মেহেদী হাসান, ২৫/২/২০১৪
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছেন। তার আগে সকালে আসামী পক্ষে এসএম শাহজাহান যুক্তি পেশ শেষ করেন।
সকালে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে শিকদার নাম প্রসঙ্গ এবং তার যশোরে অবস্থান বা প্লি অব এলিবাই বিষয়ে যুক্তি পেশ করেন অ্যাডভোকেট শাহজাহান। প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহন করেন।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, যশোরে অবস্থান বিষয়ে আসামী পক্ষে পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে। তাছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের ১৫, ১৬ এবং ২৪ নং সাক্ষীও যাশোরে অবস্থান বিষয়ে সমর্থন করেছে। কিন্তু এর কোন কিছুই ট্রাইবুন্যনালের রায়ে বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫টি পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তার একটিতে উল্লেখ আছে স্বাধীনতার পর আসামী খুলনা থাকেন।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য হলে তার পালিয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেশের ভেতরেই প্রকাশ্যে স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে সময়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে সে সময় তিনি যশোরে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকেই তিনি যশোরে বাড়িভাড়া করে থাকতেন এবং সেখানে ওয়াজ করতেন।
শিকদার প্রসঙ্গ :
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ দীর্ঘ সময় নিয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে এবং অনেক কাগজপত্র জমা দিয়েছে তার বিষয়ে । কিন্তু মাওলানা সাঈদীর নাম পূর্বে শিকদার ছিল এ মর্মে একটি ডকুমেন্টও তারা দেখাতে পারেনি। বরং তাদের জমা দেয়া ডকুমেন্টেই উল্লেখ আছে মাওলানা সাঈদীর নাম সবসময়ই সাঈদী ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ তার ১৯৫৭ সালের দাখিল সনদ জমা দিয়েছে। সেখানে তার নাম দেলোয়ার হোসেন সাঈদী লেখা রয়েছে। পিতার নামের শেষেও সাঈদী লেখা রয়েছে। তাছাড়া তারা মাওলানা সাঈদীর আলিম সনদ জমা দিয়েছে এবং সেখানেও তার নামের শেষে সাঈদী লেখা রয়েছে। তার পিতার নামের শেষেও সাঈদী রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের ১ নং সাক্ষী মামলার বাদী মাহবুবুল আলম এবং ৬ নং সাক্ষী মানিক পসারী ২০০৯ সালে পিরোজপুরে যে মামলা করেছে তাতেও তারা উল্লেখ করেছে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সেখানে তাদের কেউ লেখেনি যে, তার নাম পূর্বে শিকদার ছিল। তাছাড়া তদন্ত কর্মকর্তাও জেরায় স্বীকার করেছেন দেলোয়ার হোসেন শিকদার পিতা রসুল শিকদার নামে আলাদা একজন ব্যক্তি ছিল।
এরপর দুপুর ১২টায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তিনি ৬ নং অভিযোগ পাড়েরহাটে লুটপাট বিষয়ে যুক্তি উপস্থান শুরু করেন। তখন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আপনিও প্রস্তুতি ছাড়াই এসেছেন? আপনি আমাদের সময় নষ্ট করছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি পূর্ণ প্রস্ততি নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, দানেশ মোল্লা মোসলেম মাওলানা প্রমুখ এদের নেতৃত্বে শান্তি কমিটি গঠিত হয় পাড়েরহাট। পরে তারাই রাজাকার বাহিনী গঠন করে ওখানে। ৬ নং সাক্ষীও এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছে।
তখন একজন বিচারপতি বলেন, আসামী পক্ষ দাবি করেছে মাওলানা সাঈদীর নাম পূর্বে শিকদার ছিল এ মর্মে আপনারা একটি ডকুমেন্টও দাখিল করতে পারেননি।
অ্যটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা তার দাখিল ও আলিম সনদ জমা দিয়েছি। সেখানে তার নাম শুধু দেলোয়ার হোসেন ছিল। পরে সাঈদী নাম যোগ করেছে।
এসময় একজন বিচারপতি বলেন, সাঈদীর নাম শিকদার ছিল এটি আপনারা ডকুমেন্ট দিয়ে দেখাতে পারেননি।
৬ নং অভিযোগ প্রমানের জন্য ১৯ (২) ধারায় যেসব সাক্ষীদের জবানবন্দী বিবেবচনা করা হয়েছে তাদের মধ্যে আবদুল লতিফ হাওলাদার এর জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনানোর সময় একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন তাকে সাক্ষী হিসেবে কেন আনা হয়নি।
তখন তিনি ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯.২ ধারা পড়ে শোনানা যেখানে লেখা রয়েছে সাক্ষী মারা গেলে বা তাকে আনতে সময় সাপেক্ষ ব্যয়বহুল এবং অসম্ভব হলে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত তার জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যায়।
তখন একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন পিরোজপুর থেকে ঢাকায় আসতে কতক্ষন লাগে। পিরোজপুর তো বিদেশ নয়। আরেক বিচারপতি প্রশ্ন করেন কেন তাকে হাজির করা অসম্ভব।
তখন ১৯(২) ধারায় ১৫ জনের জবানবন্দী গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিয়েছিল তা পড়ে শুনিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাক্ষীদের একটি মহল থেকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। তারা বাড়িছাড়া। তাদের বাড়ি পাওয়া যাচ্ছেনা। আইউব আলী হাওলাদারের ছেলে মেয়েরা তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছে তার পিতাকে যেন সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় না নেয়া হয়। বাড়িতে দুই জন লোক এসে হুমকি দিয়ে গেছে ।
এ পর্যায়ে যুক্তি উপস্থাপনে একটা বেজে যায় এবং তখন প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন আগামীকাল পইড়া দেইখা আইসেন। না হলে আপনাকে বসিয়ে দেয়া হবে।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছেন। তার আগে সকালে আসামী পক্ষে এসএম শাহজাহান যুক্তি পেশ শেষ করেন।
সকালে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে শিকদার নাম প্রসঙ্গ এবং তার যশোরে অবস্থান বা প্লি অব এলিবাই বিষয়ে যুক্তি পেশ করেন অ্যাডভোকেট শাহজাহান। প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহন করেন।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, যশোরে অবস্থান বিষয়ে আসামী পক্ষে পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে। তাছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের ১৫, ১৬ এবং ২৪ নং সাক্ষীও যাশোরে অবস্থান বিষয়ে সমর্থন করেছে। কিন্তু এর কোন কিছুই ট্রাইবুন্যনালের রায়ে বিবেচনায় নেয়া হয়নি।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫টি পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তার একটিতে উল্লেখ আছে স্বাধীনতার পর আসামী খুলনা থাকেন।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য হলে তার পালিয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেশের ভেতরেই প্রকাশ্যে স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে সময়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে সে সময় তিনি যশোরে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকেই তিনি যশোরে বাড়িভাড়া করে থাকতেন এবং সেখানে ওয়াজ করতেন।
শিকদার প্রসঙ্গ :
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ দীর্ঘ সময় নিয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে এবং অনেক কাগজপত্র জমা দিয়েছে তার বিষয়ে । কিন্তু মাওলানা সাঈদীর নাম পূর্বে শিকদার ছিল এ মর্মে একটি ডকুমেন্টও তারা দেখাতে পারেনি। বরং তাদের জমা দেয়া ডকুমেন্টেই উল্লেখ আছে মাওলানা সাঈদীর নাম সবসময়ই সাঈদী ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ তার ১৯৫৭ সালের দাখিল সনদ জমা দিয়েছে। সেখানে তার নাম দেলোয়ার হোসেন সাঈদী লেখা রয়েছে। পিতার নামের শেষেও সাঈদী লেখা রয়েছে। তাছাড়া তারা মাওলানা সাঈদীর আলিম সনদ জমা দিয়েছে এবং সেখানেও তার নামের শেষে সাঈদী লেখা রয়েছে। তার পিতার নামের শেষেও সাঈদী রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের ১ নং সাক্ষী মামলার বাদী মাহবুবুল আলম এবং ৬ নং সাক্ষী মানিক পসারী ২০০৯ সালে পিরোজপুরে যে মামলা করেছে তাতেও তারা উল্লেখ করেছে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সেখানে তাদের কেউ লেখেনি যে, তার নাম পূর্বে শিকদার ছিল। তাছাড়া তদন্ত কর্মকর্তাও জেরায় স্বীকার করেছেন দেলোয়ার হোসেন শিকদার পিতা রসুল শিকদার নামে আলাদা একজন ব্যক্তি ছিল।
এরপর দুপুর ১২টায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তিনি ৬ নং অভিযোগ পাড়েরহাটে লুটপাট বিষয়ে যুক্তি উপস্থান শুরু করেন। তখন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আপনিও প্রস্তুতি ছাড়াই এসেছেন? আপনি আমাদের সময় নষ্ট করছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি পূর্ণ প্রস্ততি নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, দানেশ মোল্লা মোসলেম মাওলানা প্রমুখ এদের নেতৃত্বে শান্তি কমিটি গঠিত হয় পাড়েরহাট। পরে তারাই রাজাকার বাহিনী গঠন করে ওখানে। ৬ নং সাক্ষীও এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছে।
তখন একজন বিচারপতি বলেন, আসামী পক্ষ দাবি করেছে মাওলানা সাঈদীর নাম পূর্বে শিকদার ছিল এ মর্মে আপনারা একটি ডকুমেন্টও দাখিল করতে পারেননি।
অ্যটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা তার দাখিল ও আলিম সনদ জমা দিয়েছি। সেখানে তার নাম শুধু দেলোয়ার হোসেন ছিল। পরে সাঈদী নাম যোগ করেছে।
এসময় একজন বিচারপতি বলেন, সাঈদীর নাম শিকদার ছিল এটি আপনারা ডকুমেন্ট দিয়ে দেখাতে পারেননি।
৬ নং অভিযোগ প্রমানের জন্য ১৯ (২) ধারায় যেসব সাক্ষীদের জবানবন্দী বিবেবচনা করা হয়েছে তাদের মধ্যে আবদুল লতিফ হাওলাদার এর জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনানোর সময় একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন তাকে সাক্ষী হিসেবে কেন আনা হয়নি।
তখন তিনি ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯.২ ধারা পড়ে শোনানা যেখানে লেখা রয়েছে সাক্ষী মারা গেলে বা তাকে আনতে সময় সাপেক্ষ ব্যয়বহুল এবং অসম্ভব হলে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত তার জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যায়।
তখন একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন পিরোজপুর থেকে ঢাকায় আসতে কতক্ষন লাগে। পিরোজপুর তো বিদেশ নয়। আরেক বিচারপতি প্রশ্ন করেন কেন তাকে হাজির করা অসম্ভব।
তখন ১৯(২) ধারায় ১৫ জনের জবানবন্দী গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিয়েছিল তা পড়ে শুনিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাক্ষীদের একটি মহল থেকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। তারা বাড়িছাড়া। তাদের বাড়ি পাওয়া যাচ্ছেনা। আইউব আলী হাওলাদারের ছেলে মেয়েরা তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছে তার পিতাকে যেন সাক্ষ্য দিতে ঢাকায় না নেয়া হয়। বাড়িতে দুই জন লোক এসে হুমকি দিয়ে গেছে ।
এ পর্যায়ে যুক্তি উপস্থাপনে একটা বেজে যায় এবং তখন প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন আগামীকাল পইড়া দেইখা আইসেন। না হলে আপনাকে বসিয়ে দেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন