২৯/১২/২০১৩
লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিশ্বখ্যাত সাময়িকী দ্যি ইকোনমিস্টকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বহুল আলোচিত স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে বিচার কাজে বাঁধা দান এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে ইকনোমিস্ট এর দুজন সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে এক বছর আগে রুল জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ তাদেরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টির নিস্পত্তি করা হয়।
বিচারপতি নিজামুল হক ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান থাকাকালে তার নেতৃত্বে গত বছর ৬ ডিসেম্বর ইকোনমিস্টের চিফ এডিটর রব গিফর্ড এবং দণি এশিয়া ব্যুরো চিফ এ্যাডাম রবার্টের প্রতি রুল জারি করা হয়। আজ ইকনোমিস্ট এর দুই সংবাদিককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলেও ট্রাইব্যুনাল কয়েকটি পর্যবেক্ষন তুলে ধরেন আদেশে। এগুলো হল ট্রাইব্যুনালের কোনো বিচারপতির সঙ্গে কোনো সাংবাদিক ফোনে, ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারবেন না। মামলাসংক্রান্ত কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। আইন লঙ্ঘন করে কোনো তথ্য সংগ্রহ করে তা গণমাধ্যমে প্রচার করা উচিত হবে না এবং ট্রাাইব্যুনাল কার্যক্রম নিয়ে খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বিচারপতি নিজামুল হক ট্রাইব্যুনাল এর চলমান বিচার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বেলজিয়ামে বসবাসরত ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে দীর্ঘ সময় নিয়ে স্কাইপ সংলাপ করেন এবং ইমেইল আদান প্রদান করেন। তাদের দুজনের এ স্কাইপ সংলাপ এর রেকর্ড এবং ইমেইল এর বিষয়বস্তু হস্তগত হয় ইকনোমিস্ট কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে খোঁজ খবর জানার জন্য ইকনোমিস্ট এর সাংবাদিক বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন।
গত বছর ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি নিজামুল হক ওপেন কোর্টে এ স্কাইপ এবং ইমেইল ফাঁস হওয়ার ঘটনা প্রকাশ করে বলেন তার স্কাইপ কথপোকথন এবং কম্পিউটার হ্যাক করেছে ইকনোমিস্ট। ইকোনমিস্ট তার কাছে এ বিষয়ে টেলিফোন করেছে। ওইদিন বিচারপতি নিজামুল হক স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল ডকুমেন্ট প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইকোনমিস্টের প্রতি রুল জারি করেন। একই সাথে স্কাইপ ও ইমেইল হ্যাকিং বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় তাদের কাছে।
আদেশে বলা হয়, ইমেইল, স্কাইপ, কম্পিউটার হ্যাক করা, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতিকে প্রভাবিত করার শামিল। টেলিফোনে চেয়ারম্যানের সাথে যিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি নিজেকে চেয়ারম্যানের সাথে কথপোকথনে লিপ্ত করেছেন এবং আইন অনুযায়ী তিনি এটি পারেননা। চেয়্যাারম্যান আরো জানতে পেরেছেন যে, ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের ইমেইল, স্কাইপ এবং কম্পিউটারও হ্যাক হয়েছে। এতে এটি পরিষ্কার যে, যারা এ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার কার্যক্রমকে ব্যহত করার কাজে লিপ্ত তারা এর সাথে জড়িত । এটা কোনমতেই মেনে নেয়া যায়না। কাজেই ইকোনমিস্টের সাউথ এশিয়া ব্যুরো চিফ এ্যাডাম রবার্টস এবং ইকোনমিস্টের চিফ এডিটর রব গিফর্ডের প্রতি আমরা নোটিশ জারি করছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ১১(৪) ধারা মোতাবেক কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রকৃয়া শুরু করা হবেনা সে মর্মে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে। তারা ইমেইল, স্কাইপি একাউন্টস এবং চেয়ারম্যানের কম্পিউটর থেকে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন তাও গোপন রাখার নির্দেশ দেয়া হল।
এ রুল জারির এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেন বিচারপতি নিজামুল হক। ৯ ডিসেম্বর থেকে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে স্কাইপ সংলাপ প্রকাশ শুরু হলে তীব্র সমালোচনার মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।
এদিকে ট্রাইব্যুনাল-২ এ মাওলানা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে আরো তিনজন সাক্ষীর জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষীদের জেরা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। একই ট্রাইব্যুনালে দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন এর সাবেক চেয়ারম্যান (এমসি) মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে ১৫ জানুয়ারি।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিশ্বখ্যাত সাময়িকী দ্যি ইকোনমিস্টকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বহুল আলোচিত স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে বিচার কাজে বাঁধা দান এবং আদালত অবমাননার অভিযোগে ইকনোমিস্ট এর দুজন সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে এক বছর আগে রুল জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আজ তাদেরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টির নিস্পত্তি করা হয়।
বিচারপতি নিজামুল হক ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান থাকাকালে তার নেতৃত্বে গত বছর ৬ ডিসেম্বর ইকোনমিস্টের চিফ এডিটর রব গিফর্ড এবং দণি এশিয়া ব্যুরো চিফ এ্যাডাম রবার্টের প্রতি রুল জারি করা হয়। আজ ইকনোমিস্ট এর দুই সংবাদিককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলেও ট্রাইব্যুনাল কয়েকটি পর্যবেক্ষন তুলে ধরেন আদেশে। এগুলো হল ট্রাইব্যুনালের কোনো বিচারপতির সঙ্গে কোনো সাংবাদিক ফোনে, ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারবেন না। মামলাসংক্রান্ত কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। আইন লঙ্ঘন করে কোনো তথ্য সংগ্রহ করে তা গণমাধ্যমে প্রচার করা উচিত হবে না এবং ট্রাাইব্যুনাল কার্যক্রম নিয়ে খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বিচারপতি নিজামুল হক ট্রাইব্যুনাল এর চলমান বিচার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বেলজিয়ামে বসবাসরত ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে দীর্ঘ সময় নিয়ে স্কাইপ সংলাপ করেন এবং ইমেইল আদান প্রদান করেন। তাদের দুজনের এ স্কাইপ সংলাপ এর রেকর্ড এবং ইমেইল এর বিষয়বস্তু হস্তগত হয় ইকনোমিস্ট কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে খোঁজ খবর জানার জন্য ইকনোমিস্ট এর সাংবাদিক বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন।
গত বছর ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি নিজামুল হক ওপেন কোর্টে এ স্কাইপ এবং ইমেইল ফাঁস হওয়ার ঘটনা প্রকাশ করে বলেন তার স্কাইপ কথপোকথন এবং কম্পিউটার হ্যাক করেছে ইকনোমিস্ট। ইকোনমিস্ট তার কাছে এ বিষয়ে টেলিফোন করেছে। ওইদিন বিচারপতি নিজামুল হক স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল ডকুমেন্ট প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইকোনমিস্টের প্রতি রুল জারি করেন। একই সাথে স্কাইপ ও ইমেইল হ্যাকিং বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় তাদের কাছে।
আদেশে বলা হয়, ইমেইল, স্কাইপ, কম্পিউটার হ্যাক করা, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য সংগ্রহ করা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারপতিকে প্রভাবিত করার শামিল। টেলিফোনে চেয়ারম্যানের সাথে যিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি নিজেকে চেয়ারম্যানের সাথে কথপোকথনে লিপ্ত করেছেন এবং আইন অনুযায়ী তিনি এটি পারেননা। চেয়্যাারম্যান আরো জানতে পেরেছেন যে, ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের ইমেইল, স্কাইপ এবং কম্পিউটারও হ্যাক হয়েছে। এতে এটি পরিষ্কার যে, যারা এ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার কার্যক্রমকে ব্যহত করার কাজে লিপ্ত তারা এর সাথে জড়িত । এটা কোনমতেই মেনে নেয়া যায়না। কাজেই ইকোনমিস্টের সাউথ এশিয়া ব্যুরো চিফ এ্যাডাম রবার্টস এবং ইকোনমিস্টের চিফ এডিটর রব গিফর্ডের প্রতি আমরা নোটিশ জারি করছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ১১(৪) ধারা মোতাবেক কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রকৃয়া শুরু করা হবেনা সে মর্মে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে। তারা ইমেইল, স্কাইপি একাউন্টস এবং চেয়ারম্যানের কম্পিউটর থেকে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন তাও গোপন রাখার নির্দেশ দেয়া হল।
এ রুল জারির এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেন বিচারপতি নিজামুল হক। ৯ ডিসেম্বর থেকে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে স্কাইপ সংলাপ প্রকাশ শুরু হলে তীব্র সমালোচনার মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।
এদিকে ট্রাইব্যুনাল-২ এ মাওলানা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে আরো তিনজন সাক্ষীর জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সাক্ষীদের জেরা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। একই ট্রাইব্যুনালে দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন এর সাবেক চেয়ারম্যান (এমসি) মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে ১৫ জানুয়ারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন