বাড়ি আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে বিকাল তিনটায়। কিন্তু ২ নং সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন বলেছেন তিনি ১১/১২টার দিকে জানতে পেরেছেন আগুন দেয়ার ঘটনা।
আইনজীবী বলেন, আসলে তিনি আগুন দেয়ার সময় ঘটনাস্থলে বা তার আশপাশেও ছিলেননা। রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী বলেছেন ৭ মে’র অনেক আগেই রুহুল আমিন নবিন এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপর দেশ স্বাধীনের পর ১৮ ডিসেম্বর পাড়েরহাট তিনি তাকে প্রথম দেখেন। এসএম শাহাজান বলেন, রুহুল আমিন নবিন মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নবম সাক্ষী তাকে আগে থেকেই চিনতেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন ২৫ মার্চের পর তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়াই স্বাভাবিক এবং রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী সে দাবিই করেছেন। কাজেই রুহুল আমিন নবিন আসলে ৭ মে’র ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেননা।
এরপর আট নং অভিযোগ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের চার নং সাক্ষীর সাক্ষ্য বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি বলেন এ সাক্ষীর পরিচয় কি? ট্রাইব্যুালে জেরায় চতুর্থ সাক্ষী (সুলতান আহমেদ) স্বীকার করেছেন কলা চুরির মামলায় জজ কোর্টে তার সাজা হয়েছে এবং এ মামলা বর্তমানে হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া ট্রলার চুরির ২টি মামলা বরিশাল কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
এ পর্যন্ত যুক্তি পেশের পর শুনানী আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
যুক্তি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান, আসামী পক্ষে গিয়াসউদ্দিন মিঠু, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন