Pages

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৩

জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে থাকলে তাদের বিচার করা হতনা

মেহেদী হাসান, ২৫/৩/১২
অধ্যাক গোলাম আযমের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জামায়াতে ইসলাম যদি আজ  আওয়ামী লীগের সাথে জোটে থাকত তাহলে তাদের   বিচারের সম্মুখীন করা হতনা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তাদেরকে শায়েস্তা করে  চিরতরে নির্মুল করার জন্য  ৪০ বছর  পর  মিথ্যা অভিযোগে আজ বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে।

অধ্যাপক গোলাম আযমকে মামলা থেকে অব্যাহতি এবং তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের বিরোধীতা বিষয়ে  যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি আজ একথা বলেন। দিনব্যাপী যুক্তি উপস্থাপন করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনালে  বলেন,  অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন যেসব অভিযোগ এনেছেন তার  পক্ষে কোন দালিলিক প্রমান নেই।  শুধুমাত্র পেপারকাটিংয়ের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ আনা হয়েছে।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক  আদালতে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে বলেন,  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের অনেক উচ্চ পর্যায়ের নেতা অধ্যাপক গোলাম আযমসহ জামায়াতের সাথে অসংখ্য বৈঠক করেছেন। একসাথে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করেছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। ১৯৯১ সালে জামায়াত  আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিএনপিকে সমর্থন দেয়ায় তারা সরকার গঠছন করে। আবার জোটগত নির্বাচনের কারনে  ২০০১ সালে বিএনপি বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে।  তাই ক্ষমতার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী জামায়াতকে  নানা কৌশুলেও দুর্বল করতে না পেরে আজ তারা যুদ্ধাপরাধের কালিমা লেপনের নাটক মঞ্চস্থ  করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে  ব্যারিস্টার রাজ্জাক
 বলেন,     বর্তমান সরকারী দল ১৯৭২-৭৫, ১৯৯৬-২০০১ সময়ে ও সরকার পরিচালনা করেছিল। কোন      
সময়ে অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। ১ আগষ্ট, ২০১০ তারিখেই প্রথম
আর্ন্তজাতিক অপরাধ তদন্তকারী সং¯হা তাঁর বিরুদ্ধে কথিত তদন্ত শুরু করে। যার ফলে ৪ জানুয়ারী,
২০১২ ইং তারিখে কথিত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। ৪০ বছরের ও বেশী সময় পরে
একটি ফৌজদারী অভিযোগের সূচনা নজির বিহীন। এবং এটিই চূড়ান্তভাবে প্রমান করে যে এ বিচার
মূলত একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের যে আইনের মাধ্যমে আজ জামায়াতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে সে আইনটি করা হয়েছিল শুধুমাত্র ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের জন্য। বাংলাদেশীদের ঐ আইনের অধীনে বিচারের কোন উদ্দেশ্যই ছিলনা। এমনকি আইনটি পাশের জন্য সংসদে যখন বিল  আনা হয় তখন সেখানে ‘ইকুডিং এনি পারসন’ বলে যে  শষব্দগুলো  ছিল সেগুলো বাদ   দিয়ে বিল পাশ করা হয়।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতেই ঐ শব্দগুলো বাদ দেয়া হয়। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন  বাংলাদেশীদের যাতে এই আইনের মাধ্যমে কোন অবস্থাতেই বিচার করা না হয় সেজন্য  বিল থেকে এসব  শব্দ বাদ দেয়া হয়।  আইনটি পাশের উদ্দেশ্য


যে শুধুমাত্র ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা ছিল সে বিষয়ে আইন পাশের সময় সংসদে তৎকালীন  আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জনধরসহ অন্যান্যদের বক্তব্য তুলে ধরেন আদালতে।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের আইনে বিচার করা অসম্ভব হওয়ায়  সরকার  ২০০৯ সালে তাতে কিছু সংশোধনী এনেছে। গোলাম আযমসহ অন্যান্য জামায়াত নেতাতের বিচারের উদ্দেশ্যেই ২০০৯ সালে  আইনটি সংশোধন করে ইন্ডিভিজুয়াল এবং গ্রুপ অব ইন্ডিভিজুয়ালস শব্দ যোগ করা হয়।
২০০৯ সালে মতায় এসেই তারা জামায়াতকে ধ্বংসের এজেন্ডা হাতে নেয়। বহু এজেন্ডার অন্যতম হল - এ ট্রাইবুনাল, জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিচার একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা, এটি প্রহসন, এর পুরো উদ্দেশ্যই রহস্যময়।   ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর জন্য প্রণীত আইন বেসামরিক রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবহার বে-আইনী।

    ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একথা ইতিহাসিকভাবে সত্য যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন, ১৯৭৩ প্রণীত হয়েছিল ১৯৫ জন তালিকাভুক্ত, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। ১৯৭৪ সালের ফেব্র“য়ারীতে ভারত-পাকিস—ান- বাংলাদেশ এর মধ্যে স¤পাদিত একটি ত্রিপীয় চুক্তি স¤পাদনের মাধ্যমে ঐ ১৯৫ জন চিহ্নিত তালিকাভূক্ত যুদ্ধাপরাধীকে মা করা হয় এবং তাদের পাকিস—ানের কাছে হস—ান্তর করা হয়।
    ২০০৯ সালে সেই সমাপ্ত অধ্যায়ের পাতা আবারো উল্টানো শুরু হল স¤পূর্ন রাজনৈতিক মতলবে। বিরোধী পকে চিরতরে নির্মূলের উদ্দেশ্যে একটি আইনকে, বিচার প্রক্রিয়াকে, সর্বোপরি রাষ্ট্রয¤ত্রকে ব্যবহারের সব আয়োজন স¤পন্ন হল। আইনে কতিপয় সংশোধনী এনে মূল আইন প্রণয়ন কারীদের উদ্দেশ্যের বাইরে গিয়ে বেসামরিক - রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানির জন্য এবং কেবলমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করা হল। যেখানে মূল অপরাধীদের মা প্রদর্শন করা হয়েছে। সেখানে নতুন সংজ্ঞা রচনা করে কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করা চরম বে-আইনী, অসাংবিধানিক।

    ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ, তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু, অভিযুক্তের গ্রেফতার ইত্যাদি বিষয়ে ও বক্তব্য উপ¯হাপন করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমা বলয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হয় আগষ্ট ১৯৪৫ এ। আধুনিক ইতিহাসের প্রথম যুদ্ধাপরাধ ট্রইবুনাল- নুরেমবার্গ এর যাত্রা শুরু হয় ২০ নভেম¦র ১৯৪৫ ইং তারিখে এবং এর সমাপ্তি হয় ১ অক্টোবর, ১৯৪৬ ইং তারিখে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের তালিকা তৈরী করা হয় যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে। অপরাধের ধরন-প্রকৃতি ইত্যাদি বিবরন ও যুদ্ধ চালাকালীন সময়ে প্রস্তুত করা হয়। এবং বিচারও শুরু করা হয় দ্রুত। টোকিও, যুগোশ্লাভিয়া, রুয়ান্ডা- সর্বত্র এ ধারা ল্য করা যায়। আর আমাদের আর্ন্তজাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল), ঢাকা প্রতিষ্ঠা লাভ করল ঘটনার ৪০ বৎসর পরে। তাও মূল আভিযুক্তদের মা করে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার পর।
      রাজনৈতিক কারনেই শুধু এ দীর্ঘ বিলমে¦র পর অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দাঁড়   
             করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অধ্যাপক আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নামায় এমন কিছু নেই যাতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি উক্ত আইনের অধীনে কোন অপরাধ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কোন প্রাইমা-ফেসি কেইস প্রসিকিউশন দাঁড় করাতে পারনি। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্পষ্ট। অপরাধের ধরনের কোন বিস—ারিত বর্ননা নেই। তাই ১৯৭৩ সালের আইনের ১৬ ধারার বিধানের লংঘন বলে এ অভিযোগ আইনতঃ অচল। দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক আইনে প্রচলিত অভিযোগ সংক্রান্ত আইনে ও অধ্যাপক আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহের একটি ও রনীয় নয়। পুরো অভিযোগ নামাই ক্রটিপূর্ণ, অস্পষ্ট, ভ্রমাÍক ও বে-আইনী।

    ব্যারিষ্টার রাজ্জাক বলেন, প্রসিকিউটর আনুষ্ঠানিক চার্জ এর ১০ নং অনুচেছদ-এ পাকিস—ানী সেনা বাহিনীর সদস্যদের কৃত অপরাধ গুলো জামায়াত, ইসলামী ছাত্র সংঘ, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল-বদর, আল্-সামস ও আল্ মুজাহিদ এর সহায়তায় করা হয়েছে বলে ১৯(৩) ধারার বিধান বলে সেসব- বিচারিক নোটিশে (লঁফরপরধষ হড়ঃরপব) নেযার প্রার্থনা করেছে। ব্যারিষ্টার রাজ্জাক বলেন একটি ঘটনাকে আর্ন্তজাতিক অপরাধ আইনে ‘কমন কলেজ’ হিসেবে ‘জুডিশিয়াল নোটিশে’ নিতে হলে ঐ ঘটনা ‘প্রতিষ্ঠিত’ বা ‘সাংঘাতিক ভাবে গর্হিত’ হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে। প্রসিকিউশন এ আবেদন করেছে অথচ বর্ননায় এমন কোন কিছু দেখাতে পারেনি যে পাকিস—ানি সৈন্যদের সংঘটিত অপরাধ সমূহ সরাসরি জামায়াত, ইসলামী ছাত্র সংঘ বা শান্তি কমিটি দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার বিবৃতিতে প্রতীয়মান দূর্বলতা ঢাকার জন্যই প্রসিকিউশন আইনের অপ-প্রয়োগ করে উক্তরূপ বিষয় জুডিশিয়াল নোটিশে নেয়ার প্রার্থনা করেছে। প্রমানের দায় এডানোর জন্যই এ প্রচেষ্টা।
     অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহের আইনগত, ঘটনাগত, যৌক্তিক কোন ভিত্তি নেই। তিনি কোন অপরাধ করেছেন- তা প্রমানের জন্য কোন নির্ভরযোগ্য স্যা প্রমান প্রসিকিউশনের দলিলাদিতে নেই। অনুমান, কথামালা, রচনা সমগ্র দিয়ে ফৌজদারী অপরাধের বিচার করা যায়না। কোন অপরাধের সহযোগী (এবেটর) হিসেবে প্রমানের জন্যও প্রসিকিউশনের হাতে কোন স্যা প্রমাণ নেই।    ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক পরিশেষে বলেন, প্রসিকিউশনের দাখিল করা ‘ফরমাল চার্জ আইনে কোন চার্জই নয়’ এটি কাল্পনিক, ভ্রমাÍক, ত্রুটিপূর্ণ। অতএব, তাঁর অব্যাহতির দরখাস— মঞ্জুর করে তাঁকে কথিত অপরাধ সমূহ থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক।


ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক অধ্যাপক গোলাম আযমের রাজনৈতিক জীবনের চিত্র তুলে ধরে বলেন,  তিনি  ১৯৪৮-৪৯ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর নির্বাচিত জিএস ছিলেন, সমগ্র ছাত্র সমাজের পে তিনি ২৭ নভেম¦র, ১৯৪৮ তারিখে পাকিস—ানের তৎকালীন প্রধানম¤ত্রীকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে স¥ারকলিপি প্রদান করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে জামায়াতে যোগদান করেন।

জন্মলগ্ন থেকেই জামায়াত গণতানি¤ত্রক রাজনৈতিক ধারার সমর্থক হিসেবে কাজ করছে। ১৯৬২ সালের জুলাই মাসে সামরিক শাসনের অবসানের পর পরই গণতাস্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত ও শিিক্তশালী করার জ্ঞ্য জামায়াত সমি¥লিত রাজনৈতিক শক্তি সৃষ্টির প্রয়াস চালায়।
অধ্যাপক গোলাম আযম পাকিস—ানের প্রেসিডেণ্টকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন লাভকারী দল আওয়ামী লীগের কাছে মতা অর্পনের অনুরোধ জানান ১৭ মার্চ ১৯৭১ সালে । জামায়াত এবং অধাাপক আযম পাকিস—ানী সৈন্যদের বর্বরতার প্রতিবাদ করেন। অধ্যাপক আযম টিক্কা খান এবং ইয়াহিয়া খানের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কথা বলেন।

ব্যারিষ্টার রাজ্জাক আরও বলেন, স¦াধীনতার পর সরকার অধ্যাপক আযমের নাগরিকত— বাতিল করলেও সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগে তা টেকেনি। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই আছেন। চল্লিল বছরে তাঁর বিরুদ্ধে কোন মামলা, এজাহার দায়ের করা হয়নি।

১৯৮৩ থেকে ১৯৯০  দীর্ঘ ৭ বৎসর জামায়াত দুটি রাজনৈতিক জোট (আওয়ামী লীগ নেতৃত¦াধীন ও বিএনপি নেতৃত¦াধীন) এর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণত¤—্র পূণরুদ্ধারের নে অবিস¥রনীয় ভূমিকা রাখে। এ আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনা, তোফায়েল আহমদ, আব্দুস সামাদ আজাদ, আমীর হোসেন আমু এবং অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতৃবর্গ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম¥দ মুজাহিদ, কামরুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে বিভিন্ন মিটিং এ আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন। ব্যাপক গণ আন্দোলনে ৬ ডিসেম¦র, ১৯৯০ তারিখে এরশাদ মিতা ছাড়তে বাধ্য হয়।

১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ১৮টি আসন লাভ করে। এটি ছিল সরকার গঠনের জন্য গুরুত¦পূর্ন একটি ফ্যাক্টর। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু'দলই সরকার গঠনে জামায়াতের সহায়তা চায়। আওয়ামী লীগের তৎকালীন একজন প্রেসিডিয়াম মেম¦ার (বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য) জামায়াতের পে সমন¦য়ক আলী আহসান মোহাম¥দ মুজাহিদ এর সাথে দেখা করে জানান- আওয়ামী লীগকে সমর্থন করলে ৩টি মন্ত্রনালয়  ও অর্ধ ডজন মহিলা আসন দেয়া হবে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারনী সভা মজলিশ-ই-শূরা দীর্ঘ আলোচনার পর আওয়ামী লীগের প্রস—াবে না বলার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। জামায়াতের সিদ্ধান্ত ক্রমেই বি.এন.পি কে সরকার গঠনে সমর্থন দেয়। তবে কোন ম¤—্রণালয় নেয়নি।

১৯৯১ সালের অক্টোবরে সাবেক প্রধান বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী অধ্যাপক গোলাম আযমের সাথে দেখা করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেণ্ট প্রার্থী হিসেবে জামায়েতের ভোট প্রার্থনা করেন। তবে জামায়াত বি.এন.পি. মনোনীত প্রেসিডেণ্ট প্রার্থী আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে সমর্থন দেয়।
২০০১ এর নির্বাচনে জামায়াত ১৭টি আসন লাভ করে। বি.এন.পি নেতৃত¦াধীন সরকারে জামায়াত দুটি ম¤ত্রণালয়ের দায়িত¦ লাভ করে।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন রাজাকার কোন সহায়ক বাহিনী নয়। সহায়ক বাহিনীর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে তারা সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত নিয়ন্ত্রিত  হবে । কিন্তু রাজাকার বাহিনী পরিচালিত হত পরিচালক কর্তৃক যিনি সরকারি কর্মকর্তা।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন