মেহেদী হাসান, ১২/১২/২০১৩
নানা কারনে শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বজুড়ে একটি আলোচিত এবং ঘটনাবহুল মামলা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলাটি। এ মামলাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনার কারনে বারবার বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম হয় মামলাটি। সর্বশেষ মৃত্যুদন্ড কার্যকরের মাত্র দেড়ঘন্টা আগে তা স্থগিত হওয়ায় আবারো এ মামলা দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিশ্বসম্প্রদায়ের।
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে শাহবাগকেন্দ্রিক আন্দোলন। যার প্রতিকৃয়া হিসেবে উত্থান হয় হেফাজতে ইসলাম এবং শেষ পর্যন্ত যা গড়ায় অপারেশন শাপলা পর্যন্ত। যুদ্ধাপরাধ ইস্যু, আব্দুল কাদের মোল্লা মামলা এবং এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা শেষ পর্যন্ত এক সময় বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতিরও অন্যতম নির্ধারক হিসেবে আবির্ভূত হয়। শাহবাগের ধারাবাহিকতায় অপারেশন শাপলা এবং এর পরে অনুষ্ঠিত চারটি সিটি নির্বাচনে সরকারের ধরাশয়ী হবার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা বলেই প্রতীয়মান হয়েছে তখন। এসব ঘটনা ছাড়াও আইনী গুরুত্বের কারনে এ মামলা বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি আলোচিত ঘটনা হিসেবে স্থান করে নেয়। কারণ এই বিচারের রায় হয়ে যাবার পর আইন সংশোধন করা হয়েছে। বিচারিক আদালতের সাজা বাড়িয়ে আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে যা অতীতে এদেশে কখনো হয়নি বলে দাবি করে আসাসী পক্ষ।
চলতি বছর পাঁচ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীন সাজার রায় দেয়া হয়। এ রায়কে কেন্দ্র করে শাহবাগকেন্দ্রিক আন্দোলন গড়ে ওঠে । আন্দোলনকারীদের দাবি আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিতে হবে। এ দাবির প্রেক্ষিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হয় সরকার পক্ষের জন্য আপিলের বিধান রেখে। আইন সংশোধনের পর সরকার আব্দুল কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করে আপিল আবেদন করে।
ট্রাইব্যুনাল আইনে পূর্বের বিধান ছিল আসামী পক্ষ সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। আসামীর সাজা হলে রাষ্ট্রপক্ষের জন্য আপিলের বিধান ছিলনা। আসামীকে খালাস দেয়া হলে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের জন্য আপিলের বিধান ছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি আইন সংশোধন করে উভয় পক্ষকে আপিলের সমান সুযোগ দেয়া হয় এবং আইনের সংশোধনীকে ২০০৯ সাল থেকে কার্যাকারিতা প্রদান করা হয়।
আইনের সংশোধনীর কারনে আব্দুল কাদের মোল্লার আপিল শুনানী শেষ পর্যন্ত অ্যামিকাস কিউরি পর্যন্ত গড়ায়। এটিও ছিল এ মামলার অন্যতম একটি আলোচিত অধ্যায়। ১৮ ফেব্রুয়ারি আইনের যে সংশোধন করা হয়েছে তা আব্দুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি-না জানতে চেয়ে ২০ জুলাই সুপ্রীম কোর্টের সাতজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয় আপিল বিভাগ। এরা হলেন, সাবেক বিচারপতি টি এইচ খান, সাবেক এটর্নি জেনারেল প্রবীন আইনবিদ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ।
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড প্রদান করে। এরপরই শুরু হয় রিভিউ আবেদন নিয়ে বিতর্ক। ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রায় কার্যকরিতার উদ্যোগ নেয়ার সাথে সাথে জেলকোড প্রয়োগ না করা নিয়ে বিতর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। আসামী পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় আপিল বিভাগ মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তাই ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা বেআইনী। তাছাড়া এতদিন জেলকোড মেনে তাকে জেলে রাখা হলেও মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে জেলকোড না মানা তার প্রতি অবিচার। এ বিতর্ক অবসানের পূর্বেই ১০ ডিসম্বের রাতে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের উদ্যোগ নেয় সরকার। এ পরিস্থিতিতে রাতে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা দণ্ড স্থগিত করার আবেদন এবং রিভিউ আবেদন নিয়ে ছুটে যান চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর বাসভবনে। রাত সোয়া দশটার দিকে তিনি মৃত্যুদন্ড কার্যকর স্থগিত করে আদেশ দিলে আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয় এ মামলা।
সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে সাক্ষী নিয়ে জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে । আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী প্রকৃত মোমেনা বেগমকে হাজির না করে তার স্থলে অপর এক মহিলাকে মোমেনা বেগম সাজিয়ে হাজির করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেছে আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবার।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন আব্দুল কাদের মোল্লার স্ত্রী সানোয়ার জাহান।
রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে সাক্ষী নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগের পক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় প্রকৃত মোমেনা বেগমের ছবি মিরপুর জল্লাদখানা যাদুঘরে রক্ষিত আছে। মিরপুর জল্লাদখানা যাদুঘরে যে মোমেনা বেগমের ছবি রয়েছে তাকে হাজির করা হয়নি। তার স্থলে অপর মহিলাকে হাজির করা হয়েছে মোমেনা বেগম সাজিয়ে। তিনি বলেন, জল্লাদখানা যাদুঘরে রক্ষিত মোমেনা বেগমের ছবির সন্ধান পাওয়ার পরই তারা সাক্ষী নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সানোয়ার জাহান দাবি করেন, সর্বশেষ আমরা জানতে পেরেছি যে, একমাত্র সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আমার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেই মোমেনা বেগম আদৌ আদালতে সাক্ষী দিতেই আসনেনি। ক্যামেরা ট্রাইয়ালের নামে গোপন বিচারে ভুয়া একজন মহিলাকে মোমেনা বেগম সাজিয়ে আদালতে বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে । কিন্তু পরবর্তীতে জল্লাদখানায় সংরক্ষিত প্রকৃত মোমেনা বেগমের ছবি দেখে আমাদের আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া মোমেনা বেগম প্রকৃত মোমেনা বেগম ছিলেন না। অথচ এইরকম একজন ভুয়া স্বাক্ষীর তিন জায়গায় প্রদত্ত তিনরকমের বক্তব্যে পরে শুধুমাত্র তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই আমার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আমরা মনে করি তা নজিরবীহিন এবং এটি একটি ভুল রায়। আমরা মনে করি সংবিধান প্রদত্ত রিভিউ এর সুযোগ পেলে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়গুলি তুলে ধরার মাধ্যমে আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় পাল্টে যাওয়া সম্ভব।
নানা কারনে শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বজুড়ে একটি আলোচিত এবং ঘটনাবহুল মামলা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলাটি। এ মামলাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনার কারনে বারবার বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম হয় মামলাটি। সর্বশেষ মৃত্যুদন্ড কার্যকরের মাত্র দেড়ঘন্টা আগে তা স্থগিত হওয়ায় আবারো এ মামলা দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিশ্বসম্প্রদায়ের।
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে শাহবাগকেন্দ্রিক আন্দোলন। যার প্রতিকৃয়া হিসেবে উত্থান হয় হেফাজতে ইসলাম এবং শেষ পর্যন্ত যা গড়ায় অপারেশন শাপলা পর্যন্ত। যুদ্ধাপরাধ ইস্যু, আব্দুল কাদের মোল্লা মামলা এবং এরই ধারাবাহিকতায় একের পর এক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা শেষ পর্যন্ত এক সময় বাংলাদেশের রাজনীতির গতি প্রকৃতিরও অন্যতম নির্ধারক হিসেবে আবির্ভূত হয়। শাহবাগের ধারাবাহিকতায় অপারেশন শাপলা এবং এর পরে অনুষ্ঠিত চারটি সিটি নির্বাচনে সরকারের ধরাশয়ী হবার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা বলেই প্রতীয়মান হয়েছে তখন। এসব ঘটনা ছাড়াও আইনী গুরুত্বের কারনে এ মামলা বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি আলোচিত ঘটনা হিসেবে স্থান করে নেয়। কারণ এই বিচারের রায় হয়ে যাবার পর আইন সংশোধন করা হয়েছে। বিচারিক আদালতের সাজা বাড়িয়ে আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে যা অতীতে এদেশে কখনো হয়নি বলে দাবি করে আসাসী পক্ষ।
চলতি বছর পাঁচ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যাবজ্জীন সাজার রায় দেয়া হয়। এ রায়কে কেন্দ্র করে শাহবাগকেন্দ্রিক আন্দোলন গড়ে ওঠে । আন্দোলনকারীদের দাবি আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিতে হবে। এ দাবির প্রেক্ষিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হয় সরকার পক্ষের জন্য আপিলের বিধান রেখে। আইন সংশোধনের পর সরকার আব্দুল কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করে আপিল আবেদন করে।
ট্রাইব্যুনাল আইনে পূর্বের বিধান ছিল আসামী পক্ষ সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। আসামীর সাজা হলে রাষ্ট্রপক্ষের জন্য আপিলের বিধান ছিলনা। আসামীকে খালাস দেয়া হলে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের জন্য আপিলের বিধান ছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি আইন সংশোধন করে উভয় পক্ষকে আপিলের সমান সুযোগ দেয়া হয় এবং আইনের সংশোধনীকে ২০০৯ সাল থেকে কার্যাকারিতা প্রদান করা হয়।
আইনের সংশোধনীর কারনে আব্দুল কাদের মোল্লার আপিল শুনানী শেষ পর্যন্ত অ্যামিকাস কিউরি পর্যন্ত গড়ায়। এটিও ছিল এ মামলার অন্যতম একটি আলোচিত অধ্যায়। ১৮ ফেব্রুয়ারি আইনের যে সংশোধন করা হয়েছে তা আব্দুল কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি-না জানতে চেয়ে ২০ জুলাই সুপ্রীম কোর্টের সাতজন বিশিষ্ট আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয় আপিল বিভাগ। এরা হলেন, সাবেক বিচারপতি টি এইচ খান, সাবেক এটর্নি জেনারেল প্রবীন আইনবিদ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ।
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড প্রদান করে। এরপরই শুরু হয় রিভিউ আবেদন নিয়ে বিতর্ক। ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রায় কার্যকরিতার উদ্যোগ নেয়ার সাথে সাথে জেলকোড প্রয়োগ না করা নিয়ে বিতর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। আসামী পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় আপিল বিভাগ মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তাই ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা বেআইনী। তাছাড়া এতদিন জেলকোড মেনে তাকে জেলে রাখা হলেও মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে জেলকোড না মানা তার প্রতি অবিচার। এ বিতর্ক অবসানের পূর্বেই ১০ ডিসম্বের রাতে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের উদ্যোগ নেয় সরকার। এ পরিস্থিতিতে রাতে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা দণ্ড স্থগিত করার আবেদন এবং রিভিউ আবেদন নিয়ে ছুটে যান চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর বাসভবনে। রাত সোয়া দশটার দিকে তিনি মৃত্যুদন্ড কার্যকর স্থগিত করে আদেশ দিলে আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয় এ মামলা।
সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে সাক্ষী নিয়ে জালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে । আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী প্রকৃত মোমেনা বেগমকে হাজির না করে তার স্থলে অপর এক মহিলাকে মোমেনা বেগম সাজিয়ে হাজির করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেছে আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবার।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন আব্দুল কাদের মোল্লার স্ত্রী সানোয়ার জাহান।
রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে সাক্ষী নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগের পক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় প্রকৃত মোমেনা বেগমের ছবি মিরপুর জল্লাদখানা যাদুঘরে রক্ষিত আছে। মিরপুর জল্লাদখানা যাদুঘরে যে মোমেনা বেগমের ছবি রয়েছে তাকে হাজির করা হয়নি। তার স্থলে অপর মহিলাকে হাজির করা হয়েছে মোমেনা বেগম সাজিয়ে। তিনি বলেন, জল্লাদখানা যাদুঘরে রক্ষিত মোমেনা বেগমের ছবির সন্ধান পাওয়ার পরই তারা সাক্ষী নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সানোয়ার জাহান দাবি করেন, সর্বশেষ আমরা জানতে পেরেছি যে, একমাত্র সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আমার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেই মোমেনা বেগম আদৌ আদালতে সাক্ষী দিতেই আসনেনি। ক্যামেরা ট্রাইয়ালের নামে গোপন বিচারে ভুয়া একজন মহিলাকে মোমেনা বেগম সাজিয়ে আদালতে বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে । কিন্তু পরবর্তীতে জল্লাদখানায় সংরক্ষিত প্রকৃত মোমেনা বেগমের ছবি দেখে আমাদের আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া মোমেনা বেগম প্রকৃত মোমেনা বেগম ছিলেন না। অথচ এইরকম একজন ভুয়া স্বাক্ষীর তিন জায়গায় প্রদত্ত তিনরকমের বক্তব্যে পরে শুধুমাত্র তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই আমার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। আমরা মনে করি তা নজিরবীহিন এবং এটি একটি ভুল রায়। আমরা মনে করি সংবিধান প্রদত্ত রিভিউ এর সুযোগ পেলে সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়গুলি তুলে ধরার মাধ্যমে আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের রায় পাল্টে যাওয়া সম্ভব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন