মেহেদী হাসান, ২৭/৩/২০১৪
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের কার্যালয়)। আজ দুপুরে পর চিফ প্রসিকিউটর বা রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপুর কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যান্য আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদনে দলটিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানানো হয়েছে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে। জামায়াতের নাম পরিবর্তন করে বা ভিন্ন নামেও যাতে কেউ এদেশে জামায়াতের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে না পারে সে দাবিও জানানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্তকরন এবং তা দাখিল উপলক্ষে গত মঙ্গলবার তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিসহ অন্যান্য বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হয় তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে। সেদিনই প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশনে দাখিল করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাংবাদিকদের বলেন, এটি এখন যাচাই বাছাই করে অভিযোগ গঠনের জন্য ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হবে।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকা এবং নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যক্রম, পরিচালনার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী ও দলটির তৎকালীন সংশ্লিষ্ট অঙ্গসঙ্গঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। তাই ট্রাইব্যুনালের আইনের ধারা মোতাবেক জামায়াতে ইসলামী ও দলটির সেই সময়কার অঙ্গসংগঠনের বিচারের আবেদন করা হয়েছে তদন্ত সংস্থা কর্তৃক।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার কারনে জামায়াতে ইসলামী ও এর সকল স্তরের নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে জামায়াতে ইসলামী এবং সেসময় তাদের অঙ্গসঙ্গঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তদন্ত সংস্থা কর্তৃক। ব্যক্তির পাশাপাশি দলের বিচারের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের আগস্ট মাস হতে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
জামায়াতের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের আইনের ধারায় বর্নিত সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার কারনে অভিযুক্ত সংগঠন ‘জামায়াতে ইসলামী’ ও তার ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, ও আল শামস বাহিনী এবং জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রাম ট্রাইব্যুনালের আইনে বর্ণিত মানবতাবিরোধী, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক আইনে বর্নিত অন্যান্য অপরাধ, অপরাধ সংগঠনে সহায়তা, ষড়যন্ত্র এবং অপরাধ প্রতিরোধে ব্যর্থতা প্রভৃতি অপরাধ করেছে ট্রাইব্যুনাল আইনের ৪ (১) ও ৪ (২) ধারা অনুযায়ী। অভিযুক্ত সংগঠনসমূহের নীতি, নীতি নির্ধারক, সংগঠক, পরিচালক এবং সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী সকলেই উপরোক্ত অপরাধসংগঘটনের জন্য দায়ী। তাই অভিযুক্ত সংগঠন ‘জামায়াতে ইসলামী এবং তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদরম আলশামস বাহিনী এবং দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা ট্রাইব্যুনাল আইনের বর্ণিত ধারায় অপরাধ সংঘটন করায় অপরাধী সংগঠন হিসেবে ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য অত্র প্রতিবেদন দাখিল করলাম।’
জামায়াতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মূল তদন্ত প্রতিবেদনটি ৩৭৩ পৃষ্ঠার। জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমানপত্র সাতটি খন্ডে মোট দুই হাজার ৩০৩ পৃষ্ঠা। অন্যান্য নথিপত্র, ডকুমেন্ট ১০ খন্ডে তিন হাজার ৭৬১ পৃষ্ঠা। বই পুস্তক রয়েছে দুই শতাধিক। জামায়াতের অনেক নিজস্ব প্রকশানা সংগ্রহ করে ডকুমেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাক্ষীর সংখ্যা ৭০ জন।
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের কার্যালয়)। আজ দুপুরে পর চিফ প্রসিকিউটর বা রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী গোলাম আরিফ টিপুর কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যান্য আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদনে দলটিকে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানানো হয়েছে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে। জামায়াতের নাম পরিবর্তন করে বা ভিন্ন নামেও যাতে কেউ এদেশে জামায়াতের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে না পারে সে দাবিও জানানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্তকরন এবং তা দাখিল উপলক্ষে গত মঙ্গলবার তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিসহ অন্যান্য বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হয় তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে। সেদিনই প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশনে দাখিল করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাংবাদিকদের বলেন, এটি এখন যাচাই বাছাই করে অভিযোগ গঠনের জন্য ট্রাইব্যুনালে পেশ করা হবে।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকা এবং নানাবিধ অপরাধমূলক কার্যক্রম, পরিচালনার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামী ও দলটির তৎকালীন সংশ্লিষ্ট অঙ্গসঙ্গঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। তাই ট্রাইব্যুনালের আইনের ধারা মোতাবেক জামায়াতে ইসলামী ও দলটির সেই সময়কার অঙ্গসংগঠনের বিচারের আবেদন করা হয়েছে তদন্ত সংস্থা কর্তৃক।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার কারনে জামায়াতে ইসলামী ও এর সকল স্তরের নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে জামায়াতে ইসলামী এবং সেসময় তাদের অঙ্গসঙ্গঠনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে তদন্ত সংস্থা কর্তৃক। ব্যক্তির পাশাপাশি দলের বিচারের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের আগস্ট মাস হতে জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
জামায়াতের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের আইনের ধারায় বর্নিত সাত ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার কারনে অভিযুক্ত সংগঠন ‘জামায়াতে ইসলামী’ ও তার ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, ও আল শামস বাহিনী এবং জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রাম ট্রাইব্যুনালের আইনে বর্ণিত মানবতাবিরোধী, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক আইনে বর্নিত অন্যান্য অপরাধ, অপরাধ সংগঠনে সহায়তা, ষড়যন্ত্র এবং অপরাধ প্রতিরোধে ব্যর্থতা প্রভৃতি অপরাধ করেছে ট্রাইব্যুনাল আইনের ৪ (১) ও ৪ (২) ধারা অনুযায়ী। অভিযুক্ত সংগঠনসমূহের নীতি, নীতি নির্ধারক, সংগঠক, পরিচালক এবং সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী সকলেই উপরোক্ত অপরাধসংগঘটনের জন্য দায়ী। তাই অভিযুক্ত সংগঠন ‘জামায়াতে ইসলামী এবং তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদরম আলশামস বাহিনী এবং দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা ট্রাইব্যুনাল আইনের বর্ণিত ধারায় অপরাধ সংঘটন করায় অপরাধী সংগঠন হিসেবে ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য অত্র প্রতিবেদন দাখিল করলাম।’
জামায়াতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মূল তদন্ত প্রতিবেদনটি ৩৭৩ পৃষ্ঠার। জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমানপত্র সাতটি খন্ডে মোট দুই হাজার ৩০৩ পৃষ্ঠা। অন্যান্য নথিপত্র, ডকুমেন্ট ১০ খন্ডে তিন হাজার ৭৬১ পৃষ্ঠা। বই পুস্তক রয়েছে দুই শতাধিক। জামায়াতের অনেক নিজস্ব প্রকশানা সংগ্রহ করে ডকুমেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাক্ষীর সংখ্যা ৭০ জন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন