মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট, ২০১২

govt forced Zahir Ahmed to resign-defence team


বিচার প্রক্রিয়া কুক্ষিগত করতে জহির আহমেদকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে-ডিফেন্স টিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিফেন্স টিমের  (যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতৃবৃন্দের পক্ষে আইনজীবীদের টিম) পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে সরকার ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমকে কুক্ষিগত করার জন্য বিচারক এ কে এম জহির আহমেদকে চাপ প্রয়োগ করে পদত্যাগে বাধ্য করেছে।

ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে গতকাল বিচারক জহির আহমেদ পদত্যাগের পর ডিফেন্স টিমের পক্ষ থেকে লিখিত বিবৃতি প্রদান করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় “ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জনাব এ কে এম জহির আহমেদ পদত্যাগ করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিম গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ডিফেন্স টিম মনে করে যে, পদত্যাগের এই ঘটনা বিচারকার্যের উপর মারাত্মক তিকর প্রভাব ফেলবে এবং ন্যায়বিচার বিঘিœত হবে। ডিফেন্স টিম আবো মনে করে যে, বিচারক এ কে এম জহির আহমেদ একজন মেধাবী, প্রাজ্ঞ ও নিরপে বিচারক ছিলেন এবং মামলা পরিচালনার েেত্র প সমুহের অধিকার সংরণের ব্যাপারে আপোষহীন ও সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। মামলা পরিচালনা কালে রাষ্ট্রপরে নানা রকম অযৌক্তিক ও আইন বহির্ভূত কর্মকান্ডের ব্যাপারে তিনি শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন। আদালত কে রাষ্ট্রপরে বিভিন্ন বেআইনি পদেেপর ব্যাপারে একমত না হওয়ায় রাষ্ট্রপ প্রকাশ্যেই তার উপর ােভ ও উষ্মা প্রকাশ করেছিল। আমরা মনে করি যে, এরই ধারাবাহিকতায় তাকে চাপ প্রয়োগ করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তার এই পদত্যাগের ঘটনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমের উপরে রাষ্ট্রপরে হস্তেেপর নগ্ন বহি:প্রকাশ।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে তাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রপতির কাছেই তার পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার কথা কিন্তু তা না করে তিনি আইন মন্ত্রনালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, তার পদত্যগের পিছনে আইন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রয়েছে।

আমরা আরো মনে করি যে, কোন কোন মামলার বিচারকার্য যখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে সে মুহুর্তে বিচারকের পদত্যাগ আসামী পকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করবে। ইতিপূর্বে এই ট্রাইব্যুনাল থেকে আরো একজন বিচারককে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল-১ শুধুমাত্র একজনই বিচারক থাকলেন যিনি শুরু থেকেই এই মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট।

আমরা আশংকা করছি যে সরকার বিচারক জনাব এ কে এম জহির আহমেদ এর স্থলে সরকারের অনুগত ও আস্থাভাজন বিচারক নিয়োগ করে ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে কুগিত করতে চায়।

ডিফেন্স টিম আরো মনে করে যে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একজন সম্পূর্ণ দলীয়প্রভাবমুক্ত, সৎ, সাহসী এবং হাইকোর্ট বিভাগে অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিচারককে এই শুন্য পদে নিয়োগ না করে যদি কোন দলীয় ব্যক্তিকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে চলমান বিচার প্রক্রিয়া একটি প্রহসনে পরিণত হবে।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন