Pages

বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

দ্বিতীয় সাক্ষীর জেরা// মামলার আগেই জবানবন্দি রেকর্ড

মেহেদী হাসান, ১৮/১২/২০১১
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী  রুহুল আমিন নবিন স্বীকার করেছেন মামলার কার্যক্রম  শুরুর আগেই  তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা একে একটি অবিশ্বাস্য এবং  বিস্ময়কার ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাছাড়া সাক্ষী  তার জবানবন্দিতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ২১ বছর বলে উল্লেখ করলেও গতকাল জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন ঐ সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর ( জন্ম সনদ অনুযায়ী) ।

আজ   মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে  দ্বিতীয় সাক্ষীর জেরা শুরু হলে এ তথ্য বের হয়ে আসে।
মামলার বাদী  মাহবুবুল আলম হাওলাদার  ২০১০ সালের ২০ জুলাই মাসে  ট্রাইব্যুনালের কাছে দরখাস্ত করেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে। এরপরই তদন্ত শুরু হয় মামলা বিষয়ে । কিন্তু  আজ  দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল  আমিন নবিন জেরার সময় বলেছেন, ২০১০ সালের মার্চ মাসের দিকে  তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খানের কাছে তিনি জবানবন্দী দিয়েছেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেব।   মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের মতে সাক্ষীর  স্বীকারোক্তি অনুযায়ী  মামলা শুরুর আগেই তার  জবানবন্দী নেয়া   হয়েছে।  আবার  আইনজীবীদের জেরার সময় অন্য এক প্রশ্নের জবাবে  সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন  বলেছেন,  তিনি মামলা বিষয়ে জেনেছেন সাত আট মাস আগে। 

রুহুল আমিন নবিন জবানবন্দি বিষয়ে বলেন ২০১০ সালের মার্চ পাশে তদন্ত কর্মকর্তা পিরোজপুর গেলে তার সাথে পরিচয় হয় এবং তখনই তিনি জবানবন্দী দেন।

৮ ডিসেম্বর রুহুল আমিন নবিন  সাক্ষ্য দেয়ার সময়  ১৯৭১ সালে তার বয়স ২১ বছর উল্লেখ  করেণ।  আজকের  জেরায় স্বীকার করেছন ঐ সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর। তিনি  জেরার মুখে স্বীকার করেছেন  জন্ম সনদে তার জন্ম তারিখ লেখা আছে ৩০/১১/১৯৫৬। সে অনুযায়ী বর্তমানে তার বয়স দাড়ায় ৫৫ বছর।  ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরুর সময় তিনি সবেমাত্র ১৫ বছরে পা রাখেন।  তাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কোন সালে এসএসসি পাশ করেছেন। এর জবাবে তিনি বলেন সম্ভবত ১৯৭০ সালে। তখন তার বয়স হয় ১৪ বছর ।
এর আগে  প্রথম সাক্ষী  এবং মামলার বাদি মাহবুবুল আলম হাওলাদার ১৯৭১ সালে তার বয়স সার্টিফিকেট অনুযায়ী ১২ বছর  ছিল বলে স্বীকার করেছেন।
রুহুল আমিন নবিন নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স পাস দাবি করলে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী  প্রশ্ন করেন সার্টিফিকেট দেখাতে পারবেন কিনা ।  তখন তিনি বলেন তার কাছে সার্টিফিকেট নেই। সিডরের সময় নষ্ট হয়ে গেছে।

মুক্তিযোদ্ধা দাবিকারী রুহুল আমিন ননিব পিরোজপুর জেলার  একটি থানারও রাজাকার, আল বদর, পিস কমিটির  দায়িত্বরত নেতাদের নাম বলতে পারেননি। তিনি ২০০৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে অন্তর্ভুক্ত হন বলে জানান।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম এবং কফিলউদ্দিন খান সাক্ষী রুহুল আমিন নবিনকে জেরা করেন।

আইনজীবী: আপনার এলাকায় পাকিস্তান আর্মি আসার কতদিন পর পিস কমিটি গঠিত হয়?
সাক্ষী: সঠিক জানা নেই। সম্ভবত ২/১ দিন আগে গঠিত হয়েছে।
আইনজীবী: তথ: তখন  আপনি কোথায় ছিলেন?
সাক্ষী: পারেহাটে।
আইনজীবী: শান্তি কমিটি  কোন বাড়িতে বসে কার নেতৃত্বে গঠিত হয় সে বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত কোন ধারণা নেই?
সাক্ষী: না নেই।
আইনজীবী: মুক্তিযোদ্ধারা কবে পারেরহাট এলাকা ছেড়ে চলে যায়?
সাক্ষী: আমি ব্যক্তিগতভাবে ২১ জুন চলে যাই।
আইনজীবী: মুক্তিযোদ্ধারা কবে যায়?
সাক্ষী : আমি বলতে পারবনা।
আইনজীবী: শঙ্করপাশা ইউনিয়নে শান্তি কমিটি কবে গঠিত হয় বলতে পারবেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: প্রত্যাশী ইউনিয়নে?
সাক্ষী: বলতে পারবনা।
আইনজীবী: পারেরহাটে কবে গঠিত হয় তাও বলতে পারবেননা?
সাক্ষী:  তারিখ মনে নেই।
আইনজীবী: এ তিনটা ইউনিয়নে রাজাকার বাহিনী কবে গঠন হয় তাও বলতে পারবেননা?
সাক্ষী: সঠিক তারিখ বলতে পারবনা।
আইনজীবী: রাজাকার বাহিনী ছিল সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বাহিনী তা জানতেন?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: শংকর পাশা ইউনিয়নের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কে বলতে পারবেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: প্রত্যাশী ইউনিয়নের  শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের নাম?
সাক্ষী: বলতে পারবনা।
আইনজীবী: প্রত্যাশী ইউনিয়নের রাজাকার কমান্ডারের নাম?
সাক্ষী: বলতে পারবনা।
আইনজীবী: মোসলেম মাওলানা, দানেশ শিকদার, সেকেন্দার শিকদার, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তখন কেউ ছাত্র ছিলেননা।
সাক্ষী:  ছাত্র ছিলনা।
আইনজীবী: পারেরহাটে কি পরিমান রাজাকার ছিল?
সাক্ষী: ২০/২২ জন।
আইনজীবী: আপনি জবানবন্দিতে বলেছেন স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। পাঁচজন মাদ্রাসা ছাত্রের নাম বলতে পারবেন?

সাক্ষী: মো: মহসিন, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, আব্দুল হালিম, হালিম কারী। আর মনে নেই।
আইনজীবী: জবানবন্দিতে ছাত্র সংঘের সদস্যদের নিয়েও রাজাকার বাহিনী গঠন করার কথা বলেছেনে।।  পাঁচজন  ছাত্রসংঘের সদস্যদের নাম বলতে পারবেন যারা রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন?
সাক্ষী: রুহুল আমিন হাওলাদার,   দক্ষিন গাজীপুরের আরো একজন রুহুল আমিন, মোসলেহ উদ্দিন। আর মনে নেই।
আইনজীবী: আপনি বলেছেন খুলনা, কুষ্টিয়ায় যথাক্রমে গোলাম আযম এবং একেএম ইউসুফের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। এ খবর কিভাবে পেলেন?
সাক্ষী: লোকমুখে  এবং রেডিও মারফত।
আইনজীবী: তখন রেডিও শুনতেন?
সাক্ষী: মাঝে মাঝে।
আইনজীবী: পূর্ব পাকিস্তান শান্তি কমিটি কবে গঠন হয় বলতে পারবেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: শান্তি কমিটির সভাপতি ও আহবায়কের নাম বলতে পারবেন?
সাক্ষী:  আমার জানামতে গোলাম আযম।
আইনজীবী: তৎকালীন  পিরোজপুর মহকুমায় যেসব থানা ছিল তার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এবং রাজাকার কমান্ডার কারা ছিলেন বলতে পারবেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: আপনি রাজনীতি করেন?
সাক্ষী:  ঐভাবে না।
আইনজীবী: কবে রাজনীতি ছাড়লেন?
সাক্ষী: ১৩ বছর আগে।
আইনজীবী: আপনি ইন্দুরকানী  এলাকা নিয়ে গঠিত সাংগঠনিক থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  ছিলেন?
সাক্ষী:  সাক্ষী: ১৩ বছর আগে।
আইনজীবী: আপনি শেখ হাসিনা একাডেমী নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন?
সাক্ষী: জি।
আইনজীবী: স্কুল করার আগে এটি একটি কোচিং সেন্টার ছিল?
সাক্ষী: এক বছরের জন্য।
আইনজীবী: কোচিং সেন্টারের মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দেলোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: স্কুলের বর্তমান চেয়ারম্যান কে?
সাক্ষী: বর্তমান এমপি একেএমএ আওয়াল।
আইনজীবী: আপনি কি বর্তমানে স্কুল কমিটিতে আছেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী:    দেলোয়ার হোসেন চেয়ারম্যানকে আপনি জোর করে বের করে  দিয়ে আপনি  কোচিং সেন্টারটি দখল করেন?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: পিস কমিটির চেয়ারম্যান একরাম খলিফার ছেলে হচ্ছেন পিরোজপুর সদরের বর্তমান এমপি একেএমএ আউয়াল?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: দেলোয়ার হোসেনকে জোর করে বের করে দেয়ার কারনে বর্তমান এমপি  একেএমএ আউয়ালও আপনাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: ব্যক্তিগত জীবনে আপনি কি  কোথাও ভুল তথ্য দিয়েছেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: ভোটার লিস্ট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড এবং জন্ম সনদ ফরম আপনার স্বাক্ষরে পূরণ করা হয়েছে?
সাক্ষী: জি।
আইনজীবী: আপনার জন্ম সাল ৩/১১/১৯৫৬?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: তাহলে জন্মসাল কবে?
সাক্ষী: বলবোনা। আপনারা বের করে নেন।
 এ পর্যায়ে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে বলেন যে, আইনঅনুযায়ী তিনি জন্ম তারিখ বলতে বাধ্য। তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আপত্তি জানালে  আদালত বলেন, আমরা দেখছি। এরপর আদালতকে আইন থেকে রেফারেন্স দেখান মাওলান সাঈদীর আইনজীবী  এবং আদালত তা পরীক্ষা করে  সাক্ষীকে বলেন, আপনাকে জন্ম তারিখ বলতে  হবে।  তখন সাক্ষী বলেন, তার জন্ম তারিখ হল ৩০/১১/১৯৫৬।
আইনজীবী: ১৯৭১ সালে ১৮ ডিসেম্বর পারের হাট ফিরে আসার পর   স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, শান্তি কমিটির লোকজনকে গ্রেফতারে ব্যস্ত ছিলেন আপানরা?
সাক্ষী: জি।
আইনজীবী: এর নেতৃত্ব দেয় কে?
সাক্ষী: আমি নিজে।
আইনজীবী: তাদেরকে ধরে নিয়ে মেজর জিয়াউদ্দিনের সুন্দরবন  কিলিং স্কোয়াডে পাঠাতেন?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: স্বাধীনতা বিরোধী কাদের গ্রেফতার করা হবে তার কোন তালিকা কি তখন করেছিলেন?
সাক্ষী: জি।
আইনজীবী: সে তালিকা কি ডিসি অফিস, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, পুলিশ বা অন্য কোথাও  কখনো  জমা দিয়েছিলেন?
সাক্ষী: না। 
এ পর্যায়ে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা তার পড়াশুনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসবের উত্তর দিতে গিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের বছরকে ‘গন্ডগোলের’ সময় বলে উল্লেখ করেন।
আইনজীবী: আপনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদে কবে অন্তর্ভুক্ত হন?
সাক্ষী: সম্ভবত ২০০৫ সালে।
আইনজীবী: আপনি  জবানবন্দীতে বলেছেন ১৯৮৬ সালে মাওলানা সাঈদী পিরোজপুরে ওয়াজ মাহফিল করার জন্য মোকাররম হোসেন নামে একজন আপনার কাছে যান অনুমিত চাইতে। আপনি কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেননা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদেরও কোন নেতা ছিলেননা, পিরোজপুরের প্রশাসকও নন এবং কোন রাজনীতিবিদও নন। তাই আপনার কাছে অনুমতি চাওয়ার জন্য যাওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: মোসলেম মাওলানা কি জীবিত আছেন?
সাক্ষী: আছেন।
আইনজীবী: তিনি পিরোজপুর আওয়ামী লীগ ওলামা লীগের সভাপতি। এটা জেনেশুনে আপনি তার সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছেন। ( ৭ এবং ৮ ডিসেম্বর সাক্ষীর সময় মোসলেম মাওলানাকে পিরোজপুর পিস কমিটির অন্যতম নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তারাই পারেরহাটে পাক হানাদার বাহিনীকে অভ্যর্থনা জানায় এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যায় সহযোগিতা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলে উল্লেখ করা হয়। )
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী:  ১৯৯২ সালের গণআদালত সম্পর্কে কিছু জানেন?
সাক্ষী: না।
আইনজীবী: আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী পূর্ব থেকেই দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী নামে পরিচিত ছিলেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে তার নাম দেলোয়ার হোসেন শিকদার বলেছেন।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: এই মামলা সম্পর্কে কবে জানতে পারেন?
সাক্ষী: সাত আট মাস আগে।
আইনজীবী: খবর কে দিল?
সাক্ষী: মাহবুবুল আলম হাওলাদার।
আইনজীবী: তদন্ত কর্মকর্তার অনুরোধ সত্তেও মাহবুবুল আলম হাওলাদারের মামলায় এর আগে মেজিস্ট্রেট কোর্টে সাক্ষ্য দিতে  যাননি।
সাক্ষী: সত্য নয়:
আইনজীবী: বর্তমান মামলার  তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিনের সাথে পরিচয় কবে?
সাক্ষী: পারের হাট যাবার পর। তারিখ মনে নেই।
আইনজীবী: আনুমানিক কতদিন আগে?
সাক্ষী: ২০১০ সালে।
আইনজীবী: ২০১০ সালের প্রথম দিকে?
সাক্ষী: প্রথম দিকে, মার্চ মাসে।
আইনজীবী: ঐসময় জবানবন্দী দেননাই?
সাক্ষী: ঐসময়ই জবানবন্দি দিয়েছি।
আইনজীবী: আপনি এইচএসসি পাশ
সাক্ষী: সত্য নয়। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স পাশ করেছি।
আইনজীবী: অনার্সের সার্টিফিকেট দেখাতে পারবেন?
সাক্ষী: সার্টিফিকেট নাই। সিডরের সময় নষ্ট হয়েছে।
আইনজীবী: পারের হাট বাজারে রশদ কিনতে গিয়ে কতক্ষন ছিলেন?
সাক্ষী: ১০টা থেকে আনুমানিক একটা দেড়টা পর্যন্ত।
আইনজীবী: তখন পারের হাট রাজাকার ক্যাম্প, পাক বাহিনীর ক্যাম্পের ধারে কাছ দিয়েও কোন যুবক  হাটতনা।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: আপনি দীর্ঘ সময় বাজারে ছিলেন, আপনাকে কেউ দেখলনা?
সাক্ষী: না। একজন দেখেছিল।
আইনজীবী: পিরোজপুর মুক্ত হবার পর পারেরহাট পাক বাহিনীর ক্যাম্প দখল করা হয় মুক্তিযোদ্ধ খসরুর আলম, আপনার মামা আমিরুল ইসলাম এবং ডেপুটি কমান্ডার মোকাররম হোসেনের নেতৃত্বে?
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহ্নিত করেছিল।
সাক্ষী: সত্য নয়।
আইনজীবী: শাহ আবু জাফর, সৈয়দ আফজাল, দোলোয়ার হোসেন মল্লিক, আশফাক শিকদার, অ্যাডভোকেট শমশের আলীকে ৮ ডিসেম্বর গেফতার করা হয়?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: স্বাধীনতার পর পিরোজপুরে শত শত স্বাধীনতা বিরোধীদের নামে মামলা করা হয় হত্যা, ধর্ষণ লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগে । এ বিষয়ে জানা আছে?
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: এসব মামলায় কখনো দেলোয়ার হোসেন শিকদার নামে  কাইকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি এসব কোন মামলার আসামী ছিলেননা এবং তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগও আনেনি।
সাক্ষী: সত্য নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন