মেহেদী হাসান,
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আল্লাহর পরে প্রধানমন্ত্রী এরপর আমরা। আজ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা পরিচালনার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ট্রাইব্যুনালে একটি মিস মামলার আদেশের জন্য ধার্য্য ছিল আজ। মামলার একটি পক্ষ হিসেবে বাগেরহাট নোটারী পাবলিকের দুই আইনজীবী শেখ আবদুল ওয়াদুদ এবং শামীমা আক্তারের উপস্থিতে এ আদেশ প্রদানের কথা ছিল। কিন্তু তারা কেউ গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেননা।
অবরোধের কারনে তারা আসতে না পারায় তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট গাজি এমএইচ তামিম সময় প্রার্থনা করেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ওনারা আসেননি কেন? ওনারা কোথায়? এসময় গাজি তামিম হরতাল অবরোধ এবং নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন এসব কারনে তারা আসতে পারেননি।
তখন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এভাবে হয়না। আদালতে আইনজীবীরা আসছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে মামলার সাক্ষীরাও আসছে। গাড়ি ঘোড়া সব চলে । সবাই আসতে পারেন আর ওনারা পারেননা? আসবেন, আমরা আসার ব্যবস্থা করলে আপনে আপনেই আসবেন। পরের দিন তারা আসতে না পারলে যেখানে যাবার সেখানে যেতে হবে তাদের। এর আগেও আমরা তাদের অনেক সুযোগ দিয়েছি।
এসময় গাজি তামিম বলেন তারা আসার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি। হরতাল অবরোধে সারা দেশে বর্তমান কি অবস্থা বিরাজ করছে তা আপনারা জানেন মাইলর্ড।
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, ওনারা চেষ্টা করলে আসতে পারতেন। চেষ্টা করলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসতে পারতেন। আসলে ওনারা চেষ্টা করেননি। আমরা চেষ্টা করিয়ে দিলেই তারা আসবেন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, এসব নাটক আর কতদিন চলবে? এসব বন্ধ করেন। এসব নাটক করে কি হবে? দেশে ইলেকশন হয়েছে। সবকিছু চলছে। কোনকিছুতো থেমে নেই। তিনি বলেন, আমরা অনেক সুযোগ দিয়েছি। এসব সুযোগ গ্রহণ করেন। আমাদেরও সহ্য এবং ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। আমাদের ধৈর্য্যরে সে বাঁধ ভেঙ্গে দিবেননা। আমরা আর কত অপেক্ষা করব? আমাদের যদি আপনারা ক্ষেপিয়ে তোলেন এবং আমরাও যদি রাগের বশে তাদের বিরুদ্ধে কোন আদেশ দেই সে আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপিল করতে পারবেননা। কি তামিম সাহেব পারবেন কোন আপিল করতে?
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এরপর বলেন, দেখুন আল্লাহর পরে প্রধানমন্ত্রী এরপর আমরা । আমরা কারো জন্য আর অপেক্ষা করবনা। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও একইসাথে এগিয়ে যেতে হবে।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান গাজি তামিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি তো ট্রাইব্যুনালে এসেছেন। আপনাকে তো আগুন, বোমা, হামলা, জামায়াত-শিবির, পুলিশ আওয়ামী লীগ কিছু করতে পারেনা। আপনি তো আসতে পারেন। তারা কেন আসতে পারছেনা?
মিস মামলার প্রেক্ষাপট : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষী ছিলেন আসিয়া খাতুন ।
মাওলানা ইসুফের পক্ষে আইনজীবী গাজি এমএইচ তামিম দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, সাক্ষী আসিয়া খাতুন ২০১০ সালে মাওলানা উসুফের বিরুদ্ধে তার স্বামী হত্যার বিষয়ে অভিযোগ করে একটি মামলা করেন। সে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
গাজি তামিম বলেন, আসিয়া খাতুন ২০১০ সালের মামলায় মাওলানা ইউসফ সাহেবকে আসামী করলেও মামলা দায়ের করার তি/চার মাস পরে একটি এফিডেভিট করেন বাগেরহাট নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে। সে এফিডেভিটে তিনি বলেন, তার স্বামী হত্যার সাথে মাওলানা ইউসুফের কোন সম্পর্ক নেই। ভুল করে তার স্বামী হত্যায় মাওলানা ইউসুফকে আসামী করা হয়েছে। আসামীর তালিকা থেকে মাওলানা ইউসুফের নাম বাদ দিয়ে তিনি এ এফিডিভিট করেন।
গাজি তামিম বলেন, গত ১৭ নভেম্বর আমরা স্বাক্ষীকে জেরার সময় তার এ এফিডেভিট তাকে আদালতে প্রদর্শন করি। তখন তিনি বলেন এফিডেভিট এর ছবি তার কিন্তু তিনি এফিডিভিট এবং এর স্বাক্ষর অস্বীকার করেন। । তখন ট্রাইব্যুনাল এফিডেভিট বিষয়ে জানতে চান। আমারা ট্রাইব্যুনালকে আমাদের সংগৃহীত কপি জমা দিয়েছি। এপর বাগেরহাট নোটাারি পাবলিক এর যে আইনজীবী এফিডেভিট করেন এবং যিনি এটি সনাক্ত করেছেন সেই দুই আইনজীবীকে তলব করে আদেশ দেন এ বিষয়ে জানার জন্য। ৪ ডিসেম্বর প্রথম তাদের হাজিরের জন্য দিন ধার্য্য ছিল।
গাজি তামিম বলেন, হরতাল অবরোধের কারনে এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা আসতে পারেননি। তবে পরবর্তীতে তারা দুজন পৃথকভাবে এসে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, তাদের মাধ্যমে আসিয়া খাতুন এফিডেভিট করিয়েছেন। আজ এ বিষয়ে আদেশ এর জন্য ধার্য্য ছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আল্লাহর পরে প্রধানমন্ত্রী এরপর আমরা। আজ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা পরিচালনার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ট্রাইব্যুনালে একটি মিস মামলার আদেশের জন্য ধার্য্য ছিল আজ। মামলার একটি পক্ষ হিসেবে বাগেরহাট নোটারী পাবলিকের দুই আইনজীবী শেখ আবদুল ওয়াদুদ এবং শামীমা আক্তারের উপস্থিতে এ আদেশ প্রদানের কথা ছিল। কিন্তু তারা কেউ গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেননা।
অবরোধের কারনে তারা আসতে না পারায় তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট গাজি এমএইচ তামিম সময় প্রার্থনা করেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ওনারা আসেননি কেন? ওনারা কোথায়? এসময় গাজি তামিম হরতাল অবরোধ এবং নির্বাচনের পরের পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন এসব কারনে তারা আসতে পারেননি।
তখন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, এভাবে হয়না। আদালতে আইনজীবীরা আসছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে মামলার সাক্ষীরাও আসছে। গাড়ি ঘোড়া সব চলে । সবাই আসতে পারেন আর ওনারা পারেননা? আসবেন, আমরা আসার ব্যবস্থা করলে আপনে আপনেই আসবেন। পরের দিন তারা আসতে না পারলে যেখানে যাবার সেখানে যেতে হবে তাদের। এর আগেও আমরা তাদের অনেক সুযোগ দিয়েছি।
এসময় গাজি তামিম বলেন তারা আসার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি। হরতাল অবরোধে সারা দেশে বর্তমান কি অবস্থা বিরাজ করছে তা আপনারা জানেন মাইলর্ড।
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, ওনারা চেষ্টা করলে আসতে পারতেন। চেষ্টা করলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসতে পারতেন। আসলে ওনারা চেষ্টা করেননি। আমরা চেষ্টা করিয়ে দিলেই তারা আসবেন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, এসব নাটক আর কতদিন চলবে? এসব বন্ধ করেন। এসব নাটক করে কি হবে? দেশে ইলেকশন হয়েছে। সবকিছু চলছে। কোনকিছুতো থেমে নেই। তিনি বলেন, আমরা অনেক সুযোগ দিয়েছি। এসব সুযোগ গ্রহণ করেন। আমাদেরও সহ্য এবং ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। আমাদের ধৈর্য্যরে সে বাঁধ ভেঙ্গে দিবেননা। আমরা আর কত অপেক্ষা করব? আমাদের যদি আপনারা ক্ষেপিয়ে তোলেন এবং আমরাও যদি রাগের বশে তাদের বিরুদ্ধে কোন আদেশ দেই সে আদেশের বিরুদ্ধে কোন আপিল করতে পারবেননা। কি তামিম সাহেব পারবেন কোন আপিল করতে?
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এরপর বলেন, দেখুন আল্লাহর পরে প্রধানমন্ত্রী এরপর আমরা । আমরা কারো জন্য আর অপেক্ষা করবনা। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও একইসাথে এগিয়ে যেতে হবে।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান গাজি তামিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি তো ট্রাইব্যুনালে এসেছেন। আপনাকে তো আগুন, বোমা, হামলা, জামায়াত-শিবির, পুলিশ আওয়ামী লীগ কিছু করতে পারেনা। আপনি তো আসতে পারেন। তারা কেন আসতে পারছেনা?
মিস মামলার প্রেক্ষাপট : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষী ছিলেন আসিয়া খাতুন ।
মাওলানা ইসুফের পক্ষে আইনজীবী গাজি এমএইচ তামিম দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, সাক্ষী আসিয়া খাতুন ২০১০ সালে মাওলানা উসুফের বিরুদ্ধে তার স্বামী হত্যার বিষয়ে অভিযোগ করে একটি মামলা করেন। সে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
গাজি তামিম বলেন, আসিয়া খাতুন ২০১০ সালের মামলায় মাওলানা ইউসফ সাহেবকে আসামী করলেও মামলা দায়ের করার তি/চার মাস পরে একটি এফিডেভিট করেন বাগেরহাট নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে। সে এফিডেভিটে তিনি বলেন, তার স্বামী হত্যার সাথে মাওলানা ইউসুফের কোন সম্পর্ক নেই। ভুল করে তার স্বামী হত্যায় মাওলানা ইউসুফকে আসামী করা হয়েছে। আসামীর তালিকা থেকে মাওলানা ইউসুফের নাম বাদ দিয়ে তিনি এ এফিডিভিট করেন।
গাজি তামিম বলেন, গত ১৭ নভেম্বর আমরা স্বাক্ষীকে জেরার সময় তার এ এফিডেভিট তাকে আদালতে প্রদর্শন করি। তখন তিনি বলেন এফিডেভিট এর ছবি তার কিন্তু তিনি এফিডিভিট এবং এর স্বাক্ষর অস্বীকার করেন। । তখন ট্রাইব্যুনাল এফিডেভিট বিষয়ে জানতে চান। আমারা ট্রাইব্যুনালকে আমাদের সংগৃহীত কপি জমা দিয়েছি। এপর বাগেরহাট নোটাারি পাবলিক এর যে আইনজীবী এফিডেভিট করেন এবং যিনি এটি সনাক্ত করেছেন সেই দুই আইনজীবীকে তলব করে আদেশ দেন এ বিষয়ে জানার জন্য। ৪ ডিসেম্বর প্রথম তাদের হাজিরের জন্য দিন ধার্য্য ছিল।
গাজি তামিম বলেন, হরতাল অবরোধের কারনে এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা আসতে পারেননি। তবে পরবর্তীতে তারা দুজন পৃথকভাবে এসে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, তাদের মাধ্যমে আসিয়া খাতুন এফিডেভিট করিয়েছেন। আজ এ বিষয়ে আদেশ এর জন্য ধার্য্য ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন