বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত যাবজ্জীবন কারাদান্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানী অব্যাহত রয়েছে। আজ আসামী পক্ষের শুনানীর জবাব দিচ্ছিলেন রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা বা এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। জবাব প্রদানের সময় একের পর এক নানামুখী প্রশ্নের মুখোমুখি হন এটর্নি জেনারেল। প্রশ্নের জবাব প্রদানে এটর্নি জেনারেলকে সহায়তা না করায় কোর্টে উপস্থিত অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল, ডেপুটি এটর্নি জেনারেলদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রায়ের বিভিন্ন অসঙ্গতি, দুর্বল দিক তুলে ধরে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেন আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। এটর্নি জেনারেল এর কাছে এসব অভিযোগের জবাব দাবি করেন কোর্ট। এটর্নি জেনারেল কোর্টের বিভিন্ন প্রশ্নের এবং আসামী পক্ষের অভিযোগের জবাব প্রদানের সময় রায়ের কপি, ফরমাল চার্জসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট থেকে পাতা উল্টিয়ে রেফারেন্স দেয়ার চেষ্টা করেন। প্রথম বেঞ্চে তখন তিনজন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এবং আরো কয়েকজন ডেপুটি এটর্নি জেনারেলসহ এটর্নি জেনারেল অফিসের ছয় থেকে সাতজন আইন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারা এটর্নি জেনারেলকে প্রশ্নের জবাব প্রদানে কোন সহায়তা করছিলেননা। তখন প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ অন্যান্য বিচারপতিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাদের প্রতি। প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ওনারাতো সব জেনারেল। ওনারা কি সহায়তা করবেন। এটর্নি জেনারেলকে সহায়তা করতে হলে বিগ্রেডিয়ার, কর্নেল, লে, লে কর্নেল এবং ক্যাপ্নে লাগবে। তিনি এটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জবাব দিতে এত সময় লাগলে তো চলবেনা। কেউ তো আপনাকে কোন রেফারেন্স দিয়ে হেল্প করেনা। আপনাকে আমরা এত সময় দেব কেন? তিনি অন্যন্যা সরকারি আইন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন শুধু ম্যাটেরিয়াল এক্সিবিট হয়ে লাভ নেই।
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, আপনার টিম এসব কালেক্ট না করে আসলে কেমনে হবে?
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া বলেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব যখন সাবমিশন রাখেন তখন তার জুনিয়ররা তার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে একের পর পাতা উল্টায় বিভিন্ন ডকুমেন্ট থেকে। তাকে রেফারেন্স দিয়ে সহায়তা করেন। ভুল হলে কানে কানে আবার বলে দেয়। আপনারা এরকম পারেননা?
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আসামী পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের সময় এর আগে বলেছেন, এইডিং, এ্যাবেটিং এবং কমপ্লিসিটি বিষয়ে কাউকে সাজা দিতে হলে রাষ্ট্রপক্ষকে প্রমান করতে হবে যে, অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে আসামী আব্দুল কাদের মোল্লার সারকমসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন বা যথার্থ অবদান ছিল। তিনি বলেন, অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে আব্দুল কাদের মোল্লার সহযোগিতা এবং সংশ্লিষ্টতা ছিল এটি রাষ্ট্রপক্ষ পক্ষ প্রমান করতে পারেনি। অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে সাবসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন না থাকলে এইডিং, এ্যাবেটিং এবং কমপ্লিসিট এর অভিযোগে সাজা দেয়া যায়না।
এইডিং, এ্যাবেটিং, কমপ্লিসিটি এবং সারকমসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন কি সে বিষয়ে রেফারেন্স হিসেবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক রুয়ান্ডার লরেন স্যামেঞ্জার মামলার রেফারেন্স দিয়েছিলেন।
আজ যুক্তি পেশের সময় এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম লরেন স্যামেঞ্জা মামলার বেশ বড় একটি ডকুমেন্ট বঁধাই করে বিচারপতিদের সরবরাহ করেন।
এরপর বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া এটর্নি জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, এটি আপনি কেন দিলেন সে বিষয়ে তো কিছু বললেননা। এটি দিয়ে আপনি কি বোঝাতে চান? এটা কেন দিলেন আমরাতো তা কিছু বুঝলামনা। ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব এ বিষয়ে কি সাবমিশন রেখেছিলেন এবং কি বলতে চেয়েছিলেন?
তখন এটর্নি জেনারেল বলেন, ওনারা যে কি বোঝাতে চেয়েছিলেন তা আমিও বুঝিনি। তখন বিচারপতি এবং কোর্টে উপস্থিত অনেকের মাঝে হাসির সৃষ্টি হয়।
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া বলেন, আপনি আপনাকে হেল্প করছি মি. এটর্নি জেনারেল। ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব বলতে চেয়েছিলেন, অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে আব্দুল কাদের মোল্লার সাবসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন ছিলনা। সাবসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন না থাকলে কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়া যাবেনা এই ছিল তার সাবমিশন। এখন আপনি এর জবাব দেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আসামী পক্ষে যুক্তি পেশের সময় রাষ্ট্রপক্ষের চার নম্বর সাক্ষী কাজী রোজীর সাক্ষ্য বিষয়ে নানা অসঙ্গতি এবং বৈপরীত্য তুলে ধরে বলেছিলেন, তার সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য নয়।
এটর্নি জেনারেল আজ যুক্তি পেশের সময় বলেন, তার সাক্ষ্য অবশ্যই বিশ্বাস যোগ্য। সে একজন ন্যাচারাল সাক্ষী। এসময় বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী প্রশ্ন করেন, আসামী পক্ষ বলেছেন, সাক্ষী শোনা কথা বলেছেন। সাক্ষী কার কাছ থেকে শুনেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। সাক্ষী কার কাছ থেকে শুনেছে সে সোর্স প্রকাশ করতে বাধ্য কিনা?
এটর্নি জেনারেল বলেন, অবশ্যই সাক্ষী সোর্স প্রকাশ করতে বাধ্য নন।
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া বলেন, তাছাড়া আসামী পক্ষের অভিযোগ একটি শোনা কথা আরেকটি শোনা কথাকে সহায়তা করতে পারেনা। কবি মেহেরুন্নিসা ছিলেন অ্যকশন কিমিটির সেক্রেটারি। আর কাজী রোজী ছিলেন সভানেত্রী। তাই কাজী রোজী কবি মেহেরকে নিয়ে যে বই লিখেছেন তাতে তো বিস্তারিতভাবে থাকা দরকার ছিল স্বাভাবিকভাবে। আব্দুল কাদের মোল্লার নাম সেখানে নেই কেন।
এসময় আরো দুয়েকজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন আব্দুল কাদের মোল্লার নাম তার বইয়ে নেই। এটি ছিল আসামী পক্ষের দাবি।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লার নাম বইতে উল্লেখ করলে লেখকের জীবনের হুমকি ছিল।
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এসব বলেননি কেন তিনি?
তখন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কবি মেহেরকে নিয়ে কাজী রোজীর বইটি ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়েছে এবং তখন আব্দুল কাদের মোল্লা জেলে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক যুক্তি পেশের সময় বলেছিলেন আব্দুল কাদের মোল্লা মামলায় চার্জ গঠন এবং বিচার শুরুর পরও তদন্ত পরিচালিত হয়েছে যা আইনবিরোধী। তারা তিনজন সাক্ষী পরবর্তীতে অতিরিক্ত সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে এটর্নি জেনারেল বলেন, আইনের ৯(৪) এবং রুলের ৪৬ (এ) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত তিনজন সাক্ষী অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে আজ আপিল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রায়ের বিভিন্ন অসঙ্গতি, দুর্বল দিক তুলে ধরে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেন আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। এটর্নি জেনারেল এর কাছে এসব অভিযোগের জবাব দাবি করেন কোর্ট। এটর্নি জেনারেল কোর্টের বিভিন্ন প্রশ্নের এবং আসামী পক্ষের অভিযোগের জবাব প্রদানের সময় রায়ের কপি, ফরমাল চার্জসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট থেকে পাতা উল্টিয়ে রেফারেন্স দেয়ার চেষ্টা করেন। প্রথম বেঞ্চে তখন তিনজন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এবং আরো কয়েকজন ডেপুটি এটর্নি জেনারেলসহ এটর্নি জেনারেল অফিসের ছয় থেকে সাতজন আইন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারা এটর্নি জেনারেলকে প্রশ্নের জবাব প্রদানে কোন সহায়তা করছিলেননা। তখন প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ অন্যান্য বিচারপতিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাদের প্রতি। প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ওনারাতো সব জেনারেল। ওনারা কি সহায়তা করবেন। এটর্নি জেনারেলকে সহায়তা করতে হলে বিগ্রেডিয়ার, কর্নেল, লে, লে কর্নেল এবং ক্যাপ্নে লাগবে। তিনি এটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জবাব দিতে এত সময় লাগলে তো চলবেনা। কেউ তো আপনাকে কোন রেফারেন্স দিয়ে হেল্প করেনা। আপনাকে আমরা এত সময় দেব কেন? তিনি অন্যন্যা সরকারি আইন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন শুধু ম্যাটেরিয়াল এক্সিবিট হয়ে লাভ নেই।
বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, আপনার টিম এসব কালেক্ট না করে আসলে কেমনে হবে?
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া বলেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব যখন সাবমিশন রাখেন তখন তার জুনিয়ররা তার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে একের পর পাতা উল্টায় বিভিন্ন ডকুমেন্ট থেকে। তাকে রেফারেন্স দিয়ে সহায়তা করেন। ভুল হলে কানে কানে আবার বলে দেয়। আপনারা এরকম পারেননা?
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আসামী পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের সময় এর আগে বলেছেন, এইডিং, এ্যাবেটিং এবং কমপ্লিসিটি বিষয়ে কাউকে সাজা দিতে হলে রাষ্ট্রপক্ষকে প্রমান করতে হবে যে, অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে আসামী আব্দুল কাদের মোল্লার সারকমসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন বা যথার্থ অবদান ছিল। তিনি বলেন, অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে আব্দুল কাদের মোল্লার সহযোগিতা এবং সংশ্লিষ্টতা ছিল এটি রাষ্ট্রপক্ষ পক্ষ প্রমান করতে পারেনি। অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে সাবসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন না থাকলে এইডিং, এ্যাবেটিং এবং কমপ্লিসিট এর অভিযোগে সাজা দেয়া যায়না।
এইডিং, এ্যাবেটিং, কমপ্লিসিটি এবং সারকমসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন কি সে বিষয়ে রেফারেন্স হিসেবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক রুয়ান্ডার লরেন স্যামেঞ্জার মামলার রেফারেন্স দিয়েছিলেন।
আজ যুক্তি পেশের সময় এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম লরেন স্যামেঞ্জা মামলার বেশ বড় একটি ডকুমেন্ট বঁধাই করে বিচারপতিদের সরবরাহ করেন।
এরপর বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া এটর্নি জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, এটি আপনি কেন দিলেন সে বিষয়ে তো কিছু বললেননা। এটি দিয়ে আপনি কি বোঝাতে চান? এটা কেন দিলেন আমরাতো তা কিছু বুঝলামনা। ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব এ বিষয়ে কি সাবমিশন রেখেছিলেন এবং কি বলতে চেয়েছিলেন?
তখন এটর্নি জেনারেল বলেন, ওনারা যে কি বোঝাতে চেয়েছিলেন তা আমিও বুঝিনি। তখন বিচারপতি এবং কোর্টে উপস্থিত অনেকের মাঝে হাসির সৃষ্টি হয়।
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া বলেন, আপনি আপনাকে হেল্প করছি মি. এটর্নি জেনারেল। ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব বলতে চেয়েছিলেন, অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে আব্দুল কাদের মোল্লার সাবসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন ছিলনা। সাবসটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউশন না থাকলে কাদের মোল্লাকে সাজা দেয়া যাবেনা এই ছিল তার সাবমিশন। এখন আপনি এর জবাব দেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আসামী পক্ষে যুক্তি পেশের সময় রাষ্ট্রপক্ষের চার নম্বর সাক্ষী কাজী রোজীর সাক্ষ্য বিষয়ে নানা অসঙ্গতি এবং বৈপরীত্য তুলে ধরে বলেছিলেন, তার সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য নয়।
এটর্নি জেনারেল আজ যুক্তি পেশের সময় বলেন, তার সাক্ষ্য অবশ্যই বিশ্বাস যোগ্য। সে একজন ন্যাচারাল সাক্ষী। এসময় বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী প্রশ্ন করেন, আসামী পক্ষ বলেছেন, সাক্ষী শোনা কথা বলেছেন। সাক্ষী কার কাছ থেকে শুনেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। সাক্ষী কার কাছ থেকে শুনেছে সে সোর্স প্রকাশ করতে বাধ্য কিনা?
এটর্নি জেনারেল বলেন, অবশ্যই সাক্ষী সোর্স প্রকাশ করতে বাধ্য নন।
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া বলেন, তাছাড়া আসামী পক্ষের অভিযোগ একটি শোনা কথা আরেকটি শোনা কথাকে সহায়তা করতে পারেনা। কবি মেহেরুন্নিসা ছিলেন অ্যকশন কিমিটির সেক্রেটারি। আর কাজী রোজী ছিলেন সভানেত্রী। তাই কাজী রোজী কবি মেহেরকে নিয়ে যে বই লিখেছেন তাতে তো বিস্তারিতভাবে থাকা দরকার ছিল স্বাভাবিকভাবে। আব্দুল কাদের মোল্লার নাম সেখানে নেই কেন।
এসময় আরো দুয়েকজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন আব্দুল কাদের মোল্লার নাম তার বইয়ে নেই। এটি ছিল আসামী পক্ষের দাবি।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আব্দুল কাদের মোল্লার নাম বইতে উল্লেখ করলে লেখকের জীবনের হুমকি ছিল।
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এসব বলেননি কেন তিনি?
তখন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কবি মেহেরকে নিয়ে কাজী রোজীর বইটি ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়েছে এবং তখন আব্দুল কাদের মোল্লা জেলে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক যুক্তি পেশের সময় বলেছিলেন আব্দুল কাদের মোল্লা মামলায় চার্জ গঠন এবং বিচার শুরুর পরও তদন্ত পরিচালিত হয়েছে যা আইনবিরোধী। তারা তিনজন সাক্ষী পরবর্তীতে অতিরিক্ত সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে এটর্নি জেনারেল বলেন, আইনের ৯(৪) এবং রুলের ৪৬ (এ) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত তিনজন সাক্ষী অন্তর্ভুক্ত করেছে।
প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে আজ আপিল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন