বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৩

জেরায় সুলতানা কামাল// রাজাকার, আল বদর, আল শামস, শান্তি কমিটির নেতা হিসেবে গোলাম আযমের নাম আসেনি

মেহেদী হাসান, ১৩/৯/২০১২
সুলতানা কামালকে জেরায় প্রশ্ন করা হয় “রাজাকার, আল বদর,  আল শামস, শান্তি কমিটির অনেকের নামের সাথে প্রায়শই গোলাম আযমের নাম  উঠে আসত  বলে  আপনি আপনার জবানবন্দীতে বলেছেন। গোলাম আযমের নাম এসব বাহিনীর  নেতা হিসেবে আসছে কি-না?”
জবাবে তিনি বলেন,  নেতা হিসেবে আসেনি। ওইসব বাহিনীর কার্যকলাপের সাথে তার নাম এসেছে।

ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা অনুযায়ী সুলতানা কামালের জেরা আজ শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সুলতানা কামালের জবানবন্দী শেষে জেরা  শুরু হয়। বুধবার  অর্ধদিবস জেরা চলে। এরপর গতকালের মধ্যে তার জেরা শেষ করার জন্য  আসামী পক্ষকে নির্দেশনা দেন ট্রাইব্যুনাল। সে অনুযায়ী গতকাল সারা দিন তার জেরা চলে এবং  জেরা শেষ হয়।

আজ তাকে জেরা করেন  অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম এবং কফিল উদ্দিন চৌধুরী। তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টার এমরান এ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট  শিশির মো: মনির। এসময় অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট  গিয়াস উদ্দিন আহমেদ মিঠু, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

জেরা :
প্রশ্ন : রাজা ত্রিবিদ রায়   পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন ।
উত্তর : সঠিক। তবে এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। কারণ যেকোন মুক্তিসংগ্রামে আক্রমনকারী পক্ষ আক্রান্তদের মধ্য থেকে কিছু লোক নিয়োগ দিয়ে সামনে আনে মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য, দেখানোর জন্য। যাতে তারা বুঝতে না পারে এ ধরনের গণহত্যা এবং জতিগত নিধনের কথা।
প্রশ্ন : এটা আপনার মনগড়া বক্তব্য। স্বাধীনতার পর সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে যেসব বই  লেখা হয়েছে তার কোথাও এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করেনা।
উত্তর : মনগড়া নয়। এ ধরনের বক্তব্য নাও থাকতে পারে তাতে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার বক্তব্য বলেছি।
প্রশ্ন : তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় জামায়াতে ইসলামের কোন সদস্য ছিলনা।
উত্তর : সত্য হতে পারে।
প্রশ্ন : অংশুপ্রু চৌধুরীও (মার্মা নেতা) বৌদ্ধদের নেতা ছিলেন এবং ১৯৭০ সালে  প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনি বলেছেন আপনার মা (সুফিয়া কামাল) সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে মূলধারার রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সেই মূলধারার নেতৃত্বে কোন দল ছিল?

উত্তর : আওয়ামী লীগ।
প্রশ্ন : আপনার মা যেসব পদক পেয়েছেন সেগুলো হল ১৯৬১ , ১৯৬২, ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৮­ ১৯৯৫ এবং ১৯৯৬ সালে।
উত্তর : অনেক পদক পেয়েছেন। সাল সব মনে নেই।
প্রশ্ন : মাহে নও নামে একটি মাসিক পত্রিকায় আপনার মা নিয়মিত লিখতেন যার সম্পাদক ছিলেন আব্দুল কাদির।
উত্তর : হ্যা।
( সে পত্রিকায় সুফিয়া কামাল কায়েদে আজমের  বন্দনা করে অনেক কবিতা লিখেছেন এ জাতীয় প্রশ্ন  করতে চাইলে কোর্ট তা এ্যালাউ করেনি।)

প্রশ্ন : আপনি ১৯৮৪ সালে কোথায় থাকতেন?
উত্তর : সিলেটে। ফ্রিল্যান্স কনসালটেন্সি করতাম।
প্রশ্ন : কত সময় সেখানে ছিলেন।
উত্তর : ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।
প্রশ্ন : বার কাউন্সিলে সদস্য হিসেবে আপনার সিনিয়র কে ছিলেন?
উত্তর : জি এন দেব।
প্রশ্ন : কতদিন কাজ করেছেন তার অধীনে?
উত্তর : লাইসেন্স  পাবার জন্য যতদিন দরকার ততদিন। এরপর আর কোর্টে যাবার সময় পাইনি।
প্রশ্ন : সনদ এখনো আছে?
উত্তর : সিলেট বারের সদস্য সনদ এখনো আছে। তবে আমি কোর্টে যাইনা। আমি  প্রাকটিসিং লয়ার নই।
প্রশ্ন : আপনি বার কাউন্সিলে সনদ নেয়ার সময় এভিডেভিডে বলেছিলেন আপনি কোন পেশায় নিয়মিত নন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনি আপনার জবানবন্দীতে বলেছেন, রাজাকার, আল বদর, শান্তি কমিটি, আল শামস সংক্রান্ত খবরগুলো তখন পত্রিকায় ফলাও করে ছাপা হত।  সে পত্রিকাগুলোর নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : পূর্বদেশ, আজাদ।
প্রশ্ন : তারিখ?
উত্তর : ৫ এবং ৭  এপ্রিল।
প্রশ্ন : ওই খবরে গোলাম আযমের ভূমিকা সম্পর্কে কিছু নেই।
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : আমি বলছি ওই তারিখে আজাদে এ ধরনের কোন খবরই নেই।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ৬ এপ্রিল আজাদে খবর ছাপা হয় নুরুল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করে।  দেশে স্বাভাবিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের আশ্বাস দেয়া হয় সে বৈঠকে। ওই  খবরে  গোলাম আযমের নেতৃত্বে দেখা করার কথা বলা হয়নি।
উত্তর : এটা সত্য হতেও পারে তবে পূর্ব দেশের খবরে গোলাম আযমের নেতৃত্বের কথা বলা আছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দেখেছি যে, মিছিল মিটিং হয়েছে। এমনকি গোলাম আযমের দস্তখত সংবলিত ১ টাকার টিকিটও বিক্রি হয়েছে অর্থ সংগ্রহের জন্য।
প্রশ্ন : গোলাম আযম মূখ্য ভূমিকা পালন করে একথা পূর্বদেশ পত্রিকার কত তারিখে আছে?
উত্তর : ৫ এবং ৭ এপ্রিল।

প্রশ্ন :   নুরুল আমিনের নেতৃত্বে টিক্কা  খানের সাথে দেখা করার পর শান্তি কমিটি গঠিত হয় এবং সে খবর ১১ এপ্রিল দৈনিক পআজাদে  ছাপা হয়।
উত্তর : পত্রিকার তারিখ আমি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : এই শান্তি কমিটির মূখ্য ব্যক্তি ছিলেন মুসলিম লীগের খাঁজা খয়ের উদ্দিন।
প্রশ্ন : হ্যা।
প্রশ্ন :  শান্তি কমিটিতে ১৪০ সদস্য ছিল।
উত্তর : সংখ্যা বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে নাগরিকদের প্রাত্যাহিক জীবনে সত্ত্বর স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি ও অহেতুক ভিত্তিহীন শংকা  দুর করা ।
উত্তর : একথা লেখা ছিল এটা সত্য তবে যেসময় জনগনতে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে সেই সময় এসব ঘটনাকে অহেতুক ও ভিত্তিহীন শঙ্কা বলে প্রকাশ করে তারা তাদের মানসিকতা এবং অপরাধের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
প্রশ্ন : গোলাম আযম মুক্তিযোদ্ধাদের দৃষ্কৃতকারী বলেছেন এ মর্মে কোন পেপারকাটিং আপনি দেখাতে পারবেন বা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন?
উত্তর : দেখাতে পারব। আমার কাছে আছে এবং তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দিয়েছি।
প্রশ্ন : চাপসৃষ্টি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে গোলাম আযম শান্তি কমিটিতে যোগ দিতে বাধ্য করেছে কোন বক্তব্য বিবৃতি সংবলিত  কোন প্রমান আছে?
উত্তর : আছে। জমাও দিয়েছি।
প্রশ্ন : এ মর্মে যুদ্ধকালে প্রকাশিত দেশি বা বিদেশী কোন পত্রিকার কাটিং আছে কি-না, এখনকার পেপার নয়।
প্রশ্ন : আমার সংগ্রহে নেই।
প্রশ্ন : গোপন কিলার ফোর্স গঠন বিষয়ে সেসময় দেশি বা বিদেশী কোন মাধ্যমে  খবর প্রকাশিত হয়েছে  কি-না।
উত্তর : তা বলতে পারবনা। তবে এ খবরগুলো আমি মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যকার গোয়েন্দাদের মাধ্যমে পেতাম যারা গেরিলা অপারেশনের জন্য ভারত থেকে দেশে  প্রবেশ  করত এবং আবার আগরতলা ফিরে আসত।
প্রশ্ন : অধ্যাপক গোলাম আযম কোন কমিটি বা বাহিনীর আনুষ্ঠানিক প্রধান ছিলেন না।
উত্তর : ছিলেননা। গোলাম আযমের ভূমিকাকে হিটলারের সমতুল্য।  হিটলার নাৎসী বাহিনীর প্রধান ছিলেননা এমনকি সদস্যও ছিলেননা। কিন্তু নাৎসী বাহিনীর অত্যাচারের নায়ক ছিলেন হিটলার। তেমনি শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর মূখ্য নেতা গোলাম আযম ছিলেননা কিন্তু তার নেতৃত্বে, নির্দেশে এবঙ পরিকল্পনায় এসব বাহিনী পরিচালিত হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার যা করেছে আমি মনে করি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় গোলাম আযম তাই করেছে।
প্রশ্ন : হিটলার তখন জার্মান রাষ্ট্রের ক্ষমতায় ছিলেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া খান এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন  টিক্কা খান।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : হিটলারের অবস্থানে গোলাম আযম ছিলেননা।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : তার সাথে অধ্যাপক গোলাম আযমকে তুলনা করা  অস্বাভাবিক এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।
উত্তর : সত্য নয়।

প্রশ্ন : স্বাধীনতা উত্তরকালে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত  ইতিহাস, বই লেখা হয়েছে তার সব জায়গায় ইয়াহিয়া এবং টিক্কা খানকে হিটলারের সাথে তুলনা করা হয়েছে। গোলাম আযম সাহেবকে নয়। আপনি গোলাম আযমকে হিটলারের সাথে  তুলনা করে ইতিহাস বিকৃতি করলেন।
উত্তর : আমি ইতিহাস বিকৃতি করছিনা। গোলাম আযমের নাম উক্ত দুজনের সাথে যুক্ত করলাম।
প্রশ্ন :  আজ থেকেই যুক্ত করলেন?
উত্তর : আজ প্রসঙ্গক্রমে আসল বিষয়টি ।
প্রশ্ন : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চতর পর্যায় থেকে গোলাম আযমের নাম ধরে প্রশংসা করা হয়েছে   বলেছেন আপনি।  আমি বলছি এ মর্মে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চতর পর্যায় থেকে কোন বিবৃতি দেয়া হয়নি।
উত্তর : দিয়েছে।
প্রশ্ন : এ মর্মে কোন প্রমান  দাখিল করেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডানের জনসযোগ কর্মকর্তা  ব্রিগেডিয়ার  সিদ্দিক সালেহ  লিখিত উইটনেস টু সারেন্ডার বইটি পড়েছেন?
উত্তর : পড়েছি।
প্রশ্ন : পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পাকিস্তানপন্থী পূর্ব পাকিস্তানের কোন রাজনীতিবিদের  প্রভাব থাকার বিষয় স্বীকার করেননি।
উত্তর : থাকতে পারে। তবে তা তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি।
প্রশ্ন : আপনি বলেছেন হামিদুল্লাহ খানের বাসার কাজের ছেলেটিকে পাকিস্তান আর্মি ধরে নিয়ে গেল তাদের না পেয়ে। স্বাধীনতার পর ওই ছেলেটির খোঁজ নিয়েছিলেন?
উত্তর : যুদ্ধচলাকালে এবং স্বাধীনতার পরও  তাকে  অনেক খোঁজ করেছি।  তবে পাওয়া যায়নি।
প্রশ্ন : আল বদর, রাজাকার, আল শামস, শান্তি কমিটির অনেকের নামের সাথে প্রায়শই গোলাম আযমের নাম  খবরে আসত বলেছেন আপনি জবানবন্দীতে। গোলাম আযমের নাম এসবের নেতা হিসেবে আসছে কি-না।
উত্তর : নেতা হিসেবে আসেনি। ওইসব বাহিনীর কার্যকলাপের সাথে তার নাম এসেছে।
প্রশ্ন : রাজাকার, আল বদর, আল শামস এবং শান্তি কমিটির অভিযান পরিচালনা বা কর্মকান্ডের সাথে গোলাম আযমের নাম আছে এ মর্মে ওই সময়কার কোন পত্রপত্রিকার কাটিং  তদন্ত কর্মকর্তাকে দিয়েছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : একটি সামরিক বাহিনীর সহায়ক বাহিনী যখন কোন অভিযানের পরিকল্পনা গ্রহণ করে তখন তার কৌশলগত পরিকল্পনা  তৈরি করে সামরিক বাহিনীর অনমোদন নেয় অথবা সামরিক বাহিনীর নির্দেশনা অনুযায়ী তারা অভিযানের পরিকল্পনা করে।
উত্তর : নিয়মমত তাই হয়। তবে ওই তিনবাহিনী নিয়মমত সেসময় কাজ করেছে তা ঘটনা দেখলে মনে হয়না।
প্রশ্ন : অপারেশন সার্চ লাইটের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর  জেনারেল টিক্কা  খানের সাথে বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে শুধুমাত্র জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাম শোনা যায়।
উত্তর : সত্য। এতেই মনে হয় ওই সময় বেসামরিক ব্যক্তিরাও জড়িত ছিল।।
প্রশ্ন : আপনি আত্মজীবনীমূলক একটি বই লিখেছেন তার নাম কি?
উত্তর :  আত্মকথা নীলিমার নীচে।
প্রশ্ন : রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিনের অধীনে আপনি তত্তাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হয়েছিলেন।

উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাবার আগে বেবি মওদূদ, আসাদুজ্জামান নূর, সাবের হোসেন চৌধুরী, মোনায়েম সরকার আপনাকে ফোন করে  বলেছেন যে, নেত্রী শেখ হাসিনা উপদেষ্টা হিসেবে আপনাকে বাছাই করেছেন ১৪ দলের পক্ষ থেকে।
উত্তর : বলেছিল যদি তোমাকে সিলেক্ট করে তুমি না করোনা।
প্রশ্ন : সাবেক  মন্ত্রী  বর্তমান এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী আপনাকে ফোন করে বলেছিল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এটা আমার অফিসিয়াল যোগাযোগ।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আমি বলছি আপনি আপনার জবানবন্দীতে গোলাম  আযমকে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতীক, গনহত্যার সমর্থন এবং সহযোগিতার মাস্টারমাইন্ড, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর দার্শনিক এবং কৌশলগত পরিকল্পনাকারী আখ্যায়িতসহ তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : অধ্যাপক গোলাম আযম পাকিস্তানের অখন্ডতায় বিশ্বাসী হলেও তার ভূমিকা ছিল শুধুমাত্র রাজনৈতিক। কোন অপরাধ সম্পৃক্ত নয়।
উত্তর : সত্য নয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন