বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৩

মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে ৫ম সাক্ষী জবানবন্দী গ্রহণ শেষে জেরা শুরু

মেহেদী হাসান, ২৫/৪/২০১৩, ঢাকা:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ৫ম সাক্ষী নাজিম উদ্দিন খাত্তাবের  জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে  আজ। জবানবন্দী শেষে সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ  জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় বিচার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।

জবানবন্দী :
আমার নাম নাজিম উদ্দিন  খাত্তাব। আমার বয়স আনুমানিক ৬৩ বৎসর। আমার ঠিকানা- সাং করমজা মধ্যপাড়া, থানা সাথিয়া, জেলা পাবনা।
আমি এস,এস,সি পাশ। আমি মেরিন ট্রেড কোর্স সমাপ্ত করেছি। আমি ম্যাকানিকের কাজ করি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত আমি নিজের বাড়ি ও পাশের গ্রামে থাকতাম এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে খাবার সরবরাহ করতাম। আমি নিজে স্থানীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমাদের ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন খোদা বক্স প্রামানিক। তিনি পিস কমিটির চেয়ারম্যান ও মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫শে এপ্রিল তারিখ বেলা আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় আমার বাড়ির পাশের চৌকিদার পঁচা বিশ্বাস আমার বাড়িতে এসে বলে যে, নিজামী সাহেব এসেছেন বোর্ড অফিসে মিটিং করবেন তোমাদেরকে সেখানে যেতে হবে। আনুমানিক আধা ঘন্টা পর রফিকুন নবী বাবলু, মতিউর রহমান নিজামী সাহেব, আছাদ, আফজাল, মোসলেম, শুকুর, সিরাজ ডাক্তার গং বোর্ড অফিসের দরজা খুলে বারান্দায় আসেন। ইতোমধ্যে উল্লেখিত রফিকুন নবী বাবলু অকথ্য ভাষায় আমাদের গালি গালাজ আরম্ভ করে, কারণ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগ করতাম এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলাম। মতিউর রহমান নিজামী সাহেব তখন বলেন তোমরা যদি গ্রাম ছেড়ে চলে যাও তাহা হলে ধরে নিব তোমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছ এবং তোমাদের পিতা-মাতা ভাই-বোনদের হত্যা করব এবং বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে আর যদি বাড়িতে থাক তাহলে কোন অসুবিধা হবে না। ইউনিয়ন বোর্ড অফিসের চেয়ারম্যানের বাড়ি, বোর্ড অফিস, পোষ্ট অফিস এবং খানকা শরীফ একই কমপাউন্ডের মধ্যে অবস্থিত ছিল। ঐ ঘটনার তিনদিন পরে ২৮শে এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে আনুমানিক সকাল ৮-০০ টার দিকে আমার আপন মামা হাবিবুর রহমান সর্দার আনছার ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস দুজনে একত্রে আমার মামা বাড়ি থেকে সি এন্ড বি বাস ষ্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের নির্দেশে রাজাকার এবং দালাল আফজাল অন্যান্য রাজাকার এবং পাকিস্তানি আর্মিরা আমার মামা ও আক্কাসকে বাসস্ট্যান্ডের নিকট থেকে ধরে ফেলে এবং সেখানে তাদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। ঐ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবু সামা ফকির এবং অন্যান্য স্থানীয় লোকজন আমার নানার বাড়িতে ঐ ঘটনার সংবাদ দেয়। ঐ সময় আমি আমার নিজ বাড়িতে ছিলাম এবং অন্য লোক মারফতে ঘটনার বিষয় শুনতে পাই। তখণ আমি দৌড়ায়ে সি এন্ড বি বাস ষ্ট্যান্ডের দিকে আসি এবং দেখি আমার মামা এবং আক্কাসের লাশ পড়ে আছে। তারপর আমার মামার লাশ আমি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ধরাধরি করে আমার নানার বাড়িতে নিয়ে আসি। আমার সমস্ত শরীরে মামার গুলিবিদ্ধ লাশের রক্ত মেখে যায়। মামার মৃতদেহ জড়ায়ে ধরে আমি চিৎকার করে কাঁদতে থাকি। মামার লাশটি নানা বাড়িতে রেখে নানীর কথামত আমি পালিয়ে যাই, মামার লাশ আমি মাটি দিতে পারি নাই।

১৯৭১ সালের মে মাসের ৮ তারিখে আমার গ্রামে গণহত্যা, লুট, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ সব ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। ঐদিন রাত্রে আমাদের গ্রামের জমিদার শৈলেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্যের ছেলে প্রনব ভট্টাচার্য এবং নাতি দুলাল চক্রবর্তী আমার বাড়িতে এসে রাত্রে আমার সংগে ঘুমায়। ফজরের আজানের সময় হৈ চৈ কান্নাকাটির শব্দ শুনে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন আমরা তিনজনই জমিদার বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকি। পথিমধ্যে ঐ দুজনকে আমার বাড়ির নিকটবর্তী স্থানে রেখে আমি একাই জমিদার বাড়ির দিকে অগ্রসর হই। তখন দেখতে পাই প্রনব ভট্টাচার্যের মা বিবস্ত্র অবস্থায় তাদের বাড়ির পার্শ্বে গেটের সামনে চিৎকার করছে। আরও লক্ষ্য করি সেই মহিলার পার্শ্বে দাঁড়িয়ে আছে রফিকুন নবী বাবলু যিনি তিনটি থানার আলবদরের কমান্ডার ছিলেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে মোসলেম, আছাদ ও আফজাল ও পাকিস্তানি আর্মিরা। তারপর আমি ঐ অবস্থা দেখে সেখান থেকে আমার বাড়ির দিকে ফিরে এসে প্রনব ও দুলালকে পালিয়ে যেতে পরামর্শ দিই। তারপর আমার বাবা-মা, ভাই-বোনদেরকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বললে তারা পালিয়ে যায় এবং সর্বশেষ আমি নিজেও পালিয়ে বাড়ি থেকে আধা মাইল দূরে কাঁটাজোলা মাঠে চলে যাই। কিছুক্ষন পরে খোজ করে প্রনব ও দুলাল আমার নিকট আসে। তখন আমার মাঠের মধ্যে হাজরা গাছের (তেতুল গাছ) নীচে অবস্থান করি। এর কিছুক্ষনের মধ্যে প্রচুর গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পাই। তারপর জমিদার বাড়ির দিকে একটু একটু করে অগ্রসর হতে থাকি এবং ছোনের ভিটায় এসে দাঁড়াই। ঐ সময় সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় তারা হালদারকে দেখতে পাই। আমাদেরকে দেখে তিনি বলেন তোমরা ঐদিকে আগায়ে যেয়ো না এবং আরও বলেন যে, মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের উপস্থিতিতে রফিকুন নবী বাবলু, আছাদ, আফজাল, মোসলেম এবং পাকিস্তানি আর্মিরা সমগ্র গ্রাম ঘিরে ফেলেছে এবং তারা হালদার আরও বলেন যে, তাকে সহ তার দাদা ষষ্টি হালদার, দুই ভাতিজা আদু ও কার্তিক এবং দাদা শান্তি হালদার, জমিদার শৈলেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য ওরফে মেঘা ঠাকুর, তার ছেলে দিজেন্দ্র নাথ ভট্টচার্য ও করু ঠাকুর, আবু জাফর, মোরালী চন্দ্র দাস (মালী), সুরেশ চন্দ্র হালদার, ফকির চাঁদ গং কে ধরে নিয়ে এসে শৈলেন্দ্র নাথ ভট্টচার্যের পূজা ঘরের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করায়। ইতোমধ্যে জাফরকে তার শ্বশুর মোসলেম দালাল লাইন থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তারপর লাইনে দাঁড় করানো লোকদেরকে আর্মিরা বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে এবং ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। তারা হালদার আরও বলে যে, তিনি ঐ লাইন থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। তারপর ধীরে ধীরে আমরা তিনজন জমিদার বাড়ির ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি কারো নাড়ি ভূড়ি বাহির হয়ে গেছে, কারো মাথার খুলি উড়ে গেছে, কেউ কেউ বিবস্ত্র অবস্থায় ছড়ায়ে ছিটায়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ভিতর বাড়িতে ঢুকে দেখি জমিদারের মেয়ে শিবানী এবং পুত্রবধু ও জনৈক আজগরের স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনা দেখে প্রনব ও দুলাল তাদের পরিবারের জীবিত সদস্যদেরকে নিয়ে পালিয়ে ভারতে চলে যায়। তখন ঐ মৃতদেহগুলির মধ্যে ৮জনকে একটা কুয়ার মত গর্ত করে পূজাঘরের পাশে মাটি চাপা দেওয়া হয় এবং অপর একজন নীচু জাতের হওয়ায় আপত্তির মুখে আলাদাভাবে মাটি চাপা দেওয়া হয় এবং আমি সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে চলে যাই।

১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম দিকে জানতে পারি মতিউর রহমান নিজামী সাহেব সমগ্র পাকিস্তানের আলবদরের কমান্ডার এবং ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় আমি অধ্যাপক আবু সাইদের পক্ষে নৌকা মার্কায় প্রচার কাজ পরিচালনা করতাম। মতিউর রহমান নিজামী সাহেব ঐ নির্বাচনে আনোয়ারুল হক আনোয়ারের পক্ষে দাড়িপাল্লায় কাজ করতেন। তখন থেকে আমি তাকে চিনি। মাতিউর রহমান নিজামী সাহেবের স্বাক্ষরিত আই,ডি, কার্ড পচাঁ বিশ্বাস ও খোদা বক্সের নিকট আমি দেখেছি।

২০০০ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে আমি, অধ্যাপক আবু সাইদ, গনেশ মৈত্র, পাবনা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় প্রশাসন, মুক্তিযুদ্ধকালীন দুই থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে যে স্থানে নিহতদের মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল সেই গর্ত থেকে তাদের মাথার খুলি এবং হাড়গোড় তুলে অধ্যাপক আবু সাইদ এর নিকট দিলে তিনি উহা থানায় জমা দেন। আমি আমার মামা সহ পাবনা জেলার যত নিরিহ জনগণকে আলবদর ও রাজাকাররা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। মতিউর রহমান নিজামী সাহেব অদ্য ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় উপস্থিত আছেন (সনাক্তকৃত)। আমি অত্র মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট জবানবন্দী প্রদান করেছি ২০১০ সালের নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে বোধ হয়।

জবানবন্দী শেষে সাক্ষীকে জেরা করেন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।

জেরা :
প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আপনার  নাম নাই।
উত্তর :  নাই।
প্রশ্ন : শামসুল হক টুকু সাহেব আপনাকে কথা দিয়েছেন পরের তালিকায় আপনার নাম রাখা হবে।
উত্তর : শামসুল হক টুকু নয়, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কথা দিয়েছেন পরের তালিকায় আমার নাম  রাখা হবে।
প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নাম কি?
উত্তর : সাথিয়া থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের (ভারপ্রাপ্ত) নাম জহুরুল হক।
প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিবকে চেনেন?
উত্তর : চিনি তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হাবিবুর রহমান হাবিব কোন কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন কিনা বলতে পারেন?
উত্তর :  আমার জানা নাই।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধকালে তার সাথে দেখা হয়েছিল?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : তার সাথে কতদিনের পরিচয় আপনার?
উত্তর : আট/দশ বছর।
প্রশ্ন : তার পিতা ১৯৭১ সালে নকশালদের দ্বারা নিহত হয়েছিলেন কিনা শুনেছেন?
উত্তর :  আমার জানা নাই।
প্রশ্ন : তার পিতার মৃত্যু সম্পর্কে আপনার কোন  ধারণা আছে?
উত্তর :  নাই।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালে পাবনা শহরে আপনার যাতায়াত ছিল?
উত্তর : না।
প্রশ্ন :  আবু সাঈদ সাহেব ১৯৭০ সালে নির্বাচিত হওয়ার আগে ঐ এলাকায় এম.এন.এ কে ছিলেন  বলতে পারবেন?
উত্তর : আমার জানা নাই।
প্রশ্ন : আপনাদের এলাকায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অধ্যাপক আবু সাঈদ, আনোয়ারুল হক ছাড়া আর কারা প্রার্থী ছিল?
উত্তর :  মুসলিম লীগের শুকুর ছাড়া আরও প্রার্থী ছিলেন তবে তাদের নাম আমার মনে নাই।
প্রশ্ন : আবু সাঈদ সাহেব ছাড়া  আর কেউ জিতেছিল?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ৬/৭ দিন পর আবার ভোট হয়নি?
উত্তর : তিনি  নির্বাচিত হওয়ার পরে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ঐ এলাকায় আর কোন নির্বাচন হয় নাই।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালে আপনি কি করতেন?
উত্তর : দশম শ্রেণিতে পড়তাম।
উত্তর : কোন স্কুলে?
উত্তর : বেড়া বিপিন বিহারী হাইস্কুলে।
প্রশ্ন : এসএসসি পাশ করেছেন কবে?
উত্তর : ১৯৭৩ সালে
প্রশ্ন : কোন স্কুল থেকে?
উত্তর :  এমএ হাইস্কুল থেকে ।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে আপনি কোন স্কুলের ছাত্র ছিলেননা।
উত্তর : ছিলামনা।
প্রশ্ন : খোদা বক্সকে কতদিন থেকে চিনতেন?
উত্তর : ছোট বেলা থেকেই ।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আপনার  মামা হাবিবুর রহমানকে হত্যার অভিযোগে খোদাবক্স প্রমাণিক ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেফতার করা হয়েছিল?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আপনাদের  এলাকার কোন স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়েছিল বা  এবং কেউ আটক হয়েছিল?
উত্তর : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমাদের এলাকার কোন স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয় নাই বা কাউকে আটক করা হয় নাই। শুধুমাত্র খোদাবক্সকে মুক্তিযোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল এবং ঐদিনই তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। পরবর্তীতে খোদাবক্স প্রামাণিকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালে আপনি ভোটার ছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : এস.এস.সি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনে আপনার জন্ম তারিখ কত লেখা আছে?
উত্তর : মনে নাই।
প্রশ্ন : আপনার এস.এস.সি সার্টিফিকেট আছে?
উত্তর : হারিয়ে গেছে।
প্রশ্ন : কিভাবে হারাল?
উত্তর :  কিভাবে হারিয়ে গেছে তা আমার মনে নাই।
প্রশ্ন : আনছার মোস্তফা কামাল মুক্তিযুদ্ধ করেনি।
উত্তর : করেছে। সে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিত।
প্রশ্ন : কোথায় যুদ্ধ  করেছে সে?
উত্তর :  বেড়া, সাথিয়া ও শাহাজাদপুরের অংশ বিশেষ এলাকায়
এ পর্যন্ত জেরার পর আগামী রোববার পর্যন্ত জেরা মুলতবি করা হয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন