বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

আজো নতুন সাক্ষী হাজির করতে পারেনি প্রসিকিউশন

মেহেদী হাসান, ১৭/১/২০১২
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আজো   নতুন সাক্ষী  হাজির করতে পারলনা রাষ্ট্রপক্ষের  আইনজীবীরা। গত মঙ্গলবার ১২টায় ১৪ তম সাক্ষীর  জবানবন্দী  এবং জেরা শেষ হলে আদালত নতুন সাক্ষীর বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের  আইনজীবী জানান তাদের  হাতে নতুন সাক্ষী নেই এ মুহুর্তে। মধুসূদন ঘরামী নামে  ৮০ বছরের একজন সাক্ষী ঢাকায় আছে তবে  সে অসুস্থ।  কিন্তু  আজো  তাকে আদালতে  হাজির করতে না পারায় আদালত আগামী ২৩  জানুয়ারি সোমবার পর্যন্ত মাওলানা সাঈদীর বিচার মূলতবী করেন। ২৪ জানুয়ার মঙ্গলবার থেকে আবার সাক্ষ্য গ্রহণ  এবং  জেরার জন্য নির্ধারন করেন আদালত।

১৪ তম সাক্ষী আব্দুল হালিম বাবুলের জবানবন্দী  এবং জেরা  গত মঙ্গলবার  ১২টায় শেষ হয়ে হলে রাষ্ট্রপক্ষের   প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী আদালতকে জানান, এই মুহুর্তে তাদের হাতে নতুন সাক্ষী নেই। তখন আদালত বলেন আমরা রেডি। আসামী পক্ষও রেডি। কিন্তু  আপনাদের সাক্ষী নেই।  আগামী কাল (বুধবার) কোন সাক্ষী  হাজির করতে পারবেন কি-না তা জানতে চান ট্রাইব্যুনালের
চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল  হক। তখন সৈয়দ  হায়দার আলী বলেন,  চেষ্টা করব। বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, চেষ্টা করব বললে হবেনা। নিশ্চিত করে বলতে হবে ।

সৈয়দ হায়দার আলী তখন বলেন, আমাদের পরবর্তী সাক্ষীর বয়স ৮০ বছর। সে ঢাকায় আছে। তার সাথে আমার এখনো দেখা হয়নি। আগামীকাল তাকে আনার চেষ্টা করব। না পারলে মাফ করে দিতে হবে।     রাষ্ট্রপক্ষের   প্রসিকিউটর রানাদাশ গুপ্ত আদালতকে জানান, তাদের সাক্ষী  এখনো সুস্থ হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে  মোট ৬৮ জন সাক্ষীর তালিকা দেয়া হয়েছে।

গতকাল   মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতের বাইরে  বলেছিলেন,  আমরা যখনই কোন আবেদন দেই তখনই রাষ্ট্রপক্ষের  আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন  বিচারকে বাঁধাগ্রস্ত  করার জন্য  এবং বিলম্বিত করার জন্য আমরা এসব করছি। কিন্তু  এখন তারা সময়মত সাক্ষী আনতে পারছেননা। এর আগেও বেশ কয়েকবার  তারা  সাক্ষীদের অসুস্থতার কারনে সময় নিয়েছেন।  তখনো বিচার বিলম্বিত হয়নি। কিন্তু আমরা  ন্যায় বিচারের স্বার্থে কোন আবেদন করলে কোন দাবি উত্থাপন করলেই তারা অভিযোগ করে বিচারকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছি আমরা।

মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল  ইসলাম বলেন,  সৈয়দ হায়দার আলী বলেছিলেন তিনি সাক্ষীর সাথে  সাক্ষাত কারতে পারেননি।  এটি ভাল কথা নয়।  তার মানে সাক্ষীকে তারা প্রশিক্ষন দিচ্ছেন। তারা সাক্ষীকে দিয়ে যা বলাতে চাইছে তা  শেখাচ্ছেন। এতে প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবেনা সাক্ষীর মুখ থেকে যা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন