মেহেদী হাসান, ৫/৩/২০১৪
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন। এরপর আট নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরুর পর শুনানী আগামীকাল বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাত নং অভিযোগ হল নুরুল ইসলাম খানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটাপট এবং নুরুল ইসলাম খানের ওপর নির্যাতন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দী এবং জেরা থেকে পড়ে শোনান। এরপর তিনি সাত নং অভিযোগ বিষয়ে আসামী পক্ষের উপস্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেন।
প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন।
শুনানীর শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত নং অভিযোগের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের এক নং সাক্ষী মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারের জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনান। সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার তার জবানবন্দীতে বলেছেন, ‘ পাড়েরহাটের লোকেররা লুটপাটের মালামাল, সোনাসহ ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি পাসতহবিল গঠন করে। নগরবাসী সাহা, তারকাচন্দ্র সাহা, বেনীমাধব সাহা প্রানের ভয়ে ভারতে চলে গেলে তাদের ঘরের মালামাল লুটপাট করে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নেতৃত্বে নগরবাসী সাহার ও পাড়েরহাটের লুটের মালামাল নিয়ে গঠিত পাসতহবিলের মালালা নিজেই বেচাকেনা করে। এবং আরো লুটের অর্থ এর সাথে যোগ করে বাড়াতে থাকে। এই টাকা দিয়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী খুলনা, ঢাকায় অট্টালিকা ও বহু সম্পদ গড়ে তোলে।’
এরপর তিনি রাষ্ট্রপক্ষের চার নং সাক্ষী সুলতান আহমেদ হাওলাদারের জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনান্ সুতলান আহমেদ হাওলাদার বলেছেন, ‘পরে জানতে পারি এবং গিয়ে দেখি খেয়াঘাটে অবস্থিত নগরবাসী সাহার ঘর দখল করে লুটের মালামাল এর সাহায্যে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে যার পরিচালক ছিলেন দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমানে সাঈদী।........নুরু খা’র বাড়িতে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে।
রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টম সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদার সাত নং অভিযোগ বিষয়ে বলেন, ‘এরপর ১৫/১৬ জন আর্মি এবং ৩০/৩৫ জন রাজাকার বাহিনীর লোকেরা বাদুরা গ্রামে যায়। সেখানে নুরু খার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নুরু খার ঘর দেখিয়ে দেয় দেলোয়ার শিকদার। দেলোয়ার শিকদার গত ১৫ বছর থেকে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী হয়েছে। আমরা খালের ওপারে বসে ধোয়া এবং আগুন দেখতে পাই নুরু খার ঘরের। আগুন আর ধোয়া দেখার পর দেখি লুটপাট করে লোকজন রইজুদ্দীন কোম্পানীর বাড়ির দিকে যাচ্ছে। সেখানে তারা ২ টি ঘরে লুটপাট করে আগুন দেয়। সইজুদ্দীন পসারীর বাড়িতে ৫টি ঘরে লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
নবম সাক্ষী আলতাফ হাওলাদার বলেছেন. পাড়েরহাট ও আশপাশের এলাকায় যেসব ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ লুটপাট ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তা সবই সাঈদীর নেতৃত্বে হয়েছে।
১২ তম সাক্ষী একেএমএ আউয়াল বলেছেন, ‘পাড়েরহাট এলাকা হিন্দু অধ্যূসিত এলাকা হওয়ায় ও ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগের সমর্থকের সংখ্যাধিক্য থাকায় ঐ এলাকায় লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। যুদ্ধকালীন সময় আমার নিজ ইউনিয়ন শংকরপাশার বাদুরা, চিথলিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম, রইজ্দ্দুীন পসারী, সইজুদ্দিন পসারী, মানিক পসারীসহ হিন্দু পাড়া একদিনে একটানা পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও রাজাকাররা পুড়িয়ে দিয়েছিল । ঐ পোড়া বাড়িঘর আমি স্বাধীনতার পরে এসে দেখেছি। দানেশ মোল্লা, সেকান্দার শিকদার, শুনেছি সাঈদী সাহেবও তাদের সাথে ছিলেন ।’
এ পর্যন্ত পড়ে শোনানোর পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত নং অভিযোগের পক্ষে ১৯ (২) ধারায় গৃহীত তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনান। ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়া এসব সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্র্তার কাছে যে জবানবন্দী প্রদান করে তা সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল।
সাত নং অভিযোগ বিষয়ে যে তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনান এরা হল নুরুল ইসলাম খানের ছেলে সেলিম খান, আব্দুল লতিফ হাওলাদার এবং আইউব আল হাওলাদার।
এ তিন সাক্ষীসহ আরো যেসব অনুপস্থিত সাক্ষীদের জবানবন্দী ১৯(২) ধারায় ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাদের বিষয়ে আসামী পক্ষের অভিযোগ ছিল এদের অনেককে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ঢাকায় এনে সেফ হাউজে রাখে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু এরা রাষ্ট্রপক্ষের কথামত শেখানো সাক্ষ্য দিতে রাজী না হওয়ায় তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়নি। এছাড়া অনেকে এলাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করলেও তাদেরকে আসামী পক্ষের সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিঁেখাজ ও এলাকাছাড়া বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সাক্ষীদের ঢাকায় সেফ হাউজে এনে রাখা বিষয়ে দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে আসামী পক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের এ অভিযোগ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সেফ হাউজ বলতে কিছু নেই। আছে উইটনেস হাউজ। তখন একজন বিচারপতি বলেন, কথা একই। সেফ হাউজ আর উইটনেস হাউজ একই জিনিস।
সাত নং অভিযোগ বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর পক্ষের দুইজন সাক্ষীর জবানবন্দী পড়ে শুনিয়ে বলেন, তারাও ঘটনা স্বীকার করেছে। তবে তারা বলেছে মাওলানা সাঈদী ছিলেননা।
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল আট নং অভিযোগ ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার অভিযোগ বিষয়ে যুক্তিপেশ শুরু করেন। তখন শুনানী আগামীকাল বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন। এরপর আট নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শুরুর পর শুনানী আগামীকাল বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাত নং অভিযোগ হল নুরুল ইসলাম খানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটাপট এবং নুরুল ইসলাম খানের ওপর নির্যাতন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত নং অভিযোগ বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দী এবং জেরা থেকে পড়ে শোনান। এরপর তিনি সাত নং অভিযোগ বিষয়ে আসামী পক্ষের উপস্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দেন।
প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন।
শুনানীর শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত নং অভিযোগের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের এক নং সাক্ষী মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারের জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনান। সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার তার জবানবন্দীতে বলেছেন, ‘ পাড়েরহাটের লোকেররা লুটপাটের মালামাল, সোনাসহ ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি পাসতহবিল গঠন করে। নগরবাসী সাহা, তারকাচন্দ্র সাহা, বেনীমাধব সাহা প্রানের ভয়ে ভারতে চলে গেলে তাদের ঘরের মালামাল লুটপাট করে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নেতৃত্বে নগরবাসী সাহার ও পাড়েরহাটের লুটের মালামাল নিয়ে গঠিত পাসতহবিলের মালালা নিজেই বেচাকেনা করে। এবং আরো লুটের অর্থ এর সাথে যোগ করে বাড়াতে থাকে। এই টাকা দিয়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী খুলনা, ঢাকায় অট্টালিকা ও বহু সম্পদ গড়ে তোলে।’
এরপর তিনি রাষ্ট্রপক্ষের চার নং সাক্ষী সুলতান আহমেদ হাওলাদারের জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনান্ সুতলান আহমেদ হাওলাদার বলেছেন, ‘পরে জানতে পারি এবং গিয়ে দেখি খেয়াঘাটে অবস্থিত নগরবাসী সাহার ঘর দখল করে লুটের মালামাল এর সাহায্যে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে যার পরিচালক ছিলেন দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমানে সাঈদী।........নুরু খা’র বাড়িতে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে।
রাষ্ট্রপক্ষের অষ্টম সাক্ষী মোস্তফা হাওলাদার সাত নং অভিযোগ বিষয়ে বলেন, ‘এরপর ১৫/১৬ জন আর্মি এবং ৩০/৩৫ জন রাজাকার বাহিনীর লোকেরা বাদুরা গ্রামে যায়। সেখানে নুরু খার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নুরু খার ঘর দেখিয়ে দেয় দেলোয়ার শিকদার। দেলোয়ার শিকদার গত ১৫ বছর থেকে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী হয়েছে। আমরা খালের ওপারে বসে ধোয়া এবং আগুন দেখতে পাই নুরু খার ঘরের। আগুন আর ধোয়া দেখার পর দেখি লুটপাট করে লোকজন রইজুদ্দীন কোম্পানীর বাড়ির দিকে যাচ্ছে। সেখানে তারা ২ টি ঘরে লুটপাট করে আগুন দেয়। সইজুদ্দীন পসারীর বাড়িতে ৫টি ঘরে লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
নবম সাক্ষী আলতাফ হাওলাদার বলেছেন. পাড়েরহাট ও আশপাশের এলাকায় যেসব ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ লুটপাট ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তা সবই সাঈদীর নেতৃত্বে হয়েছে।
১২ তম সাক্ষী একেএমএ আউয়াল বলেছেন, ‘পাড়েরহাট এলাকা হিন্দু অধ্যূসিত এলাকা হওয়ায় ও ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগের সমর্থকের সংখ্যাধিক্য থাকায় ঐ এলাকায় লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। যুদ্ধকালীন সময় আমার নিজ ইউনিয়ন শংকরপাশার বাদুরা, চিথলিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম, রইজ্দ্দুীন পসারী, সইজুদ্দিন পসারী, মানিক পসারীসহ হিন্দু পাড়া একদিনে একটানা পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও রাজাকাররা পুড়িয়ে দিয়েছিল । ঐ পোড়া বাড়িঘর আমি স্বাধীনতার পরে এসে দেখেছি। দানেশ মোল্লা, সেকান্দার শিকদার, শুনেছি সাঈদী সাহেবও তাদের সাথে ছিলেন ।’
এ পর্যন্ত পড়ে শোনানোর পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত নং অভিযোগের পক্ষে ১৯ (২) ধারায় গৃহীত তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনান। ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়া এসব সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্র্তার কাছে যে জবানবন্দী প্রদান করে তা সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল।
সাত নং অভিযোগ বিষয়ে যে তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দী থেকে পড়ে শোনান এরা হল নুরুল ইসলাম খানের ছেলে সেলিম খান, আব্দুল লতিফ হাওলাদার এবং আইউব আল হাওলাদার।
এ তিন সাক্ষীসহ আরো যেসব অনুপস্থিত সাক্ষীদের জবানবন্দী ১৯(২) ধারায় ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে তাদের বিষয়ে আসামী পক্ষের অভিযোগ ছিল এদের অনেককে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ঢাকায় এনে সেফ হাউজে রাখে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু এরা রাষ্ট্রপক্ষের কথামত শেখানো সাক্ষ্য দিতে রাজী না হওয়ায় তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়নি। এছাড়া অনেকে এলাকায় স্বাভাবিক জীবন যাপন করলেও তাদেরকে আসামী পক্ষের সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিঁেখাজ ও এলাকাছাড়া বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সাক্ষীদের ঢাকায় সেফ হাউজে এনে রাখা বিষয়ে দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে আসামী পক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের এ অভিযোগ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সেফ হাউজ বলতে কিছু নেই। আছে উইটনেস হাউজ। তখন একজন বিচারপতি বলেন, কথা একই। সেফ হাউজ আর উইটনেস হাউজ একই জিনিস।
সাত নং অভিযোগ বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর পক্ষের দুইজন সাক্ষীর জবানবন্দী পড়ে শুনিয়ে বলেন, তারাও ঘটনা স্বীকার করেছে। তবে তারা বলেছে মাওলানা সাঈদী ছিলেননা।
এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল আট নং অভিযোগ ইব্রাহীম কুট্টি হত্যার অভিযোগ বিষয়ে যুক্তিপেশ শুরু করেন। তখন শুনানী আগামীকাল বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন