Pages

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মাওলানা সাঈদীর আপিল// সাক্ষী বিবেচনায় ট্রাইব্যুনালের ডাবল স্টাডার্ন্ড ভূমিকা -আইনজীবী

মেহেদী হাসান, ২৪/২/২০১৩
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আজ ১৯তম অভিযোগ তথা জোর করে হিন্দুদের ধর্মান্তরকরন বিষয়ে আসামী পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন।

অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে ১৯ নং অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে বলেন, মধুসূদন ঘরামী, কৃষ্ণ, অজিত কুমার শীল, বিপদ সাহা, গৌরাঙ্গ সাহা, ফকির দাস, হরিদাস, মহামায়া, অন্নরানী, কমলারানীসহ ১০০-১৫০ জন হিন্দুদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করানোর পর তাদেরকে তজবি টুপি জায়নামাজ দিয়ে মসজিদে  যেতে এবং নামাজ পড়তে বাধ্য করানোর অভিযোগে মাওলানা সাঈদীতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এসময় একজন বিচারপতি বলেন, আপনি যে ২০ জনের নাম আপনি পড়ে শোনালেন তাদের মধ্যে কয়জনকে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, এদের মধ্যে মধুসূদন ঘরামী এবং গৌরাঙ্গ সাহাকে সাক্ষী হিসেবে আনা হয়েছে। অজিত কুমার শীল সাক্ষী ছিল কিন্তু সে আসেনি এবং তার জবানবন্দী ১৯ (২) ধারায় গ্রহণ করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, ধর্মান্তরকরনের সময়কাল হিসেবে চার্জে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এদেরকে ধর্মান্তরকরন করা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষেরই দাবি যে, পাড়েরহাটে আর্মি আসে ১৯৭১ সালের ৭ মে। এরপর সেখানে রাজাকার, শান্তিকমিটি এবং পাক আর্মির অপকর্ম শুরু হয়। আর ধর্মান্তরকরন ঠিক কোন সময়ে হয়েছে সে বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট মাস বা সময় উল্লেখ নাই। কাজেই আসামীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ টেকেনা।

তিনি বলেন, ধর্মান্তরকরন বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের ২, ৩, ৪, ১৩ এবং ২৩ নং সাক্ষীর ওপর নির্ভর করা হয়েছে।

২ নং সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন বলেছেন, শান্তি কমিটির লোকেরা লুটপাট অগ্নিসংযোগ করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং ননীসাহা, মাখন সাহা, ডা. গণেশ চন্দ্র রায়, ডা. সতিশ চন্দ্র রায়, সুধীর চন্দ্র রায় গৌরাঙ্গসহ স্থানীয় অনেক হিন্দুকে জোর করে মুসলমান বানায়।

এসময় একজন বিচারপতি প্রশ্ন করেন যাদের বিরুদ্ধে জোর করে মুসলমান বানানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে এখন জীবিত আছে কারা। অ্যাডভোকে শাহজাহান বলেন, মোসলেম মাওলানা জীবিত আছে।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের ২ নং সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের ৯ নং সাক্ষী বলেছেন তিনি যুদ্ধের শুরুতে এলাকা ছেড়ে চলে যান এবং ১৮ ডিসেম্বর তিনি তাকে পাড়েরহাট প্রথম দেখেন। কাজেই যুদ্ধের সময় রুহুল আমিন নবিন এলাকায় ছিলনা এবং ধর্মান্তারকরনের বিষয়ে তার অভিযোগও টেকেনা।
রাষ্ট্রপক্ষের ৩ নং সাক্ষী মিজানুর রহমান তার জবানবন্দীতে বলেছেন কথিত সাঈদী ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের ধরে এনে জোরপূর্ব ধর্মান্তকরণ করেন।
জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় মুসলমান হওয়ার বিষয়ে তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেছিলেন কি-না। তিনি জবাব দেন স্মরন নেই । তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরায় প্রশ্ন করা হয় কথিত সাঈদী ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের ধরে এনে জোর করে ধর্মান্তরকরন করেন একথাটি আপনাকে সাক্ষী বলেছিল কি-না। তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তার নিকট সাক্ষী একথা বলেনি।
রাষ্ট্রপক্ষের ৪ নং সাক্ষী সুলতান আহমেদ হাওলাদার ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, ভানু সাহার বাপ ভাই সকলকে মুসলমান বানিয়ে তাদেরকে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য করে।
জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় ভানু সাহার বাপ-ভাই সকলকে মুসলমান বানানোর কথা তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছিলেন কি-না। জবাবে সে জানায় স্মরন নেই। তদন্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জেরায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাক্ষী সুলতান আহমেদ তার নিকট একথা বলেননি।

অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, ভানুসাহার বাপ এবং ভাইরা দেশে আছে। কিন্তু তাদের সাক্ষী করা হয়নি। ভানু সাহার তিন ভাইর মধ্যে দুইজন অসুস্থ। কিন্তু বড়ভাই রামসাহা সুস্থ  আছে। ভানুসাহার বাপ ভাইকে মুসলমান বানানোর অভিযোগ। কাজেই রামসাহাকে সাক্ষী করা হলেই তিনি এ বিষয়ে সবচেয়ে ভাল সাক্ষ্য দিতে পারতেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন রামসাহাকে এ বিষয়ে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি তাকে  সাক্ষী করেননি।
ট্রাইব্যুনালের রুলে বলা আছে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানের ভার রাষ্ট্রপক্ষের। এবং আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে সন্দোহীতভাবে অভিযোগ প্রমান করতে হবে।

এসময় একজন বিচারপতি বলেন, দুয়েকজন সাক্ষী না আনলেই কি বলা যাবে সন্দোহাতীতভাবে প্রমানিত হয়নি। যারা এসেছে তাদের সাক্ষ্য থেকে যদি প্রমানিত হয় তাহলে কি দোষী সাব্যস্ত করা যাবেনা?
অ্যাডভোকেট শাহাজহান বলেন, যারা এসেছে তাদের সাক্ষ্য থেকে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়নি।
এসময় একজন বিচারপতি বলেন, ৪০ বছর পরের ঘটনা। সবাই আসবে এটা আশা করা যায়না। সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়েও সমস্যা আছে।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, কিন্তু ভানু সাহার বাপ ভাই এ মামলায় ভাইটাল সাক্ষী হতে পারত।
তখন ওই বিচারপতি বলেন, এজন্যইতো ট্রাইব্যুনাল এ অভিযোগে সাজা উল্লেখ করেনি।

অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের চুতর্থ সাক্ষী সুলতান আহমেদের কলাচুরি মামলায় জজকোর্টে সাজা হয়েছে এবং এ মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া ট্রলার চুরির দায়ে আরো দুটি মামলা বরিশালে বিচারাধীন রয়েছে। এরকম সাক্ষীর ওপর নির্ভর করা হয়েছে অভিযোগ প্রমানের ক্ষেত্রে। এসময় একজন বিচারপতি বলেন, চুরির মামলায় সাজা হয়েছে কোথায় আছে দেখান। তখন অ্যাডভোকেট শাহাজান চুরির মামলায় সাজা হওয়া বিষয়ে  সাক্ষী সুলতান আহমেদের  জেরা থেকে এ বিষয়ে তারই স্বীকারোক্তি পড়ে শোনান আদালতে।
রাষ্ট্রপক্ষের ১৩ নং সাক্ষী গৌরাঙ্গ সাহা ট্রাইব্যুনালে বলেছেন পিরোজপুর থেকে তার তিন বোনকে বাসায় ফেরত পাঠানোর কিছুদিন পর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তার  মা বাবা ভাই বোন পরিবারের সবাইকে মুসলমান বানায়। মসজিদে নিয়া নামাজ পড়ায়। ‘এ লজ্জায় আমার মা বাবা ভাইবোন সবাই ভারতে চলে যায়। আমি একাই এদেশে    আসি। তারা আরো অনেক হিন্দুকে মুসলমান বানায়। একশ থেকে দেড়শ হবে। এর  মধ্যে কয়েকজন হল নারায়ন সাহা, নিখিল পাল, গৌরাঙ্গ পাল, সুনীল পাল। এদের  অনেকে ভারতে চলে গেছে। অনেকে মারা গেছে। আমাকে মুসলমান বানিয়ে নাম দেয় আব্দুল  গনি। হাতে তজবী টুপি দেয়। দেশ স্বাধীন হবার পর আমি আবার নিজ ধর্মে ফিরে  আসি।’


অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ১৯৭১ সালে সাক্ষীর বয়স ছিল ৭/৮ বছর। আর সাক্ষী বলেছেন তার তিন বোন ময়ামায়া, অন্নরানী এবং কমলারানী  তার ছোট ছিল। কাজেই এত ছোট মেয়েদের  ধর্মান্তারকরনের অভিযোগ টেকেনা। 
জেরায় তাকে প্রশ্ন করা হয় ‘আমার বোনেরা বাসায় আসার পর সবাইকে মুসলমান বানানো হয়..... তারা আরো অনেক হিন্দুকে মুসলমান বানায়। একশ থেকে দেড়শ হবে।’ একথাগুলো আপনি তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রদত্ত জবানবন্দীতে বলেননি। সাক্ষী বলেন বলেছি। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বোনেরা বাসায় আসার পর সবাইকে মুসলমান বানানো হয়..... তারা আরো অনেক হিন্দুকে মুসলমান বানায়’ একথাগুলো সাক্ষী তাকে বলেনি।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, সাক্ষী গৌরাঙ্গ সাহা তিন বছর আগে সরকারের তরফ থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি বরাদ্দ পেয়েছেন।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ৯ নং অভিযোগ যথা আব্দুল হালিম বাবুলের বাড়িতে লুটপাট এবং আগুন দেয়ার অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। এ অভিযোগ বিষয়ে সাক্ষী ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ নং সাক্ষী আবদুল হালিম বাবুল। অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন,  ট্রাইব্যুনাল রায়ে এ অভিযোগের পক্ষে আবদুল হালিমের সাক্ষ্য আমলে নেয়া হয়া হয়নি। তাকে অবিশ্বাস করা হয়েছে।  এ অভিযোগ থেকে খালাসের বিষয়ে রায়ে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে  তাতে আবদুল হালিম বাবুলের সাক্ষ্য নাকচ করা প্রসঙ্গে যুক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আবদুল হালিম বাবুলের জন্ম তারিখ ৬/৬/১৯৬০। ১৯৭১ সালে সে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল। কাজেই তখন তার পক্ষে সাঈদীকে চেনা সম্ভব ছিলনা।

আবদুল হালিমের বয়স কম হওয়ার কারনে  ৯ নং অভিযোগের ক্ষেত্রে তাকে অবিশ্বাস করল ট্রাইব্যুনাল। অপর দিকে আসামী পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপক্ষের ১৩ নং     সাক্ষী গৌরাঙ্গ সাহার বিষয়ে ডকুমেন্ট দিয়ে দেখানো হয়েছে যে জাতীয় পরিচয়পত্রে  তার জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৮/৭/১৯৬৩। সে হিসেবে ১৯৭১ সালে তার বয়স  দাড়ায় ৭/৮ বছর। কিন্তু মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৯ নং তথা ধর্মান্তরকরন অভিযোগ প্রমানের ক্ষেত্রে ৭/৮ বছর বয়স্ক গৌরাঙ্গ সাহার সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করা হয়েছে ।

তখন একজন বিচারপতি বলেন, এখানে তাহলে আপনার বক্তব্য হল ট্রাইব্যুনাল ডাবল স্টান্ডার্ড ভূমিকা পালন করেছে। একটি কোর্ট ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ভূমিকা পালন করতে পারেনা। আদালত বৈষম্য করতে পারেনা।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান উক্ত বিচারপতির মন্তব্য পুনরুক্তি করে বলেন, এটাই আমার বক্তব্য।

রাষ্ট্রপক্ষের ২৩ নং সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী বলেছেন, ‘কৃষ্ণসাহা, গনেশ আর আমি একদিন বাজারের মসজিদে বসে মুসলমান হই। দুই তিন পর কৃষ্ণসাহা মারা যায়। মুসলমান হয়েও বাঁচতে পারলনা। মুসলমান বানানোর পর আমার নাম হয় আলী আশরাফ আর গনেশের নাম হয় আলী আকবর।’

মুধুসূদন ঘরামীকে জেরায় প্রশ্ন করা হয় ‘ কৃষ্ণসাহা, গনেশ আর আমি একদিন বাজারের মসজিদে বসে মুসলমান হই.... মুসলমান বানানোর পর আমার নাম হয় আলী আশরাফ আর গনেশের নাম হয় আলী আকবর’ একথাগুলো আপনি তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেননি। সাক্ষী জবাব দেন স্মরন নেই। আর তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরায় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কৃষ্ণসাহা, গনেশ আর আমি একদিন বাজারের মসজিদে বসে মুসলমান হই.... মুসলমান বানানোর পর আমার নাম হয় আলী আশরাফ আর গনেশের নাম হয় আলী আকবর’ এ কথাগুলো সাক্ষী আমাকে বলেনি।

অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মুধসূদন ঘরামী বলেছেন, দেলোয়ার নামে একজন রাজাকার ছিল। সে পরে পরিচয় দিত দেলোয়ার শিকদার। এখন শুনছি সাঈদী আগে শুননিনি জবানবন্দী প্রদানের সময় দুই/তিনটি প্রশ্নের পর তিনি একথা বলেন। মধুসূদন ঘরামী বলেছেন রাজাকার দেলোয়ার শিকদারকে ১৯৭১ সালের পর মেরে ফেলা হয়েছে এবং তাকে পিরোজপুরে হত্যা করা হতে পারে।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, মাওলানা সাঈদীর নাম কখনো শিকদার ছিলনা। শিকদার নামে যে ছিল তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাকে যদি মেরে ফেলা না হত এবং সে যদি এখনো জীবিত থাকত এবং রাষ্ট্রপক্ষ যে দাবি করছে শিকার এখন সাঈদী নামে পরিচিত তাহলে এ দাবির  একটা অর্থ থাকত। কিন্তু শিকদার মারা গেছে। কাজেই দেলোয়ার শিকদার এবং দেলাওয়ার সাঈদী সম্পূর্ণ আলাদা দুজন ব্যক্তি এবং তাদের পিতার নামও আলাদা। এসময় একজন বিচারপতি বলেন, একথাটা আপনি আগেও কয়েকবার বলেছেন। আমাদের মনে আছে। আর বলার দরকার নেই।
এরপর শুনানী আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
শুনানীতে অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহানকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন