বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

৩ চুরির মামলার আসামী সাক্ষী সুলতান

মেহেদী হাসান, ২২/১২/২০১১
আজ সুলতান আহমেদের জেরা শুরু হয়। জেরায় বের হয়ে আসল সে তিনটি চুরির মামলার আসামী ।  কলা চুরির মামলায় পিরোজপুর মেজিস্ট্রেট আদালত জেল দেন সুলতান আহমদকে। পিরোজপুর জজ কোর্ট সে সাজা বহাল রাখেন। বর্তমান হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে মামলাটি। এছাড়া সুলতান আহমদের বিরুদ্ধে  ট্রলার চুরির দায়ে অপর দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বরিশালে।

মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত  চারজন সাক্ষী স্যা দিলেন । এর মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা হয়েছে বিভিন্ন ঘটনায়। এছাড়া অন্য মামলাও রয়েছে   এ তিন সাক্ষীর বিরদ্ধে। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার চুরির মামলায় জেল খেটেছেন। পরে তিনি এ সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বলে আদালতে বলেছেন। এছাড়া স্ত্রীর যৌতুক মামলায় তার সাজা বহাল রয়েছে  এবং বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল আমিন নবিনের বিরুদ্ধেও  বিদ্যুৎ চুরির মামলা হয়েছে বলে আদালতে তথ্য প্রকাশ করেন মওলানা সাঈদীর  আইনজীবীরা। আজ   মাওলানা  সাঈদীর বিরুদ্ধে  চতুর্থ সাক্ষী সুলতান আহমদের  বিরুদ্ধে  তিনটি চুরির মামলার তথ্য প্রকাশ পেল।

জেরার সময় সুলতান আহমদকে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী প্রশ্ন করেন, “আপনি তালিকাভুক্ত কোন মুক্তিযোদ্ধা কি-না।”  তখন সুলতান আহমদ বলেন, “আমি মুক্তিযোদ্ধাই নই।” মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তখন প্রশ্ন করেন “আপনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে  তালিকাভুক্ত হবার জন্য পিরোজপুর সদর এমপি এ  কে এম এ আউয়ালের কাছে দরখাস্ত  করেছেন  এবং এমপি আপনাকে ডিও লেটার দিয়েছেন। তখন সুলতান আহমদ বলেন,  “ সহায়ক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে  অন্তভুক্তির জন্য দরখাস্ত  করেছি। মুক্তিযোদ্ধার সমর্থনকারী হবার জন্য।  ” এরপর  মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী স্পষ্ট করে জানতে চান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হবার জন্য দরখাস্ত দিয়েছেন কিনা। তখন তিনি   বলেন, না।

মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাকে প্রশ্ন করেন ধানকাটা বিষয়ে আপনার বিরুদ্ধে একটি মামলা আছে। সুলতান আহমদ বলেন, জানা নেই।

সাক্ষী  সুলতান আহমদ আদালতে বলেছিলেন  দেলোয়ার হোসেন  শিকদার বর্তমান সাঈদী আরবি এবং উর্দু ভাষা ভাল জানায় এবং বাক পটু হওযায় পাক বাহিনীর সাথে যোগাযোগসহ সকল কর্মকান্ড তার নির্দেশেই পরিচালিত হত। কিন্তু  আজ  জেরার সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পিরোজপুরে আজ পর্যন্ত তিনি আরবী ভাষায় কাউকে কথা বলতে শুনেছেন কিনা। তখন  সুলতান আহমদ বলেন, “আমি আরবি উর্দু জানিনা। কোন আরবি আর কোনটা উর্দু হয়ে যায় তা বলতে পারিনা”।
ধর্ষনের উদ্দেশে গ্রাম্য মহিলাদের ধরে ধরে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে ধর্ষনের উদ্দেশে তুলে দেয়াসহ মাওলানা সাঈদীর  বিরুদ্ধে নিয়মিত ধর্ষনের অভিযোগ আনেন  সাক্ষী সুলতান আহমদ । কিন্তু আজ   জেরার সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কোন মেয়েকে এভাবে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিতে দেখেছেন কি-না। এর জবাবে তিনি বলেন, দেখেননি তবে শুনেছেন।
সুলতান আহমদ হাওলাদারকে  জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, মনজুর আহমদ আনছারী এবং কফিলউদ্দিন চৌধুরী। 

আইনজীবী: আপনি তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা কি-না?
সাক্ষী: আমি মুক্তিযোদ্ধাই নই।
আইনজীবী: আপনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন এবং পিরোজপুর সদরের এমপি এ কে এম এ আউয়াল  ডিও লেটার দিয়েছেন।
সাক্ষী: সহায়ক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে  অন্তভুক্তির জন্য দরখাস্ত  করেছি। মুক্তিযোদ্ধার সমর্থনকারী হবার জন্য।
আইনজীবী: আমি বলছি  আপনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত  হবার জন্য আবেদন করেছেন ।
সাক্ষী:  সত্য নয়।
আইনজীব:ি পারের হাটের কাদের গাজিকে চেনেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: তিনি আপনার বিরুদ্ধে কলা চুরির মামলা করেছেন। মামলায় আপনার জেল হয় এবং সে সাজা বহাল আছে।
সাক্ষী: জমিজমা নিয়ে মামলা হয়েছে। মামলা বিচারধীন আছে  এবং আমি জামিনে আছি।
আইনজীবী: আমি জানতে চাচ্ছি আপনার জেল হয়েছিল কি-না।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: বর্তমানে মামলাটি কোন কোর্টে বিচারাধীন আছে?
সাক্ষী: হাইকোর্টে। মামলা নিষ্পত্তি হবার পর ১০ বছর পর  আমার অনুপস্থিতিতে রায় হয়েছে। এডিএম  (এডিশনাল ডিস্ট্রিক মেজিস্ট্রেট) কোর্ট আমাকে খালাস দেয়ায় বাদী আবার মামলা করে। তা থেকে অব্যাহতি পাবার জন্য আমি আবার আবেদন করেছি। আপীল বিচারাধীন আছে।
আইনজীবী: জজকোর্টের রায় কি ছিল?
সাক্ষী: জজ কোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল  রেখেছেন।
আইনজীবী: বরিশাল আদালতে আপনার বিরুদ্ধে ট্রলার চুরির দুটি মামলা আছে?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: ইব্রহীম কুট্টির পিতার নাম বলতে পারবেন? (মাওলানা সাঈদীর যোগ সাজসে পাক আর্মিরা তাকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে সাক্ষ্য দেন এ সাক্ষী।)
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: তার বাড়ি কোথায় বলতে পারবেন?
সাক্ষী: সম্ভবত টেংরাখালি বা বারইখালি। বারইখালি তার শ্বশুর বাড়ি।
আইনজীবী: ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রীর নাম জানা আছে?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: তার কোন ছেলে মেয়ে তখন ছিল কি-না  এবং থাকলে তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে পারবেন?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: পারের হাটের দানেস আলী মোল্লা চেয়ারম্যানকে চেনেন?
সাক্ষী: চিনি। তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন।
আইনজীবী: আতাহার আলী হাওলাদার,  পিতা আইনুদ্দিন হাওলাদার, বারইখালি তাকে চেনেন?
সাক্ষী:  চিনিনা।
আইনজীবী: আস্রাব আলী , পিতা আসমত আলী, টেংরাটিলা চেনেন?
সাক্ষী: স্মরনে নেই।
আইনজীবী:  আব্দুল মান্নান, বারইখালি চেনেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: আইউব আলী, বারইখালি।
সাক্ষী: চিনিনা।
আইনজীবীধ কালাম চৌকিদার, বারইখালি।
সাক্ষী: চিনিনা।
আইনজীবী: রুহুল আমিন, পিতা আনওয়ার হোসেন, পারেরহাট।
সাক্ষী: রুহুল আমিন নামে একজনকে চিনি। সে রাজাকার ছিল।
আইনজীবী: আব্দুল হাকিম মুন্সি, বারইখালি।
সাক্ষী: চিনিনা।
আইনজীবী: মবিনউদ্দিন, পিতা আব্দুল গনি, গাজিপুর, পিরোজপুর।
সাক্ষী: মবিন নামে একজনকে চিনি। রাজাকার ছিল।
আইনজীবী: সেকেন্দার আলী শিকদার, পিতা মনসুর আলী, হোগলা বুনিয়া।
সাক্ষী: চিনি। সে আমার ফুফাত বোনের জামাই। পিস কমিটির সেক্রেটারি ছিল। দানেস আলী  মোল্লা ছিল সভাপতি।
আইনজীবী: মোসলেম মাওলানা, পিতা মোদাচ্ছের  হাজি, বাদুরা।
সাক্ষী: চিনি। পিস কমিটির সদস্য ছিল।
আইনজীবী: মোসলেম মাওলানা এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: মোসলেম মাওলানা পিরোজপুর ওলামা লীগের সভাপতি তা জেনে শুনে গোপন করছেন আপনি।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: উপরে যে নাম বলা হল এবং এদের মধ্যে যাদের আপনি চেনেন তাদের বাদে অন্যরাও রাজাকার ছিল?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: পূর্ব পাকিস্তানে  প্রথম কবে কোথায় শান্তি কমিটি গঠিত হয় জানেন?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: শান্তি কমিটির সভাপতি সেক্রেটারির নামও জানা নেই?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: রাজাকার বাহিনী কবে কোথায় গঠিত হয় তাও জানেননা?
সাক্ষী: বলতে পারবনা।
আইনজীবী: রাজাকার বাহিনীর প্রধান কে ছিল তাও বলতে পারবেননা?
সাক্ষী: শুনেছি গোলাম আযম ছিল।
আইনজীবী: পিরোজপুর পিস কমিটি কবে গঠিত হয় জানা আছে?
সাক্ষী: স্মরনে নেই।
আইনজীবী: পিস কমিটির সভাপতির নাম বলতে পারবেন?
সাক্ষী: সৈয়দ আফজাল সাহেবের নাম শুনেছি।
আইনজীবী: পিরোজপুর মহকুমায় কবে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়  জানেন?
সাক্ষী: স্মরনে নেই।
আইনজীবী: পিরোজপুর রাজাকার কমান্ডার মানিক খন্দকার। তার বাড়ি চরখালি।
সাক্ষী: মানিক খন্দকারের নাম শুনেছি।
আইনজীবী: মানিক খন্দকারের চাচাত ভাই ছিল শানু খন্দকার। শানু খন্দকার ছিল মুক্তিযোদ্ধা  এবং  তার হাতে মানিক খন্দকার নিহত হয় তা জানা আছে?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: পিরোজপুর মহকুমায় যেসব থানা ছিল তার পিস কমিটির সভাপতি এবং রাজাকার কমান্ডারদের নাম বলতে পারবেন?
সাক্ষী: না।

এরপর মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী সাক্ষী সুলতান আহমদকে তার নিজ গ্রাম শঙ্কর পাশা সম্পর্কে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করেন। ১৯৭১ সালে শংকর পাশা কত নম্বর ওয়ার্ড ছিল, মেম্বার নির্বাচন কিভাবে হত  এসব প্রশ্ন করা হলে তিনি সঠিক জবাব দিতে ব্যর্থ হন। তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, এসব প্রশ্নের সাথে  আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সম্পর্ক কি এবং এসব মনে রাখাই ব সম্ভব কিনা। তখন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, সাক্ষী একজন শিক্ষিত লোক। তিনি তার নিজ গ্রামের তথ্য বলতে পারেননা কিন্তু ৪০ বছর আগের কথা সব মুখস্ত বলে দিলেন।
আইনজীবী: মাহবুবুল আলম হাওলাদার মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে  পিরোজপুর আদালতে যে মামলা করেছেন তাতে আপনি সাক্ষী ছিলেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: মানিক পসারীর মামলায়ও আপনি সাক্ষী?
সাক্ষী: মনে নেই। মানিক পসারী পরে ডেকে আনে সাক্ষী দিতে।
আইনজীবী: আপনার পেশা:
সাক্ষী: ছোটখাট ব্যবসা এবং কৃষি।
আইনজীবী:  পারেরহাটসহ পিরোজপুরের কোন লোককে আরবিতে কথা বলতে শুনেছেন কখনো?
সাক্ষী: (অনেকক্ষন ভেবে) মসজিদের ইমাম সাহেব তো মাঝে মাধ্যে খুতবা দেয়ার সময় আরবি কথা বলেন। সেটা শুনেছি।
আইনজীবী: সেটা না, আমি জানতে চাচ্ছি মুখোমুখি দুইজনকে কথাবার্তা বলতে শুনেছেন কি-না।
সাক্ষী: আমি আরবি উর্দু জানিনা। কোনটা আরবি আর কোনটা উর্দু হয়ে যায় তা বলতে পারবনা।
আইনজীবী: ২২ শের সোনা রূপা মাটি থেকে খুড়ে বের করতে কত সময়  লেগেছিল বলতে পারবেন?
সাক্ষী: ঐ দেড় দুই ঘন্টার মধ্যে হয়েছে। আমি সেখানে ছিলামনা।
আইনজীবী: গত ঈদুল ফিতরের ঈদ কবে হয়েছে বলতে পারবেন?
সাক্ষী: স্মরন নেই।
আইনজীবী: কোরবানী ঈদ?
সাক্ষী: সরন নেই।
আইনজীবী: পারের হাট বাজারে আপনার বা আপনার পরিবারের কোন ব্যবসা ছিল?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেন মল্লিক নামের কোন রাজাকারের নাম শুনেছেন?
 সাক্ষী: না।
আইনজীবী: আপনি যে দেলোয়ার শিকদারের নাম বলেছেন তার পিতার নাম রসুল শিকদার?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেন মল্লিক নামে যে রাজাকার ছিল তার দায়ভার আপনি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ওপর চাপাচ্ছেন শেখানো মতে।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ৪০ বছর পূর্বের ঘটনা আপনি যেভাবে বললেন তা কি মুখস্ত বলেছেন না নোট করে রেখেছিলেন?
সাক্ষী: স্মরন থেকে বলেছি। নোট ছিলনা।
আইনজীবী: আপনি বলেছেন, শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর লোকেরা পাক হানাদার বাহিনীকে পাকিস্তান রক্ষার জন্য সর্বপ্রকার অঙ্গীকার করে। তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আপনি কি আশপাশে ছিলেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: আপনি বলেছেন রাজাকাররা নারীদের ধরে ধর্ষনের উদ্দেশে জোরপূর্বক পাক হানাদার বাহিনীর  হাতে তুলে দিত। আপনি কাউকে তুলে দিতে দেখেছেন ?
সাক্ষী: খেয়াল নেই। আমি শুনেছি।
আইনজীবী: আপনার পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি এবং আপনাদের বাড়ি ঘরের কোন ক্ষতি হয়নি।
সাক্ষী: না। আমাদের তো তখন কিছুই ছিলনা। ক্ষতি করবে কি।
আইনজীবী: আপনি আপনার এলাকার নিরীহ লোকজনের সম্পত্তি জোর করে দখল করেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: একারনে আপনার বিরুদ্ধে দেওয়ানী মামলা বিচারাধীন আছে ।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি চিথলিয়া চরে প্রায়  ১০ বিঘা  জমি  দখলে রেখেছেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ১ মে নিজ বাড়িতে যাবার যে কথা আদালতে বলেছেন তা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দিতে বলেননি।
সাক্ষী: স্মরনে নেই।
আইনজীবী: পারের হাট এসে জানলাম দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমানে সাঈদীর নেতৃত্বে পিস কমিটি গঠিত হয় বলে যে কথা বলেছেন তাও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলেননি।
সাক্ষী: বলেছি।
আইনজীবী: মে মাসের সাত তারিখ পারেরহাট গেছেন একথাও বলেননি তদন্ত কর্মকর্তার  কাছে ।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: পারেরহাট রিক্সা স্ট্যান্ডের কাছে  দানেশ আলী মোল্লা, সেকেন্দার শিকদার, মোসলেম মাওলানা, দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমান সাঈদী পাক বাহিনীকে অভ্যর্থনার জন্য  দাড়িয়ে থাকে মর্মে যে কথা বলেছেন তাও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলেননি।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী:   দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমান সাঈদীসহ অন্যান্য পিস কমিটির লোকজন পাক হানাদার বাহিনীকে বাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া,  দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমান সাঈদী হাত উচু করে হিন্দু এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ  শক্তির লোকদের ঘরবাড়ি দেখিয়ে দেয়ার ঘটনা,  ৩০/৩৫ টি ঘর লুটপাট, খেয়াঘাটে রাস্তার ওপর লুটের মাল স্তুপ করে রাকার যে ঘটনা আপনি  আদালতে বলেছেন তাও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে  আগে বলেননি।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমানে সাঈদীর নেতৃত্বে লুটের মাল ভাগবাটোয়ারা করা, লুটের মাল নিয়ে ব্যবসা  প্রতিষ্ঠান খোলা এবং দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমানে সাঈদী সে ব্যবসার পরিচালক হওয়ার বিষয়ে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাও তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলেননি।
সাক্ষী: সম্ভবত বলেছি।
আইনজীবী: ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার কথাও বলেননি।
সাক্ষী: বলেছি।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমান সাঈদী আর্মির সাথে কি যেন বলাবলি করছে এবং এরপরও গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া, পরের দিন ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার ঘটনা শুনতে পাবার কথাও বলেননি।
সাক্ষী: বলেছি।
আইনজীবী: মদন সাহার ঘর ভেঙ্গে মালামাল মাওলানা সাঈদীর শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাবার কথাও বলেননি।
সাক্ষী: বলেছি।
আইনজীবী: রিক্সা স্ট্যান্ডের   দক্ষিনে গনি হাজী  আপনার কোন আত্মীয় নয়।
সাক্ষী:সত্য নয়।
আইনজীবী: ভানু সাহাকে মাওলানা সাঈদী এবং মোসলেম মাওলানা নিয়মিত ধর্ষন করত বলে যে অভিযোগ করেছেন তা জঘন্য মিথ্যাচার ।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ভানু সাহার বাড়িতে গেছেন?
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী: রাতে না দিনে?
এ পর্যায়ে আদালত ভাষা  প্রয়োগ বিষয়ে সাবধান হতে বলেন।
তখন সাক্ষী বলেন তাদের দোকানের পেছনেই বাসা ছিল। আমি তাদের দোকানে গিয়েছি।
আইনজীবী: আপনি   চুরির মামলা থেকে খালাস পাবার জন্য, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তি এবং ভাতা গ্রহণ, সরকারি বিভিন্ন সুবিধা আদায়, চুরির মামলা থেকে খালাস পাবার জন্য, চরের জমি দখলে রাখার জন্য স্থানীয় এমপি, আওযামী লীগের নেতৃবৃন্দের  দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় মিথ্যা অভিযোগ করে  মিথ্যা সাক্ষ্য দিলেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন