মেহেদী হাসান, ১০/৪/২০১৪
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মোফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ যুক্তি পেশ শেষ করেন। আগামী রোববার রাষ্ট্রপক্ষের পেশকৃত যুক্তির জবাব প্রদানের সুযোগ পাবে আসামি পক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানীতে বলেন, ট্রইব্যুনাল সঠিকভাবেই মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুদন্ড দিয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল কোন ভুল করেনি। তিনি আদালতের কাছে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত মৃত্যুদন্ডের রায় বহালের আবেদন করেন। এছাড়া মাওলানা সাঈদীকে ট্রাইব্যুনাল অপর যে ছয়টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে কিন্তু সাজা উল্লেখ করেনি সেগুলোতেও সাজা উল্লেখের দাবি জানান।
আদালতের কার্যক্রম শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল তার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ট্রাইব্যুনালের রায় অবশ্যই বহাল থাকবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন শেষে ১৯৭২ সালে গঠিত বরিশাল স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বই তলবের আবেদন করেন। তখন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান পিরোজপুর আদালত থেকে ১৯৭২ সালে দায়ের করা মমতাজ বেগমের মামলার জিআর বই তলবেরও মৌখিক আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতি তাকে লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেন।
অ্যাডভোকেট শাহাজাহন বলেন, আগামী রোববার তিনি আবেদন জমা দেবেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তার লিখিত জবাব আজ আদালতে জমা দিয়েছে আসামী পক্ষ। এর মধ্যে অপহরনের শিকার বিশাবালীর ভাই সুখরঞ্জন বালী এবং তার স্ত্রীর সাক্ষাতকারের স্ক্রিপ্টও রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন। গতকাল শুনানীর শুরুতে আদালত আসামী পক্ষের দাখিল করা মমতাজ বেগমের মামলার মূল সার্টিফাইড কপি দেখেন। এসময় এ কপি বিষয়ে আদালত বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন।
কপিটি হাতে পাওয়ার পর প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বলছিলেন ফটোকপির ওপর প্রদর্শনী মার্ক করা হয়েছে? এরপর তিনি নথিটি নেড়েচেড়ে দেখে বলেন, আপনার সাবমিশন সঠিক। ফটোকপির ওপর প্রদর্শনী মার্ক করা হয়েছে। ফটোকপির সাথে সার্টিফাইড কপি স্টাপলার মারা। ফটোকপির মধ্যে সার্টিফাইড কপি। সার্টিফাইড কপি এখানে আসল কি করে তাহলে?
এপর্যায়ে একজন বিচারপতি আসামী পক্ষের উদ্দেশে বলেন, এ নথি প্রদর্শন করার সময় সাক্ষী কি বলেছিল পড়ে শোনান। অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ১১ তম সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দী পড়ে শুনিয়ে বলেন, মমতাজ বেগমের মামলার জাবেদা নকল ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হল। এই সেই মূল সার্টিফাইড কপি যা প্রদর্শনী ‘এ’ হিসেবে চিহ্নিত হল।
তখন ওই বিচারপতি বলেন, সাক্ষীতো বলেছে মূল সার্টিফাইড কপি দাখিল করা হয়েছে এবং প্রদর্শনী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ভুল করেছে। ট্রাইব্যুনাল ফটোকপির ওপর প্রদর্শনী মার্ক করেছে। ট্রাইব্যুনাল পরে প্রদর্শনী মার্ক করলে সেজন্য সাক্ষী দায়ী হবেনা।
প্রধান বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন ট্রাইব্যুনালে ডকুমেন্ট প্রদর্শনের নিয়ম কি। তখন আসামী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন বলেন, আমরা সরাসরি হাতে হাতে ট্রাইব্যুনালের কাছে কপিটি দিয়েছি এবং তা সাফাই সাক্ষীর মাধ্যমে প্রদর্শনের পর প্রদর্শনী হিসেবে চিহ্নিত হয়। তিনি বলেন, অনেক অনেক ডকুমেন্টের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করে বলা হয়েছে এই হল এর ফটোকপি। পরে মূল কপির সাথে ফটোকপির মিল প্রমান সাপেক্ষে ফটোকপির ওপর প্রদর্শনী মার্ক করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আইনে ফটোকপি গ্রহনের নিয়ম আছে।
আসামি পক্ষের দায়ের করা মমতাজ বেগমের মামলার নথি বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আসামি পক্ষ দাবি করেছে এ মামলার চার্জশিট হয়েছিল। চার্জশিট যদি হয় তাহলে এফআইআর আর নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়না। তারা বলেছে চার্জশিট হয়েছিল । তাহলে তারা চার্জশিট আনতে পারলনা কেন? তিনি বলেন, অনেক সময় এফআইআরে মূল আসামীর নাম নাও থাকতে পারে। পরে চার্জশিটে মূল আসামির নাম যোগ হতে পারে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রথমে মূল আসামীদের নাম ছিলনা। পরে মূল আসামীর নাম যোগ হয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
এসময় একজন বিচারপতি বলেন, চাজশিটে আসামীর নাম পরিবর্তন হলেও ঘটনাস্থল এবং ঘটনার তারিখ তো পরিবর্তন হবেনা (মমতাজ বেগমের মামলায় এবং আসামী পক্ষের অভিযোগে ঘটনাস্থল এবং ঘটনার তারিখ সম্পূর্ণ ভিন্ন হিসেবে উল্লেখ আছে।)
মমতাজ বেগমের মামলার নথিকে জাল আখ্যায়িত করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ নথি তো বিবেচনায়ই আনা যেতে পারেনা।
একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন নথিটিতে সব পাতায় সিল আছে কি-না। তখন পরীক্ষা করে দেখা যায় কপিটির শেষের পাতায় সিল আছে। মাঝখানের পাতায় কর্তৃপক্ষের সিল নেই। আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহজাহান তখন এভিডেন্স অ্যাক্ট পড়ে শুনিয়ে আদালতে বলেন, শেষ শুধু শেষ পৃষ্ঠায় সিল থাকারও নিয়ম আছে। তিনি এসময় চলতি বছর ইস্যু করা একটি সার্টিফাইড কপি আদালতে দেখিয়ে বলেন, এ কপিটিতে শুধু শেষের পাতায় কর্তৃপক্ষের সিল আছে। সব পাতায় নেই। আদালত তখন মন্তব্য করেন মাঝখানে যাতে নতুন পাতা কেউ যোগ করতে না পারে সেজন্য সব পাতায় সিল মারার নিয়ম করার হয়েছে।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মোফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ যুক্তি পেশ শেষ করেন। আগামী রোববার রাষ্ট্রপক্ষের পেশকৃত যুক্তির জবাব প্রদানের সুযোগ পাবে আসামি পক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানীতে বলেন, ট্রইব্যুনাল সঠিকভাবেই মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুদন্ড দিয়েছে এবং ট্রাইব্যুনাল কোন ভুল করেনি। তিনি আদালতের কাছে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত মৃত্যুদন্ডের রায় বহালের আবেদন করেন। এছাড়া মাওলানা সাঈদীকে ট্রাইব্যুনাল অপর যে ছয়টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে কিন্তু সাজা উল্লেখ করেনি সেগুলোতেও সাজা উল্লেখের দাবি জানান।
আদালতের কার্যক্রম শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল তার অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ট্রাইব্যুনালের রায় অবশ্যই বহাল থাকবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন শেষে ১৯৭২ সালে গঠিত বরিশাল স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বই তলবের আবেদন করেন। তখন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান পিরোজপুর আদালত থেকে ১৯৭২ সালে দায়ের করা মমতাজ বেগমের মামলার জিআর বই তলবেরও মৌখিক আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতি তাকে লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেন।
অ্যাডভোকেট শাহাজাহন বলেন, আগামী রোববার তিনি আবেদন জমা দেবেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তার লিখিত জবাব আজ আদালতে জমা দিয়েছে আসামী পক্ষ। এর মধ্যে অপহরনের শিকার বিশাবালীর ভাই সুখরঞ্জন বালী এবং তার স্ত্রীর সাক্ষাতকারের স্ক্রিপ্টও রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন। গতকাল শুনানীর শুরুতে আদালত আসামী পক্ষের দাখিল করা মমতাজ বেগমের মামলার মূল সার্টিফাইড কপি দেখেন। এসময় এ কপি বিষয়ে আদালত বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন।
কপিটি হাতে পাওয়ার পর প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি বলছিলেন ফটোকপির ওপর প্রদর্শনী মার্ক করা হয়েছে? এরপর তিনি নথিটি নেড়েচেড়ে দেখে বলেন, আপনার সাবমিশন সঠিক। ফটোকপির ওপর প্রদর্শনী মার্ক করা হয়েছে। ফটোকপির সাথে সার্টিফাইড কপি স্টাপলার মারা। ফটোকপির মধ্যে সার্টিফাইড কপি। সার্টিফাইড কপি এখানে আসল কি করে তাহলে?
এপর্যায়ে একজন বিচারপতি আসামী পক্ষের উদ্দেশে বলেন, এ নথি প্রদর্শন করার সময় সাক্ষী কি বলেছিল পড়ে শোনান। অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ১১ তম সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দী পড়ে শুনিয়ে বলেন, মমতাজ বেগমের মামলার জাবেদা নকল ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হল। এই সেই মূল সার্টিফাইড কপি যা প্রদর্শনী ‘এ’ হিসেবে চিহ্নিত হল।
তখন ওই বিচারপতি বলেন, সাক্ষীতো বলেছে মূল সার্টিফাইড কপি দাখিল করা হয়েছে এবং প্রদর্শনী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ভুল করেছে। ট্রাইব্যুনাল ফটোকপির ওপর প্রদর্শনী মার্ক করেছে। ট্রাইব্যুনাল পরে প্রদর্শনী মার্ক করলে সেজন্য সাক্ষী দায়ী হবেনা।
প্রধান বিচারপতি তখন প্রশ্ন করেন ট্রাইব্যুনালে ডকুমেন্ট প্রদর্শনের নিয়ম কি। তখন আসামী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন বলেন, আমরা সরাসরি হাতে হাতে ট্রাইব্যুনালের কাছে কপিটি দিয়েছি এবং তা সাফাই সাক্ষীর মাধ্যমে প্রদর্শনের পর প্রদর্শনী হিসেবে চিহ্নিত হয়। তিনি বলেন, অনেক অনেক ডকুমেন্টের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করে বলা হয়েছে এই হল এর ফটোকপি। পরে মূল কপির সাথে ফটোকপির মিল প্রমান সাপেক্ষে ফটোকপির ওপর প্রদর্শনী মার্ক করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আইনে ফটোকপি গ্রহনের নিয়ম আছে।
আসামি পক্ষের দায়ের করা মমতাজ বেগমের মামলার নথি বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আসামি পক্ষ দাবি করেছে এ মামলার চার্জশিট হয়েছিল। চার্জশিট যদি হয় তাহলে এফআইআর আর নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়না। তারা বলেছে চার্জশিট হয়েছিল । তাহলে তারা চার্জশিট আনতে পারলনা কেন? তিনি বলেন, অনেক সময় এফআইআরে মূল আসামীর নাম নাও থাকতে পারে। পরে চার্জশিটে মূল আসামির নাম যোগ হতে পারে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রথমে মূল আসামীদের নাম ছিলনা। পরে মূল আসামীর নাম যোগ হয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
এসময় একজন বিচারপতি বলেন, চাজশিটে আসামীর নাম পরিবর্তন হলেও ঘটনাস্থল এবং ঘটনার তারিখ তো পরিবর্তন হবেনা (মমতাজ বেগমের মামলায় এবং আসামী পক্ষের অভিযোগে ঘটনাস্থল এবং ঘটনার তারিখ সম্পূর্ণ ভিন্ন হিসেবে উল্লেখ আছে।)
মমতাজ বেগমের মামলার নথিকে জাল আখ্যায়িত করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ নথি তো বিবেচনায়ই আনা যেতে পারেনা।
একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন নথিটিতে সব পাতায় সিল আছে কি-না। তখন পরীক্ষা করে দেখা যায় কপিটির শেষের পাতায় সিল আছে। মাঝখানের পাতায় কর্তৃপক্ষের সিল নেই। আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহজাহান তখন এভিডেন্স অ্যাক্ট পড়ে শুনিয়ে আদালতে বলেন, শেষ শুধু শেষ পৃষ্ঠায় সিল থাকারও নিয়ম আছে। তিনি এসময় চলতি বছর ইস্যু করা একটি সার্টিফাইড কপি আদালতে দেখিয়ে বলেন, এ কপিটিতে শুধু শেষের পাতায় কর্তৃপক্ষের সিল আছে। সব পাতায় নেই। আদালত তখন মন্তব্য করেন মাঝখানে যাতে নতুন পাতা কেউ যোগ করতে না পারে সেজন্য সব পাতায় সিল মারার নিয়ম করার হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন