মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৩

গোলাম আযম কারাগারে

মেহেদী হাসান, ১১/১/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ তার জামিন আবেদন  না মঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয়  কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ  দেন  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর পর প্রিজন ভ্যানে করে  অধ্যাপক গোলাম আযমকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ৯ জানুয়াীর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ আদালতে হাজির হন অধ্যাপক গোলাম আযম। সকাল সাড়ে দশটায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে  অধ্যাপক গোলাম আযমের  পক্ষে দাখিল করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে জামিন  আবেদন নাকচ করে  আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

গত ৫ জানুয়ারী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে  চার্জশিট   পুনরায় দাখিল করার পর ৯ জানুয়ারী অভিযাগ আমলে নেন আদালত।  ঐদিন   আদালত গোলাম আযকে ১১ জানুয়ারী সকাল সাড়ে দশটায় হাজির হতে নির্দেশ দেন।

গোলাম আযমকে করাগারে পাঠানোর  আদেশ দেয়ার পর তার  আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক   কারাগারে ডিভিশন প্রদানের দাবি জানালে আদালত বলেন এটি কারা কর্তৃক্ষের বিষয়। ব্যারিস্টার  আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনি এ আদেশ দিতে পারেন। কিন্তু আদালত  এ জাতীয় আদেশ  দেননি। এব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করার পরামর্শ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ অধ্যাপক গোলাম আযমের আদালতে হাজির হওয়াকে কেন্দ্র করে পুরো সুপ্রীম কোর্ট এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সকল গেটে লোকজনের চলাচল পরীক্ষা করা হয়।  ট্রাইব্যুনালের সামনে সকাল থেকে সাংবাদিকরা ভিড় করে।

গোলাম আযমের  বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অভিযোগের শুনানি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠানের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওইদিন অধ্যাপক গোলাম আযমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়াও পাশাপাশি তার শারীরিক অবস্থার দিকে নজর দেওয়ার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাকর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি নিজামুল হক, বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর এবং বিচারপতি একেএম জহির আহমদ সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজ এ আদেশ দেন। 

ডিফেন্স কাউন্সিলের বক্তব্য:
আদেশের পর অধ্যাপক গোলাম আযমের আইনজীবী ব্যারিস্টর  আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের আদেশ সঠিক  হয়নি। এটি  একটি ইনকারেক্ট অর্ডার । তিনি বলেন, এই মামলার যে গ্রাউন্ডে আব্দুল আলীমকে জামিন দেওয়া হয়েছে, আমরা একই গ্রাউন্ডে অধ্যাপক গোলাম আযমের জামিন চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত আমাদেরকে জামিন না দিয়ে আমাদের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। এমনকি এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করারও কোন সুযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের দরজা বন্ধ। সেই অধিকার থাকলে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারতাম। আমাদের কোন মৌলিক অধিকার নেই। ব্যারিষ্টার রাজ্জাক বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আমরা জানি না। তারপরও একজন মানুষের বিরুদ্ধে যত অভিযোগই থাক না কেন তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।  কিন্তু তিনি তাকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো। এই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কায়েন্টের সাথে আলাপ করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, একজন মানুষের ব্যাপারে যতক্ষণ দোষী প্রমাণ না হবে ততক্ষণ তিনি অন্য ১০ জনের মতোই নির্দোষ। গোলাম আযমের জামিনের জন্য আবেদন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জামিনের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি:
সকাল সাড়ে ১০ টায় অধ্যাপক গোলাম আযমের উপস্থিতিতে তার জামিন আবেদনের শুনানী শুরু হয়।  শুনানিতে  গোলাম আযমের  আইনজীবী ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযমের বয়স ৮৯ বছর। তার শারীরিক অবস্তা ভালো নয়। তিনি ডায়াবেটিস, ব্লাডপ্রেসার, ব্যাকপেইন, আরথ্রাইটিস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এসব রোগের জন্য তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফিজিও থেরাপিও নিচ্ছেন। বিশেজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে বলেছেন। এসবের ডাক্তারী সার্টিফিকেটও রয়েছে। তিনি নিজে চলা ফেরা করতে পারেননা। চলাফেরায় অপরের সাহায্য দরকার। তিনি একজন বৃদ্ধলোক। অন্যের সাহায্য নিয়ে হুইল চেয়ারের মাধ্যমে তাকে চলা ফেরা করতে হয়।  তার  চলাফেরা  শুধু মাত্র বাসা   এবং বাসার নিকটস্থ মসজিদ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন,  এর আগে একই কারনে  আব্দুল আলীমকে ট্রাইব্যুনাল জামিন দিয়েছিলেন। অধ্যাপক গোলাম আযমের বয়স  আব্দুল আলীমের চেয়ে ৯ বছর বেশি। সুতরাং  গোলাম আযমের জামিন পাওয়ার অধিকার তার চেয়ে বেশি যৌক্তিক। একই গ্রাউন্ডে অধ্যাপক গোলাম আযমও জামিন পেতে পারেন। আদালতে তিনি গোলাম আযমের জামিনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, বার্ধক্য ও অসুস্থতা বিবেচনা করে মানবিক কারণে তাকে জামিন দেয়া উচিত।

গোলাম আযমের জামিন আবেদনের যুক্তির পূর্বে গোলাম আযমের পরিচয় পেশ করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন তিনি এদেশের একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ। জামায়াতে ইসলামীর মত একটি লিডিং দলের দীর্ঘ দিনের আমীর ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ডাকসুর  নির্বচিত  জিএস ছিলেন।

অপরদিকে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আমির টিপু জামিন আবেদনের বিরোধীতা করে বলেন, মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসনী মোবারকের বয়স ৯০ বছর। তাকে কারাগারে আটক রেখেই তার বিচার হচ্ছে। এছাড়া তিনি আমেরিকান প্রবীণ নাগরিকের জার্মানীতে বিচারের উদাহরণ তুলে ধরেন। টিপু বলেন, ‘৭১ সালে রাজাকার আলবদর আলসামস্ যে অপকর্ম করেছিল তার সবই তার নির্দেশে হয়েছে। গোলাম আযম এসবের মূল পরিকল্পনাকারী।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের উত্থাপিত আব্দুল আলীমের জামিনের উদাহরণের জবাবে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, তার বিরুদ্ধে এখনো চার্জসীট জমা দেওয়া হয়নি। কিন্তু গোলাম আযমের বিরুদ্ধে চার্জসীট জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত তা আমলেও নিয়েছেন। কাজেই গোলাম আযমের জামিন মঞ্জুরের কোন যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনিদিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি হত্যা, নির্যাতন চালিয়েছেন। তিনি নিজেই রাজাকার অলবদরবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তিনি কোনবাবেই জামিন পেতে পারেন না।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল গোলাম আজমের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।


ট্রাইব্যুনালের আদেশ :
ট্রাইব্যুনাল আদেশ প্রদানের সময় ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদ, ৪ লাখ নারী ধর্ষণ এবং জীবন বাঁচাতে এক কোটি মানুষের দেশ ত্যাগের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালে তার ভ’মিকা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এঅবস্থায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করা হলো।

উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতি:
অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডবোকেট ফরিদ উদ্দিন খান প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর রানাদাশগুপ্ত সহ অপরাপর প্রসিকিউটরগণ উপস্থিত ছিলেন।

গোলাম  আযমের আগমন ও  ট্রাইব্যুনালের বাইরের চিত্র:
সকাল সাড়ে ১০ টায় শুনানি শুরু হয়ে বেলা  সাড়ে ১১ টায় উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হয়ে আদালত আদেশ প্রদান করেন। আদেশের পর দুপুর ১২ টায় প্রিজন ভ্যানে করে অধ্যাপক গোলাম আযমকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে সাকাল পৌনে ৯ টায় তার আইনজীবীর গাড়িতে করে পুরাতন হাইকোর্টভবনস্থ ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। এসময় তার ছেলে আবদুল্লাহ হিল আমান আজমী উপস্থিত ছিলেন। গাড়ি থেকে  নামার সময় টিভি চ্যানেলের ও ফটো সংবাদিকরা তার ছবি ধারণ করার জন্য হুড়াহুড়ি ও প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন। এসময় কর্তব্যরত পুরিশের সাথে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। পরে ৯ টা ৫৫ মিনিটে গেলাম আযমতে হুইল চেয়ারে করে ট্রাইব্যুনাল কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার গায় ক্রিম কালারের পাঞ্জাবী, ও আকাশী রঙের হাফ সোয়েটার। মাথায় ছিল টুপি ও ক্রিম কালারের পেন্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তিনি প্রথমেই বিচারপ্রার্থীদের বেঞ্চে বসলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা তাকে কাঠগড়ায় বসার অনুরোধ করেন। তখন তিনি কাঠগড়ায় রক্ষিত কাঠের চেয়ারে বসেন। বিচারকরা প্রবেশ করার সাথে সাথে অধ্যাপক গোলাম আযমও দাঁড়িয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের উদ্দেশ্যে সালাম দেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও আদালতের চিত্র:
গোলাম আযম ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া উপলক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় এবং সুপ্রিমকোর্টের প্রতিটি ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যবৃন্দ তৎপর ছিলেন।  ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।  ট্রাইব্যুনালের প্রবেশ পথে সাংবাদিক, আইনজীবী ও পর্যবেক্ষকদেরকে তল্লাসী করেন আইনশৃঙলা বাহিনী। শুনানি চলাকালে ট্রাইব্যুনাল কক্ষে তিল দারণের জায়গা ছিলনা। আইনজীবী, সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর, ডিফেন্স কাউন্সিল, প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন। এসময় অনেকেই দাড়িয়ে বিচার পর্যবেক্ষন করতে দেখা গেছে।

গোলাম আযমের জামিনের আবেদন:
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম আন্তর্জাতিক অপরাধ  ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করেন। এ আবেদনে তিনি বার্ধক্য ও স্বাস্থ্যজনিত কারণ উল্লেখ করেন। গত মঙ্গলবার তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে জামিনের এ আবেদনটি দায়ের করেন।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত সোমবার জামায়াতের সাবেক এই আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে গতকাল বুধবার হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটরের  প্রতিকৃয়া :
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের এ আদেশ জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধাকালীন সময়ে পাকবাহিনীদের সহযোগিতা করার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে তিনি কাজ করেছেন। তিনি বলেন, আব্দুল আলিমের জামিন সাথে মিলিয়ে দেখলে হবে না। কারণ আব্দুল আলীম যখন গ্রেফতার হন তখন তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়া হয়নি। কিন্তু গোলাম আযমের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ নেয়া হয়েছে। এখানে বয়স নয় অপরাধই বিবেচ্য বিষয়। তাই গোলাম আযমের আমিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অভিযোগ:
গত ১২ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ৫২ দফা অভিযোগ উত্থাপন করে অধ্যাপক গোলাম আযমকে গ্রেফতারের আবেদন জানায় প্রসিকিউশন বিভাগ।  চার্জশিট আমলে নেয়ার বিষয়ে ২৬ ডেিসম্বর তারিখ ধার্য্য করেন আদালত। কিন্তু চার্জশিট যথাযথ না হাওযায় তাকে এলোমেলো এবং অবিন্যস্ত আখ্যায়িত করে আদালত পুনরায় ৫ জানুয়ারি দাখিলের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে। 

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে পরদিন ১ নভেম্বর একটি তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হয়। একইসময় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ৪০ বছরের আগের ঘটনা হওয়ায় প্রতিবেদনে ব্যক্তি সাক্ষীর পাশাপাশি সেসময়ের নথিপত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৩৬০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে সাক্ষী আছে ৪০ জন। এরসাথে রয়েছে ১০ হাজার পৃষ্ঠার নথিও সংযুক্ত করা হয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন।


যাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু :
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৮ জনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারা হলেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপি ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলীম। এছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মো. কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা। এর মধ্যে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন এবং সাক্ষী প্রদান ও জেরা অব্যাহত রয়েছে।











কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন