বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

ভাবীও মামলা করেছিল সাক্ষীর বিরুদ্ধে

মেহেদী হাসান, ২/১/২০১২
আজ অষ্টম সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদারের অসমাপ্ত জেরা আবার শুরু হয়। আজকের     জেরার সময়  তিনি স্বীকার করেছেন তার ভাইয়ের পরিবারে হামলার কারনে তার ভাবী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।  তবে সে মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। অন্যদিকে  জন্ম সনদ অনুযায়ী ১৯৭১ সালে  সাক্ষীর বয়স ছিল ১৩ বছর ।

২/১/১২ তারিখ দিনব্যাপী তাকে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে জানান জন্ম সনদ  এবং ভোটার তালিকা অনুযায়ী সাক্ষী  মোস্তফা হাওলাদারের বয়স ১৯৭১ সালে ১৩ বছর ছিল।  সাক্ষী রোববার আদালতে জবানবন্দীর সময় তার বয়স ৫৬ বছর উল্লেখ করেছিল। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আজ  আদালতকে জানান জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং ভোটার লিস্ট উভয় তালিকায়  সাক্ষী তার  জন্ম তারিখ উল্লেখ করেছেন   ৫/১২/১৯৫৭। সে হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় সাক্ষীর বয়স ছিল ১৩ বছর তিন মাস ।
জেরায় অষ্টম সাক্ষী  মোস্তফা হাওলাদার একাধিক স্ত্রী থাকার কথা  স্বীকার করেছেন । 

তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষীর দেয়া  জবানবন্দী  এবং আদালতে দেয়া জবানবন্দীর সাথে  ব্যাপক বৈপরীত্য তুলে ধরেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী।


অষ্টম সাক্ষীর অসমাপ্ত জেরা:
আইনজীবী: আপনি জবানবন্দীতে সাক্ষীর করেছিলেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: জব্দ তালিকায় সাক্ষর করেছিলেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: আপনি পড়ালেখা জানেন?
সাক্ষী: না । শুধু সই করতে জানি।
আইনজীবী: মানিক পসারীর মালামাল ছাড়া অন্য কোন মালামাল জব্দ হয়?
সাক্ষী: না।

আইনজীবী: আব্দুর রাজ্জাক, দেলোয়ার হোসেন, তাহের  আলী হাওলাদার, আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, রানী, এজাহার আলী, মোহাম্মদ আলী, মকবুল শিকদার এদের বাড়ি বারইখালি। এরা ইব্রাহিম কুট্টি  ও তার শ্যালক সাহেব আলী সিরাজের হত্যা মামলার আসাম তা আপনি জানেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি এটাও জানেন যে, ১৯৭১ সালের ১ অক্টোবর  সাহেব আলী  এবং ইব্রাহীমকে সাহেব আলীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।
সাক্ষী:  জানা নেই।
আইনজীবী: পারেরহাটের চেয়ারম্যান দানেস আলী মোল্লা, আতাহার আলী হাওলাদার  বারইখালি,  আশ্রাব আলী হাওলাদার টেংরাটিলা, , আব্দুল মান্নান বাদুরা, আইউব আলী, কালাম চকিদার দুজনই বারইখালি, রুহুল আমিন পারেরহাট, আব্দুল হাকিম  মুন্সি বারইখালি, মমিন উদ্দিন গাজীপুর পিরোজপুর, সেকেন্দার আলী শিকদার হোগলাবুনিয়া, তৎকালীন এএসআই শামসুর রহমান, মোসলেম মাওলানা বাদুরা এদের চেনন?
সাক্ষী: সবাইকে চিনিনা। দানেস মোল্লা, মোসলেম মাওলানা, সেকেন্দার শিকদার, রুহুল আমিন এদের চিনি।
আইনজীবী: যাদের নাম বললাম এরা পাক হানাদার বাহিনীর সহায়তায় ইব্রাহীম কুট্টি ও সাহেব আলী সিরাজকে সাহেব আলীর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ১৯৭১ সালের  ১ অক্টোবার মাসে হত্যা করে। এ বিষয়টিও আপনি জানেন।
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: ইব্রাহিমের স্ত্রী  মমতাজ বেগম বাদী হয় তাই স্বামী এবং ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ১৯৭২ সালের ১৬ জুলায় পিরোজপুর কোর্টে মামলা করেছিলেন । এ বিষয়টিও আপনি জানেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ঐ মামলায় এদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আপনি তাও জানেন।
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: আপনি মাওলানা সাঈদী সাহেবকে জড়িয়ে  ১৯৭১ সালের মে মাসে পারেরহাট বাজারে  ইব্রাহীম কুট্টিকে  হত্যা এবং নদীতে লাশ ফেলে দেয়ার যে বিবরন দিয়েছেন   তা মিথ্যা জেনেও শেখানো মতে বক্তব্য দিয়েছেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনিতো পুরো যুদ্ধের সময় পারেরহাট বাজারে ছোলামুরি ফেরি করে বিক্রি করার কথা বলেছেন। তো পারেরহাট বাজারে যেসব রাজাকার  এবং পিস কমিটির  লোকজন চলাফেরা করত তাদের সবাইকে চেনেন?
সাক্ষী: দুই একজন, দুই চার পাঁচ জন চিনি।
আইনজীবী: রাজাকার দেলোয়ার হোসেন মল্লিককে চেনেন?
সাক্ষী: এই নামে কোন রাজাকার ছিলনা। এই নামে কোন লোককেও চিনতামনা।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেন শিকদারের পিতার নাম ছিল রসুল শিকদার তাকে চেনেন?
সাক্ষী: চিনিনা।
আইনজীবী: আব্দুর রাজ্জাক রাজাকারকে চেনেন?
সাক্ষী: চিনি।
আইনজীবী: রাজাকার মানিক খন্দকারকে চিনতেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: ইব্রাহীম হত্যা  এবং মানিক পসারীর বাড়িতে আগুন দেয়া বিষয়ে পিরোজপুর আদালতে মানিক পসারী ২০০৯ সালে  মামলা করেছিল তা জানেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: পিরোজপুর  সদর থানার এসআই আজিম আপনার বাড়িতে গিয়েছিলেন?

সাক্ষী: এসআই নূর মোহাম্মদ মামলা করে। আইম ঐ মামলায় সাক্ষী দিয়েছি।
আইনজীবী: ঐ মামলায় মানিক পসারী, আইউব আলী, বাসু দেব মিস্ত্রি, মফিজ উদ্দিন  পসারী, মোখলেস পসারী হরিপদ পসারী এদের সাথে  সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: ঐ জবানবন্দীতে নূর খার বাড়ি লুটপাট,  আগুন দেয়া, পারেরহাট বাজারে লুটপাটের কথা বলেছিলেন?
সাক্ষী: বলেছি।
আইনজীবী: ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যা করতে দেখেছেন এরকম কোন  কথা বলেছিলেন?
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী:   পিরোজপুর মামলায় এসআই নূর মোহাম্মদ  এবং এই আদালতের মামলায়  তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ছাড়া এ ঘটনা বিষয়ে আপনি আর কোথাও কোন সাক্ষ্য দেননি বা অভিযোগও করেননি।
সাক্ষী: সত্য।
আইনজীবী: আপনি ১৯৭১ সালে ৭ মে  পারেহাট বাজারে ২৬টি রিক্সাযোগে  ৫২ জন আর্মি আসার যে কথা বলেছেন  সে কথা কি পিরোজপুর মেজিস্ট্রেট এর কাছে দেয়া জবানবন্দীতে বলেছিলেন?
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালের   মে মাসের ৮ তারিখের ঘটনার আগে প্রতিদিন আপনি পারেরহাট বাজারে ছোলামুড়ি বিক্রি করতেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: রাজাকার অফিসেও যেতেন ছোলামুড়ি বেঁচতে?
সাক্ষী: ভয়ে যেতামনা।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালের মে মাসের চার এবং পাঁচ তারিখ মাওলানা সাঈদী সাহেব পারেরহাট  ছিলেননা। পিরোজপুরের বাইরে ছিলেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: এই দুই দিন ওনাকে পারেরহাট দেখেছেন আপনি?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: কি করতে দেখলেন এই দুই দিন?
সাক্ষী: রাজাকার ক্যাম্পে ছিল। অফিসে ছিল। সেনাবাহিনীর লগে চলাফেরা করত।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালের কতদিন আগে মাওলানা সাঈদীকে চিনতেন?
সাক্ষী: দুই তিন বছর আগে থেকে।
আইনজীবী: আপনি বলেছেন ১৫ বছর হল দেলোয়ার  শিকদার দেলোয়ার হোসেন সাঈদী নাম ধারন করেছেন। ১৫ বছর আগে তিনি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  পাসপোর্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্রে কি নাম ব্যবহার করতেন তাতো আপনি জানতেননা।
সাক্ষী: জানি। দেলোয়ার হোসেন শিকদার নাম ব্যবহার করত। ১৯৯৬ সালের  নির্বাচনের সময় থেকে সাঈদী নাম ব্যবহার করে।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর এবং ১৯৯৬  সালের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আপনি মাওলানা সাঈদীকে দেখেননি।
সাক্ষী: খেয়াল নেই।
আইনজীবী: আব্দুল মজিদ হাওলাদার আপনার ভাই?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: আপনার ভাবী তাদের পরিবারে হামলার অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে ৩২৬ ধারা সহ অন্যান্য আরো অনেক ধারায় মামলা করে। সে মামলায় আপনি জেল খেটেছেন।
সাক্ষী: মামলা করেছিল। জেল খাটিনি। মামলায় খালাস পেয়েছি।
আইনজীবী: হাজত খেটেছিলেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: মামালা থেকে খালাস পেলেন কিভাবে,  পারিবারিকভাবে? 
সাক্ষী: কোর্ট থেকে  খালাস পেয়েছি।
আইনজীবী:
এ পর্যায়ে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী সাক্ষীকে জিজ্ঞেস করেন আপনি চারটি  বিয়ে করেছেন কি-না। তখন আদালত আপত্তি জানান।  বিচারপতি এ.কে.এম জহির আহমেদ বলেন ইসলামে চারটি বিয়ে করতে তো আপত্তি নেই। তখন আদালত পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনার প্রথম স্ত্রীর নাম কি এভাবে প্রশ্ন করতে পারেন।
আইনজীবী: আপনার  প্রথম স্ত্রীর নাম রাহেলা বেগম?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম হাসিনা বেগম?
সাক্ষী:  হাসিনা বেগম আমার বড় স্ত্রী।
আইনজীবী: তার সাথে আপনার ছাড়াছাড়ি এবং মামলা হয়?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: পান্ডাডুবি  গ্রামে আপনি  হাসিনা বেগম নামে আরেকজন মেয়েকে বিয়ে করেছেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: বারইখালি গ্রামে আপনি আবেদ আলী খার মেয়েকে বিয়ে করেছেন এবং তার সাথে ছাড়াছাড়ি হয়েছে?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি যে মামলায় সাক্ষী দিলেন সে মামলার বাদী কে তা বলতে পারবেন?
সাক্ষী: মানিক পসারী।
আইনজীবী: আপনি যে ২৬ জন রিক্সা চালকের নাম বললেন তাদের চেনেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: আপনি মিলিটারি  ক্যাম্পেও মাঝে মাঝে ছোলামুড়ি বিক্রি করতে যেতেন?
সাক্ষী: ভয়ে ঐ রাস্তা দিয়েও হাটতামনা।
আইনজীবী: আপনি কতদূরে দাড়িয়ে রিক্সাগুলো গুনেছিলেন?
সাক্ষী: কাছে দাড়িয়ে।
আইনজীবী: ৫২ জন আর্মির হিসাব দিলেন তা গুনেছিলেন?
সাক্ষী: প্রতি রিক্সায় ২ জন করে ছিল। সে হিসেবে ৫২ জন বলেছি।
আইনজীবী: রিক্সাগুলো গুনতে কত সময় লাগল?
সাক্ষী: শুনেছি ২৬টি রিক্সায় ৫২ জন আর্মি আসছে। গুনতে কত সময় লাগে তা খেয়াল  নেই।
আইনজীবী: ৭ এবং ৮ মে তারিখের ঘটনা আপনি যেভাবে বর্ননা করলেন অর্থাৎ পারেরহাট বাজারে লুটপাট, তারপর নুর খার বাড়িতে আগুন, সইজুদ্দিন রইজুদ্দিন পসারীর বাড়িতে  লুটপাট এবং আগুন দেয়া, মফিজ ও ইব্রাহিমকে পারেরহাট বাজারে ধরে আনা, ইব্রাহিমকে গুলি করে হত্যা করা, মফিজকে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার কথা  বললেন। আপনি কি এসব ঘটনার সময় পাক আর্মির সাথে ছিলেন তাদের লোক হিসেবে?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: আপনি ২০০৮ সালে ভোটার তালিকায় নাম লেখান?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: সেখানে আপনার বয়স আপনি উল্লেখ করেছেন।
সাক্ষী: খেয়াল নেই।
আইনজীবী: ভোটার তালিকার জন্য আপনি ৮/৩/২০০৮ তারিখে জন্ম নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: উভয়   ক্ষেত্রে  আপনার জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৫/১২/১৯৫৭।
সাক্ষী: বলতে পারবনা।
আইনজীবী: ঐ তারিখ অনুযায়ী ১৯৭১ সালে আপনার বয়স ১৩ বছর হয় বিধায় আপনি ভোটার লিস্ট এবং জন্ম সনদের তারিখ গোপন করছেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি আওয়ামী লীগ করেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: মানিক পসারীও আওয়ামী লীগ করে?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: মোসলেম মাওলানাও আওয়ামী লীগ করে?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: ৮ মে ঘটনার পর মফিজের বাড়ি দেখেছিলেন?
সাক্ষী: হ্যা।  খালি ঘর।
আইনজীবী: তার বাড়ি কোথায়?
সাক্ষী: মানিক পসারীর যাবার পথে।
আইনজীবী: মফিজের বাড়িতে  ভাংচুর হয় বা আগুন দেয়া হয়?
সাক্ষী: না। (মফিজ সাক্ষীর সময় বলেছিলেন শ্বশুরবাড়িতে তার নিজের ঘর ভাংচুর করে রাজাকাররা)
আইনজীবী: রাজাকার দেলোয়ার শিকদারকে স্বাধীনতার পর আবেদ আলী নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা গুলি করে হত্যা করে তা জানেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: আপনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী দেন তাতে ৭ মে কথাটা বলেননি।
সাক্ষী: মনে নেই।
আইনজীবী: ২৬ টি রিক্সা  এবং ৫২ জন পাক আর্মির কথাও বলেননি।
সাক্ষী: খেয়াল নেই।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেন শিকদার, সেকেন্দার শিকদার, দানেশ আলী মোল্লা এরা হিন্দুদের ঘরবাড়ি দেখিয়ে দেয় তাও বলেননি।
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী: তারা ঘরবাদি দেখিয়ে দেয়ার পর আর্মি লুটপাট শুরু করে সেকথাও বলেননি।
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ অন্যান্যরা লুটপাট করার পর পাক আর্মি রাজলক্ষী ক্যাম্পে চলে যায় সেকথাও বলেননি  তদন্ত কর্মকর্তার কাছে?
সাক্ষী: স্মরন নেই্
আইনজীবী: পাক আর্মি ঘন্টা দেড়েক লুটপাট করে ক্যাম্পে চলে যাবার পর শান্তি কমিটির লোকজন পুরাদমে লুটপাট শুরু করে তাও বলেননি  তদন্ত কর্মতর্তার কাছে।
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ অন্যান্যরা লুটপাট করে সেকথাও বলেননি।
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী: ১৫/১৬ জন  আর্মি ২০/২২ জন রাজাকার নিয়ে বাদুরা গ্রামে যায়। তারপর দেলোয়ার হোসেন শিকদার নুর খার  ঘর দেখিয়ে দেয়   মর্মে আদালতে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাও বলেননি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে।
সাক্ষী: বলেছি।
আইনজীবী: মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ১৫/১৬ বছর আগে সাঈদী নাম ধারন করে একথাও বলেননি  তদন্ত কর্মকর্তার কাছে।
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী: রইজুদ্দীন সইজুদ্দীন পসারীর বাড়িতে  ইব্রাহীম এবং মফিজ নামে দুজন কাজের লোক ছিল। ধোয়া এবং আগুন দেখে তারা চর থেকে দৌড়ে আসে।  একজনকে সাঈদী  এবং অন্যজনকে পাক আর্মি ধরে এক দড়িতে বেঁধে রাখে একথাও বলেননি।
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী: পারেরহাট বাজারে ধরে নিয়ে ইব্রাহীম কুট্টিকে গুলি করে লাথি মেরে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার কথাও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলেননি।
সাক্ষী: বলেছি।
আইনজীবী: মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় থেকে জুলাইর মাঝামাঝি পর্যন্ত মাওলানা সাঈদী পিরোজপুরে ছিলেননা।
সাক্ষী: গন্ডগোলের সময় ছিল।
আইনজীবী: আপনি তখন একজন শিশু থাকায় ঐসময় আপনার কোন পেশা ছিলনা এবং পারেরহাট বাজারে ছোলা মুড়ির বিক্রির কথাও মিথ্যা।
সাক্ষী: সত্য নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন