বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

দ্বিতীয় সাক্ষীর বিরুদ্ধেও জেল খাটার অভিযোগ

মেহেদী হাসান, ১৯/১২/২০১১
পারেরহাট বাজারে ৩০/৩৫ টি ঘরে লুটপাট,  ঘরের মেঝ খুড়ে  ২২ শের স্বর্ণ উদ্ধার    এবং চিথলিয়া গ্রামে লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়ার সময়  ঘটনা স্থলে সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন উপস্থিত ছিলেননা বলে আদালতে স্বীকার করেছেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে  তিনি এসব লোকজনের কাছে জানতে পেরেছেন বলে জানান জেরায়।

আদালতে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা সাক্ষী রুহুল আমিনের  বিরুদ্ধে বিদ্যুতের মিটার টেম্পারিংয়ের কারনে  বিদ্যুৎ চুরির মামলায় জেল খাটার অভিযোগ আনেন। এছাড়া তিনি  পূবালী ব্যাংক থেকে  লোন নিয়ে বরফ কল স্থাপন  করেন এবং ব্যাংক লোন শোধ না করার কারনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।  তার বরফ কল নিলামে  তুলে পারের হাট বাজারে ঢোল পেটানো হয়।  বর্তমান মামলায় সাক্ষী দেয়ার বিনিময়ে  সাক্ষী রুহুল আমিনের  বিপুল অংকের সুদ মওকুফ করা হয়েছে  এবং সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা  পেয়ে চলতি মাসেই তিনি ব্যাংকের আসল লোন শোধ করেছেন । এছাড়া  বিদ্যুৎ বিলের মামলায় অপরাধ স্বীকার করে জরিমানা দিয়ে তিনি  মুক্তি পান বলেও    আদালতে সাজেশন দেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী। এসব অভিযোগ সত্য নয় বলে মন্তব্য করেন সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন।

গত আট ডিসেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় রুহুল আমিন নবিন   বলেন, “ ৭ মে ২৬টি রিক্সাযোগে  প্রায় ৫২ জন পাক হানাদার বাহিনী পারের হাটে প্রবশে করে।  শান্তি কমিটির লোকজন পাক হানাদারদের নিয়ে পারেরহাট বাজারে  প্রবেশ করে  এবং  আওয়ামী লীগ ও হিন্দুদের বাড়িঘর দোকানপাট দেখিয়ে দেয়। ক্যাপ্টেন এজাজ অন্যান্যদের সাথে পরামর্শ করে উর্দুতে বলেন ‘লে লও”।  শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের দেখিয়ে দেওয়া ঘরগুলোতে   শুরু হয় লুটপাট।  পারের হাট বাজারের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মাখন  সাহার দোকানের মাটির নিচের লোহার সিন্দুক থেকে ২২ শের স্বর্ণ ও রূপা লুট করে। ৩০/৩৫টি দোকান ঘর লুটাপাট চালায়। পরের দিন ৮ মার্চ বাদুরা চিথলিয়া গ্রামে সাত আটটি ঘরে  লুটাপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।”
কিন্তু মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের জেরার সময় প্রশ্নের জবাবে বলেছেন এসব ঘটনার সময় তিনি ঘটনা  স্থলে উপস্থিত ছিলেননা।


আইনজীবী: সাবসেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিন রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবনের সেই উন্মাতাল দিনগুলি’ বইটি পড়েছেন?
সাক্ষী: পড়িনাই, জানাও নেই।
আইনজীবী: এই বইয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার নাম নেই  এবং আপনার জবানবন্দির তথ্যের সাথে বইয়ের তথ্যের মিল নেই বিধায় পইটি পড়া সত্তেও আপনি ইচ্ছা করে গোপন করেছেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: পিরোজপুর  জেলা মুক্তিযোদ্ধা  কমান্ডে ডেপুটি কমান্ডার  পদে নির্বাচন করেছেন আপনি?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: রেজাল্ট কি হয়েছে?
সাক্ষী: হেরেছি।
আইনজীবী: জবানবন্দীতে আপনি বলেছেন, বিভিন্ন ইউনিটের রসদ কেনার জন্য ১৯৭১ সালের জুনের মাঝামাঝি আপনি পারেরহাট বাজারে যান। কোন কোন ইউনিটের রসদ কেনার জন্য গিয়েছিলেন মনে আছে?
সাক্ষী: বগী , শরণখোলা।
আইনজীবী:পিরোজপুর জেলাপরিষদ প্রকাশিত পিরোজপুরের ইতিহাস ন মে বই বের করেছে জানেন?
সাক্ষী:  জানা নেই।
আইনজীবী? এই বইয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার নাম নেই  এবং আপনার জবানবন্দির তথ্যের সাথে বইয়ের তথ্যের মিল নেই বিধায় পইটি পড়া সত্তেও আপনি ইচ্ছা করে গোপন করেছেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: কবি হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত বাংলাদেশের   স্বাধীনতা  যুদ্ধের দলিলপত্র বইয়ে পিরোজপুরের অংশটুকু পড়েছেন?
সাক্ষী: বইটির নাম শুনেছি। দেখিনি।
আইনজীবী: ফয়জুর রহমানকে (হুমায়ুন আহমেদের পিতা)  বলেশ্বর নদীর খেয়াঘাটে হত্যা করা হয় ?
সাক্ষী: পিরোজপুরে মারা হয়, বলেশ্বর নদীতে কিনা জানা নেই।
আইনজীবী: পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন করে রচিত তার স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ এর ‘পিরোজপুরের জীবন যেরকম’ বইটি পড়েছেন

সাক্ষী: জানা নেই বই সম্পর্কে।
আইনজীবী: বইটিতে সাঈদী সাহেবের নাম না থাকায় আপনি জেনে  শুনে বই সম্পর্কে অস্বীকার করছেন। (মাওলানা সাঈদীর  দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে  হুমায়ুন আহমেদের পিতাকে পাক আর্মিরা হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর আয়শা ফয়েজ যে মামলা করেন তাতে মাওলানা সাঈদীর নাম নেই আসামী তালিকায়। তাছাড়া তার বইয়েও নাম নেই।)
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: মাওলানা সাঈদী স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ব হতে  এবং স্বাধীনতার পরও নিজ নামে ওয়াজ মাহফিল করেছেন। কখনো পলাতক ছিলেননা।
সাক্ষী: যুদ্ধের পূর্বে ওয়াজ মাহফিল করতেননা। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬ সালে ওয়াজ করেন এলাকায়।
আইনজীবী:  মাওলানা সাঈদী ১৯৭৫ সালের পূর্বে আওয়ামী লীগ শাসনামলে নিজ বাড়ির ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে পাসপোর্ট  গ্রহণ করেছেন।
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: ঐ সময় তিনি নিজ বাড়িতেই থাকতেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ১৯৭৫ পূর্ব আওয়ামী লীগ  এবং বাকশাল সরকারের সমালোচনা করায় মাওলানা সাঈদীকে ডিটেনশন দেয়া হয়েছিল তা জানেন?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স পাসের দাবি করেছেন আপনি। সেশন বলতে পারবেন?
সাক্ষী: ১৯৭৩-৭৪
আইনজীবী: পরীক্ষা কবে দিলেন?
সাক্ষী: সম্ভবত ১৯৭৮ সালে।
আইনজীবী: রেজালন্ট?
সাক্ষী: পরীক্ষা দিয়ে জার্মান চলে যাই।
আইনজীবী: আপনি  প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা  নন  কাগজে কলমে মুক্তিযোদ্ধা। দেশ স্বাধীনের বহু পরে দেশে ফিরে আপনি মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেছেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে এবং দাপট দেখিয়ে আপনি  নিজ এলাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি, এইচএসসি  সাটিফিকেট সংগ্রহ করেছেন। (সাক্ষী চাখার থেকে এসএসসি পাশের কথা বলেছেন। যদিও তার পিতা পিরোজপুর সরকারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।)
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: একই কায়দায় আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: সরকার পরিবর্তন হওয়ায় পূর্বের দাপট  না থাকায় এবং পাস করতে পারবেননা বিধায়  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা না দিয়ে আপনি পালিয়ে গেছেন?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: জার্মান থেকে কবে ফিরলেন?
সাক্ষী: ১৯৮৪ সালে।
আইনজীবী: এখন আপনি কি করেন?
 সাক্ষী: পারের হাট বাজারে বরফ কল আছে।
আইনজীবী: পূবালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে এটি চালু করেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: লোন শোধ করতে না পারায় ব্যাংক আপনার বিরুদ্ধে মামলা করে এবং বরফ কল নিলামে তোলে এবং এ ব্যাপারে পারের হাট বাজারে ঢোল পেটানো হয়।
সাক্ষী:  জানা নেই। (এর একটু পরে বলেন, আমি ১০০ ভাগ লোন শোধ করেছি ) ।
আইনজীবী: আপনি চলতি মাসে লোন শোধ করেছেন। এ মামলায় সাক্ষী হবার বিনিময়ে সরকার আপনার সুদ মৌকুফ করে এবং লোন শোধের সুযোগ দেয়।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আর্থিক অসুবিধার কারনে আপনি বরফ কলের বিদ্যুৎ বিল দিতে পারেননাই?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: মিটার টেম্পারিংয়ের কারনে বিদ্যুৎ  চুরি মামলায় আপনি জেল খেটেছেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
এসময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, মামলা হলে গ্রেফতার হতে পারে। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া আর জেল খাটা এক কথা নয়। তখন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী বলেন, তিনি জেলে গেছেন। তখন চেয়ারম্যান বলেন, গ্রেফতার হলেই তো জেলে যাবেন। কিন্তু দোষী প্রমানিত হয়েছে কিনা। দোষী প্রমানিত না হলে সব ওয়াশ হয়ে যাবে।
আইনজীবী: ঐ মামলায় আপনি অপরাধ স্বীকার করে জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি বলেছেন পাক   বাহিনী  পিস কমিটির সহায়তায় পারেরহাট বাজারে ৩৫/৩৫টি দোকান ঘরের  মেঝে স্বর্ণের আশায় খোড়ে এবং বড় বড় গর্ত করে। কত সময় লাগে এতে?
সাক্ষী: বলতে পারবনা।
আইনজীবী: গর্ত খোড়ার খবর কখন পেলেন?
সাক্ষী: বিকালে, সন্ধ্যার পর।
আইনজীবী: ৩০/৩৫টি ঘর লুটপাটের খবরও সন্ধ্যায় পেলেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী : মাখন সাহার ঘর থেকে ২২ শের সোনা  লুটের খবরও তখন পেলেন?
সাক্ষী: মনে নেই।
আইনজীবী: ৩০/৩৫ টি দোকান ঘর লুট হওয়া সব মালিকের নাম বলতে পারবেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: পারেরহাট বাজারে হাটের দিন খুব লোকজন হয়?
সাক্ষী: ঐসময় তুলনামূলক কম হত।
আইনজীবী: সাঈদী সাহেব তখন বাজারে কোন দিক দিয়ে কোন দিকে যাচ্ছিলেন?
সাক্ষী:  আমার সামনের রাস্তার পূব দিক থেকে দণি দিকে।
আইনজীবী: বাজারে লোকজনের চলাচল কেমন ছিল তখন?
সাক্ষী: অনেক লোকজন চলাচল করছিল তখন।
আইনজীবী: সাঈদী সাহেব আপনার চেয়ে লম্বা?
সাক্ষী: হ্যা
আইনজীবী: সাঈদী সাহেবের মাথায়  থাকা ঝাকায় কি ছিল তা আপনার পক্ষে দেখা সম্ভব ছিলনা । (সাক্ষী ৮ ডিসেম্বর সাক্ষী দেয়ার সময় বলেন, ১৯৭১ সালে জুন মাসে  হাটের দিন তিনি বাজারে গিয়ে  দেখেন মাওলানা সাঈদী লুঙ্গি ও পাঞ্জাবী পরে বগলে একটি ঢেউটিন নিয়ে মাথায় ঝাকায় করে লুটের মাল কাসা পিতল, জগ, কলস,  বাটি নিয়ে যাচ্ছিলেন)
সাক্ষী: মিথ্যা ।
আইনজীবী: নিজের নিরাপত্তার জন্য রিভলভার রাখার কথা আপনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া জবানবন্দীতে বলেননাই।
সাক্ষী: খেয়াল নেই। মনে হয় বলছি।
আইনজীবী: নগরবাসী সাহার দোকানে পাসতহবিলের দোকান করা, ভানু সাহার কথাও বলেননি।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: সুধীর চন্দ্র রায়, গৌরাঙ্গকে ধর্মান্তকরনের কথাও বলেননি।
সাক্ষী: খেয়াল নেই।
আইনজীবী: ঝাকার মধ্যে কলস থাকার কথাও বলেননি।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: পারের হাটে মাওলানা সাঈদী সাহেব এবং অন্যান্যরা মিলে পিস কমিটি গঠনের কথা সত্য নয়।
সাক্ষী: সত্য।
আইনজীবী: পারের হাট রিস্কা স্ট্যান্ডে মাওলানা সাঈদী এবং অন্যান্যরা মিলে পাক হানাদার বাহিনীকে অভ্যর্থনা জানানো এবং লুটপাটের জন্য বাজারের ঘর দেখিয়ে  কথাও সত্য নয়।
সাক্ষী: সত্য।
আইনজীবী: মুক্তিযোদ্ধাদের জন  জুন মাসের মাঝামাঝি আপনার বাজারে যাবার ঘটনা, মাওলানা সাঈদীকে মাথায় ঝাকায় করে কাসা পিতলের জগ কলস প্লেট এবং বগলে ঢেউ টিন নিয়ে যেতে দেখার ঘটনা, আপনার কর্তৃক মাওলানা সাঈদীকে গুলি করতে চাওয়া, গুলি করলে  ঝামেলা বাড়বে মর্মে  মাওলানা নুরুল হক কর্তৃক  আপনাকে বিরত রাখার কথা, কাঠ মিস্ত্রি তৈয়বকে নিয়ে মাওলানা সাঈদীসহ অন্যান্যদের মদন সাহার ঘর ভাঙ্গতে দেখা এবং ঘর ভেঙ্গে মাওলানা সাঈদীর শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখার  বর্ণনা দিয়ে আপনি যে জবানবন্দী দিয়েছেন তা সবই মিথ্যা।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালের ৭, ৮ মে  এবং আপনার ঘটনায় বর্ণিত  জুন মাসের মাঝামাঝিতে মাওলানা সাঈদী সাহেব পিরোজপুর এলাকায় ছিলেননা।
সাক্ষী: পারেরহাটে ছিলেন।
আইনজীবী: ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দেয়ার জন্য ঢাকায় আসেন কবে।
সাক্ষী:  ৩/৪ দিন আগে।
আইনজীবী: আপনাকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা প্রশিক্ষন দিয়েছে?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক?
সাক্ষী: হ্য।
আইনজীবী : মাওলানা সাঈদী জামায়াতের কেন্দ্রী নেতা হওয়ায় প্রতিহিংসার কারনে সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে  মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেন  আপনি।
সাক্ষী: সত্য নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন