মেহেদী হাসান, ২৮/৪/২০১৩
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী’র বিরুদ্ধে পঞ্চম সাক্ষী নাজিম উদ্দিন খাত্তাব এর জেরা আজ শেষ হয়েছে। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে নিজেকে এসএসসি পাশ দাবি করলেও তিনি সামরিক ও বেসমাকি শব্দের মধ্যে কি পার্থক্য তা বলতে পারলেননা। এমনকি ‘সামরিক’ এবং ‘বেসামরিক’ শব্দ দুটি বাংলা কি-না তাও তিনি বোঝেননা বলে জবাব দেন।
মাওলানা নিজামীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, সামরিক এবং বেসামরিক এর মধ্যে পার্থক্য আপনি বোঝেন?। তখন সাক্ষী বলেন, না আমি বুঝিনা। বাংলায় বলেন। বাংলায় বুঝিয়ে বলেন। তখন মিজানুল ইসলাম বলেন, আমি তো বাংলায়ই বলছি। সামরিক ও বেসামরিক বাংলা শব্দ।
সাক্ষী তখন বলেন, এগুলো বাংলা শব্দ কি-না তাও আমি বুঝিনা। এরপর মিজানুল ইসলাম সামরিক ও বেসামরিক শব্দের স্থলে ইংরেজি বলে প্রশ্ন করলে সাক্ষী ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি আর আপনার প্রশ্নের কোন জবাবই দেবনা।
এছাড়া সাক্ষী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিলের আগেই তিনি রাজাকার, আলবদর আল শামসের নাম শুনেছেন। মিজানুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, আসলে এসব বাহিনী ১৯ এপ্রিলের পরে গঠিত হয়েছিল। তিনি কি করে ১৯ এপ্রিলের আগে এসবের নাম শুনতে পেলেন তা আমাদোর বুঝে আসছেনা।
গত ২৫ তারিখ বৃহষ্পতিবার নাজিম উদ্দিন খাত্তাবের জবানবন্দী শেষে তার জেরা শুরু হয়। আজ তার জেরা শেষ হয়েছে। তাকে জেরায় অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।
জেরা (সংক্ষিপ্ত) :
প্রশ্ন : আপনি পিস কমিটির নাম প্রথম কবে শুনেছেন?
উত্তর : ডাববাগান যুদ্ধের আগে অর্থাৎ ১৯ এপ্রিলের আগেই শুনেছি। একই সাথে রাজাকার, আলবদর, আল শামসের নামও শুনেছি।
প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করা ছাড়া আপনি কি তাদের কাছে রাজাকার, পাকিস্তানী সৈন্যদের অবস্থান গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : প্রণব এবং দুলাল ভারতের কোথায় থাকে?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ৮ মে’র ঘটনার পর আর তাদের সাথে দেখা হয়নি?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : মেগা ঠাকুরের ওই বাড়ির মালিক এখন কে?
উত্তর : বাড়ি জবর দখল হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : কারা দখল করেছে?
উত্তর : মুসা এবং দারগা আলীর ছেলে।
প্রশ্ন : এরা কোন দল করে?
উত্তর : একজন বাইরে বাইরে আওয়ামী লীগ করে আরেকজন ফুল বিএনপি করে।
প্রশ্ন : তারিনী চৌধুরী এবং জগমায়া দেবী’র নাম শুনেছেন?
উত্তর : জগমায়াকে আমি দেখেছি। তারা ভাইবোন। তাদের পিতা আমাদের এলাকার জমিদার ছিলেন।
প্রশ্ন : তারিনী চৌধুরী কবে দেশত্যাগ করেন?
উত্তর : পাকিস্তান পিরিয়ডে। তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন : আমি বলছি মেগা ঠাকুর কখনো জমিদার ছিলেননা।
প্রশ্ন : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনি যেসব ঘটনার বিবরন দিলেন সে বিষয়ে কখনো মামলার উদ্যোগ নিয়েছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন হয়েছে মর্মে কোন কমিটির নাম আপনি শুনেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ষষ্ঠি হালদারের নাম শুনেছেন?
উত্তর : তাকে দেখেছি।
প্রশ্ন : তার মেয়ে পার্বতী আপনাদের এলাকায় থাকে?
উত্তর : না ।
প্রশ্ন : দুলালী বেগমকে চেনেন?
উত্তর : চিনি।
প্রশ্ন : মেগা ঠাকুরের কয় মেয়ে?
উত্তর : তিন মেয়ে।
প্রশ্ন : মেগা ঠাকুরের এক মেয়ে বানীর ছেলে দুলাল ঠিকতো?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : বানী ও দুলাল ঢাকায় থাকে?
উত্তর : বানী পাবনা আর দুলাল ঢাকায় থাকে।
প্রশ্ন : আপনার মামলার লাশ আপনার নানার বাড়ি নিয়ে যাবার সময় আপনার সাথে আর কারা ছিল?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : আপনার মামারা কয়ভাই?
উত্তর : চার ভাই।
প্রশ্ন : পুরো স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে নিজামী সাহেবকে আপনার এলাকায় দেখেছেন?
উত্তর : মাত্র দুইবার দেখেছি।
প্রশ্ন : কখন?
উত্তর : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ভোট চাওয়ার দিন আর একবার যুদ্ধের সময় মিটিংয়ে দেখেছি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে ওই একবার দেখা ছাড়া বাকী সময় নিজামী সাহেব কোথায় থাকতেন কি করতেন তার কিছুই আপনি জানেননা?
উত্তর : না জানিনা।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর প্রথম কবে কোথায় দেখলেন তাকে?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর নিজামী সাহেব কোথায় কি করতেন সে বিষয়ে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেছেন?
উত্তর ধ না।
প্রশ্ন : খোদা বক্স প্রামানিকের অফিসে কখনো যাননি আপনি।
উত্তর : মাঝে মাঝে যেতাম।
প্রশ্ন : কেন যেতেন?
উত্তর : আমি যে গ্রামে অবস্থান করছি তা বোঝানোর জন্য।
প্রশ্ন : সাধারন মানুষকে কি তখন আইডি কার্ড দেয়া হত।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : কোন রাজাকারের কাড় আপনি দেখেননি।
উত্তর : আমাকে পেলেতো তারা মেরে ফেলত।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে করমজায় কয়জন চকিদার ছিল?
উত্তর : পচা চকিদার, পাচশোনাথ এবং তোনা চকিদার
উত্তর : পচা আর পাচশোনাথ চকিদারকে খোদাবক্স কার্ড সই করে দিয়েছিল?
উত্তর : না, তাদের কার্ডে নিজামী সাহেবের নাম ছিল।
উত্তর : নিজামী সাহেবের সই আগে কখনো দেখেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর কোন রাজাকার, আলবদর, আল শামস এবং পিস কমিটির সদস্যকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে পাঠানোর কথা শুনেছেন বা দেখেছেন কি-না।
উত্তর : না। কারণ সবাই পলাতক ছিল।
প্রশ্ন : আপনাদের এলাকায় ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ ব্যক্তিবর্গের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছিল?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনার মামা আপনার বর্নিত মতে নিহত হননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : শহীদ ব্যক্তিবর্গের তালিকায় আপনার মামার নাম নেই।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : আপনি কি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে সই করেছিলেন?
উত্তর : মনে হয় করেছি।
প্রশ্ন : আপনি এসএসসি পাশ, ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করা, মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষন নেয়ার কথা তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেননি।
উত্তর : বলেছি।
প্রশ্ন : সামরিক বেসমারিক এর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন?
উত্তর : না বুঝিনা। বাংলায় বলেন। বাংলায় বুঝিয়ে বলেন।
প্রশ্ন : আমি তো বাংলায়ই বলেছি। এগুলোতো বাংলা শব্দ। আপনি এসএসসি পাশ করেছেন বলছেন। এগুলোতো বোঝার কথা।
উত্তর : ওগুলো বাংলা কি-না তাও আমি বুঝিনা।
প্রশ্ন : আমর্ড পারসন ও সিভিলিয়ান পারসন বলতে কি বোঝায় জানেন?
উত্তর : বুঝিনা। (সাক্ষী এসময় বিরক্ত হয়ে বলেন, আমি আর আপনার প্রশ্নের জবাব দেবনা।)
এরপর মিজানুল ইসলাম আরো কয়েকটি প্রশ্নের পর ডিনায়াল এবং সাজেশন দিয়ে জেরা শেষ করেন। আগামীকাল মঙ্গলবার মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে ষষ্ঠ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী’র বিরুদ্ধে পঞ্চম সাক্ষী নাজিম উদ্দিন খাত্তাব এর জেরা আজ শেষ হয়েছে। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে নিজেকে এসএসসি পাশ দাবি করলেও তিনি সামরিক ও বেসমাকি শব্দের মধ্যে কি পার্থক্য তা বলতে পারলেননা। এমনকি ‘সামরিক’ এবং ‘বেসামরিক’ শব্দ দুটি বাংলা কি-না তাও তিনি বোঝেননা বলে জবাব দেন।
মাওলানা নিজামীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন, সামরিক এবং বেসামরিক এর মধ্যে পার্থক্য আপনি বোঝেন?। তখন সাক্ষী বলেন, না আমি বুঝিনা। বাংলায় বলেন। বাংলায় বুঝিয়ে বলেন। তখন মিজানুল ইসলাম বলেন, আমি তো বাংলায়ই বলছি। সামরিক ও বেসামরিক বাংলা শব্দ।
সাক্ষী তখন বলেন, এগুলো বাংলা শব্দ কি-না তাও আমি বুঝিনা। এরপর মিজানুল ইসলাম সামরিক ও বেসামরিক শব্দের স্থলে ইংরেজি বলে প্রশ্ন করলে সাক্ষী ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি আর আপনার প্রশ্নের কোন জবাবই দেবনা।
এছাড়া সাক্ষী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিলের আগেই তিনি রাজাকার, আলবদর আল শামসের নাম শুনেছেন। মিজানুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, আসলে এসব বাহিনী ১৯ এপ্রিলের পরে গঠিত হয়েছিল। তিনি কি করে ১৯ এপ্রিলের আগে এসবের নাম শুনতে পেলেন তা আমাদোর বুঝে আসছেনা।
গত ২৫ তারিখ বৃহষ্পতিবার নাজিম উদ্দিন খাত্তাবের জবানবন্দী শেষে তার জেরা শুরু হয়। আজ তার জেরা শেষ হয়েছে। তাকে জেরায় অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।
জেরা (সংক্ষিপ্ত) :
প্রশ্ন : আপনি পিস কমিটির নাম প্রথম কবে শুনেছেন?
উত্তর : ডাববাগান যুদ্ধের আগে অর্থাৎ ১৯ এপ্রিলের আগেই শুনেছি। একই সাথে রাজাকার, আলবদর, আল শামসের নামও শুনেছি।
প্রশ্ন : মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করা ছাড়া আপনি কি তাদের কাছে রাজাকার, পাকিস্তানী সৈন্যদের অবস্থান গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : প্রণব এবং দুলাল ভারতের কোথায় থাকে?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ৮ মে’র ঘটনার পর আর তাদের সাথে দেখা হয়নি?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : মেগা ঠাকুরের ওই বাড়ির মালিক এখন কে?
উত্তর : বাড়ি জবর দখল হয়ে গেছে।
প্রশ্ন : কারা দখল করেছে?
উত্তর : মুসা এবং দারগা আলীর ছেলে।
প্রশ্ন : এরা কোন দল করে?
উত্তর : একজন বাইরে বাইরে আওয়ামী লীগ করে আরেকজন ফুল বিএনপি করে।
প্রশ্ন : তারিনী চৌধুরী এবং জগমায়া দেবী’র নাম শুনেছেন?
উত্তর : জগমায়াকে আমি দেখেছি। তারা ভাইবোন। তাদের পিতা আমাদের এলাকার জমিদার ছিলেন।
প্রশ্ন : তারিনী চৌধুরী কবে দেশত্যাগ করেন?
উত্তর : পাকিস্তান পিরিয়ডে। তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন : আমি বলছি মেগা ঠাকুর কখনো জমিদার ছিলেননা।
প্রশ্ন : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনি যেসব ঘটনার বিবরন দিলেন সে বিষয়ে কখনো মামলার উদ্যোগ নিয়েছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন হয়েছে মর্মে কোন কমিটির নাম আপনি শুনেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ষষ্ঠি হালদারের নাম শুনেছেন?
উত্তর : তাকে দেখেছি।
প্রশ্ন : তার মেয়ে পার্বতী আপনাদের এলাকায় থাকে?
উত্তর : না ।
প্রশ্ন : দুলালী বেগমকে চেনেন?
উত্তর : চিনি।
প্রশ্ন : মেগা ঠাকুরের কয় মেয়ে?
উত্তর : তিন মেয়ে।
প্রশ্ন : মেগা ঠাকুরের এক মেয়ে বানীর ছেলে দুলাল ঠিকতো?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : বানী ও দুলাল ঢাকায় থাকে?
উত্তর : বানী পাবনা আর দুলাল ঢাকায় থাকে।
প্রশ্ন : আপনার মামলার লাশ আপনার নানার বাড়ি নিয়ে যাবার সময় আপনার সাথে আর কারা ছিল?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : আপনার মামারা কয়ভাই?
উত্তর : চার ভাই।
প্রশ্ন : পুরো স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে নিজামী সাহেবকে আপনার এলাকায় দেখেছেন?
উত্তর : মাত্র দুইবার দেখেছি।
প্রশ্ন : কখন?
উত্তর : ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ভোট চাওয়ার দিন আর একবার যুদ্ধের সময় মিটিংয়ে দেখেছি।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে ওই একবার দেখা ছাড়া বাকী সময় নিজামী সাহেব কোথায় থাকতেন কি করতেন তার কিছুই আপনি জানেননা?
উত্তর : না জানিনা।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর প্রথম কবে কোথায় দেখলেন তাকে?
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর নিজামী সাহেব কোথায় কি করতেন সে বিষয়ে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেছেন?
উত্তর ধ না।
প্রশ্ন : খোদা বক্স প্রামানিকের অফিসে কখনো যাননি আপনি।
উত্তর : মাঝে মাঝে যেতাম।
প্রশ্ন : কেন যেতেন?
উত্তর : আমি যে গ্রামে অবস্থান করছি তা বোঝানোর জন্য।
প্রশ্ন : সাধারন মানুষকে কি তখন আইডি কার্ড দেয়া হত।
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : কোন রাজাকারের কাড় আপনি দেখেননি।
উত্তর : আমাকে পেলেতো তারা মেরে ফেলত।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে করমজায় কয়জন চকিদার ছিল?
উত্তর : পচা চকিদার, পাচশোনাথ এবং তোনা চকিদার
উত্তর : পচা আর পাচশোনাথ চকিদারকে খোদাবক্স কার্ড সই করে দিয়েছিল?
উত্তর : না, তাদের কার্ডে নিজামী সাহেবের নাম ছিল।
উত্তর : নিজামী সাহেবের সই আগে কখনো দেখেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : স্বাধীনতার পর কোন রাজাকার, আলবদর, আল শামস এবং পিস কমিটির সদস্যকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে পাঠানোর কথা শুনেছেন বা দেখেছেন কি-না।
উত্তর : না। কারণ সবাই পলাতক ছিল।
প্রশ্ন : আপনাদের এলাকায় ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ ব্যক্তিবর্গের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছিল?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনার মামা আপনার বর্নিত মতে নিহত হননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : শহীদ ব্যক্তিবর্গের তালিকায় আপনার মামার নাম নেই।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : আপনি কি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে সই করেছিলেন?
উত্তর : মনে হয় করেছি।
প্রশ্ন : আপনি এসএসসি পাশ, ক্যাম্পে খাবার সরবরাহ করা, মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষন নেয়ার কথা তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেননি।
উত্তর : বলেছি।
প্রশ্ন : সামরিক বেসমারিক এর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন?
উত্তর : না বুঝিনা। বাংলায় বলেন। বাংলায় বুঝিয়ে বলেন।
প্রশ্ন : আমি তো বাংলায়ই বলেছি। এগুলোতো বাংলা শব্দ। আপনি এসএসসি পাশ করেছেন বলছেন। এগুলোতো বোঝার কথা।
উত্তর : ওগুলো বাংলা কি-না তাও আমি বুঝিনা।
প্রশ্ন : আমর্ড পারসন ও সিভিলিয়ান পারসন বলতে কি বোঝায় জানেন?
উত্তর : বুঝিনা। (সাক্ষী এসময় বিরক্ত হয়ে বলেন, আমি আর আপনার প্রশ্নের জবাব দেবনা।)
এরপর মিজানুল ইসলাম আরো কয়েকটি প্রশ্নের পর ডিনায়াল এবং সাজেশন দিয়ে জেরা শেষ করেন। আগামীকাল মঙ্গলবার মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে ষষ্ঠ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন