মেহেদী হাসান, ২৮/৪/২০১৪, সোমবার, ঢাকা।
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ যুক্তি পেশ শেষ করে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড দাবি করেন। এরপর আগামীকাল আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করার জন্য নির্ধারন করে ট্রাইব্যুনাল।
চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, অপহরন, নির্যাতন, লুন্ঠন এবং অগ্নিসংযোগের মত ১৪টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়।
আগের দিনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আজ সকালে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ১১, ১২.১৩ এবং ১৪ নং অভিযোগ বিষয়ে যুুক্তি পেশ শুরু করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের অপর আইনজীবী রেজিয়া সুলতানা চমন আসামী পক্ষের তিন সাক্ষীর বক্তব্য খন্ডন করে যুক্তি পেশ করেন। সবশেষে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আইনী বিষয় তুলে ধরে সাবমিশন রাখেন।
রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।
সুলতান মাহমুদ সিমন যুক্তি পেশের সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্য থেকে দেখা যায় আসামী নিজে কারো গায়ে হাত দেয়নি। নিজে কাউকে মারেনি। আসামী নিজ হাতে কাউকে মেরেছে এরকম অভিযোগ আছে?
সুলতন মাহমুদ সিমন বলেন, আছে।
১৪ নং অভিযোগ নাসিরউদ্দিন নামে একজনকে অপহরন এবং নির্যাতন বিষয়ে যুক্তি পেশের সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, অপহরনের সময় আসামী ছিলনা। অপহরনের অভিযোগ প্রমানিত নয়। ভিকটিম নিজেই বলেছে অপহরনের সময় আসামী ছিলনা। কিন্তু আমরা তো অপহরন বিষয়ে চার্জ গঠন করে ফেললাম। কোর্ট ভুল করতে পারে কিন্তু আপনারা তখন বললেননা কেন এ বিষয়ে? আপনারা তো মনে করেন একটা চার্জ গঠন করলেই হয়ে গেল। চার্জ প্রমান করতে হবেনা?
সুলতান মাহমুদ সিমন বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে।
এরপর আসামী পক্ষের তিন সাক্ষীর বক্তব্য খন্ডন করে রেজিয়া সুলতানা চমন যুক্তি পেশ করেন। এসময় ট্রাইবুনালের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। ট্রাইব্যুনাল বলেন, এ মামলায় আসামী পক্ষের দাবি কি? আসামী পক্ষের দাবি হল ডালিম হোটেল চালাত মতিউর রহমান ওরফে মইত্যা গুন্ডা । সে একজন রাজাকার। আসামী পক্ষের দাবি ডালিম হোটেল মীর কাসেম আলী চালাতনা। আসামী পক্ষ যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে তা দেখে এসেছেন? আসামী পক্ষের ডকুমেন্টে ডালিম হোটেলের যে বিবরন রয়েছে তা দেখেছেন?
এসময় নীরব থাকেন রেজিয়া সুলতানা চমন।
ট্রাইব্যুনালের আরো কিছু প্রশ্ন করার পর বলেন, আপনার আর্গুমেন্ট কি আমরা করে দেব? আপনার ফি তাহলে আমাদের দিয়ে দিয়ে দিয়েন।
এরপর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ যুক্তি পেশ করে বলেন, ডালিম হোটেল মীর কাসেম আলীর সিদ্ধান্ত এবং নেতৃত্বে পরিচালিত হত। কাজেই এখানে সংঘটিত সকল অপরাধের দায়ভার তার।
ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন করেন, পুরো সিস্টেম যে সে পরিচালনা করত তা কোথায় আছে? সাক্ষীদের বক্তব্যে এসেছে? অনেক সময় দেখা গেছে একজন ভিকটিম ধরে হোটেলে নিয়ে এসেছে তখন আসামী সেখানে উপস্থিত ছিলনা।
তুরিন আফরোজ বলেন, বিষয় হল সেখানে কোন সিস্টেম কাজ করেছে কি-না সেটা দেখা। যেহেতু মীর কাসেম আলীর সিদ্ধান্তে এবং নেতৃত্বে ডালিম হোটেল পরিচালিত হত তাই সব ঘটনার দায় তার ওপরই বর্তায়। মীর কাসেম আলী উপস্থিত থাকলে ধরে আনা লোকজনের ওপর নির্যাতন বেড়ে যেত। তারা দেখাত যে সবকিছু ঠিকমত চলছে, তারা ঠিকমত কাজ করছে।
তিনি বলেন, ডালিম হোটেলের নির্যাতনের যে চিত্র আমরা পাই তাতে এর সাথে সামন্যতম সম্পৃক্ত যেকোন ব্যক্তির সাজা হওয়া উচিত। আর মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে যেহেতু পরিচালিত হত তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করছি আমরা।
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ যুক্তি পেশ শেষ করে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদন্ড দাবি করেন। এরপর আগামীকাল আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করার জন্য নির্ধারন করে ট্রাইব্যুনাল।
চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, অপহরন, নির্যাতন, লুন্ঠন এবং অগ্নিসংযোগের মত ১৪টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়।
আগের দিনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আজ সকালে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ১১, ১২.১৩ এবং ১৪ নং অভিযোগ বিষয়ে যুুক্তি পেশ শুরু করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের অপর আইনজীবী রেজিয়া সুলতানা চমন আসামী পক্ষের তিন সাক্ষীর বক্তব্য খন্ডন করে যুক্তি পেশ করেন। সবশেষে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আইনী বিষয় তুলে ধরে সাবমিশন রাখেন।
রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়।
সুলতান মাহমুদ সিমন যুক্তি পেশের সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্য থেকে দেখা যায় আসামী নিজে কারো গায়ে হাত দেয়নি। নিজে কাউকে মারেনি। আসামী নিজ হাতে কাউকে মেরেছে এরকম অভিযোগ আছে?
সুলতন মাহমুদ সিমন বলেন, আছে।
১৪ নং অভিযোগ নাসিরউদ্দিন নামে একজনকে অপহরন এবং নির্যাতন বিষয়ে যুক্তি পেশের সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, অপহরনের সময় আসামী ছিলনা। অপহরনের অভিযোগ প্রমানিত নয়। ভিকটিম নিজেই বলেছে অপহরনের সময় আসামী ছিলনা। কিন্তু আমরা তো অপহরন বিষয়ে চার্জ গঠন করে ফেললাম। কোর্ট ভুল করতে পারে কিন্তু আপনারা তখন বললেননা কেন এ বিষয়ে? আপনারা তো মনে করেন একটা চার্জ গঠন করলেই হয়ে গেল। চার্জ প্রমান করতে হবেনা?
সুলতান মাহমুদ সিমন বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে।
এরপর আসামী পক্ষের তিন সাক্ষীর বক্তব্য খন্ডন করে রেজিয়া সুলতানা চমন যুক্তি পেশ করেন। এসময় ট্রাইবুনালের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। ট্রাইব্যুনাল বলেন, এ মামলায় আসামী পক্ষের দাবি কি? আসামী পক্ষের দাবি হল ডালিম হোটেল চালাত মতিউর রহমান ওরফে মইত্যা গুন্ডা । সে একজন রাজাকার। আসামী পক্ষের দাবি ডালিম হোটেল মীর কাসেম আলী চালাতনা। আসামী পক্ষ যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে তা দেখে এসেছেন? আসামী পক্ষের ডকুমেন্টে ডালিম হোটেলের যে বিবরন রয়েছে তা দেখেছেন?
এসময় নীরব থাকেন রেজিয়া সুলতানা চমন।
ট্রাইব্যুনালের আরো কিছু প্রশ্ন করার পর বলেন, আপনার আর্গুমেন্ট কি আমরা করে দেব? আপনার ফি তাহলে আমাদের দিয়ে দিয়ে দিয়েন।
এরপর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ যুক্তি পেশ করে বলেন, ডালিম হোটেল মীর কাসেম আলীর সিদ্ধান্ত এবং নেতৃত্বে পরিচালিত হত। কাজেই এখানে সংঘটিত সকল অপরাধের দায়ভার তার।
ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন করেন, পুরো সিস্টেম যে সে পরিচালনা করত তা কোথায় আছে? সাক্ষীদের বক্তব্যে এসেছে? অনেক সময় দেখা গেছে একজন ভিকটিম ধরে হোটেলে নিয়ে এসেছে তখন আসামী সেখানে উপস্থিত ছিলনা।
তুরিন আফরোজ বলেন, বিষয় হল সেখানে কোন সিস্টেম কাজ করেছে কি-না সেটা দেখা। যেহেতু মীর কাসেম আলীর সিদ্ধান্তে এবং নেতৃত্বে ডালিম হোটেল পরিচালিত হত তাই সব ঘটনার দায় তার ওপরই বর্তায়। মীর কাসেম আলী উপস্থিত থাকলে ধরে আনা লোকজনের ওপর নির্যাতন বেড়ে যেত। তারা দেখাত যে সবকিছু ঠিকমত চলছে, তারা ঠিকমত কাজ করছে।
তিনি বলেন, ডালিম হোটেলের নির্যাতনের যে চিত্র আমরা পাই তাতে এর সাথে সামন্যতম সম্পৃক্ত যেকোন ব্যক্তির সাজা হওয়া উচিত। আর মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে যেহেতু পরিচালিত হত তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করছি আমরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন