Pages

বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

মেহেদী হাসান,  ৭/১২/২০১১
 দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার বাদী  মাহবুবুল আলম হাওলাদার।  আজ ৭ ডিসেম্বর  বুধবার ২০১১, তিনি  মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রথম সাক্ষ্য দিলেন।
সাক্ষ্যদানের শুরুতে ট্রাইব্যুনাল সাক্ষীর নিরাপত্তার জন্য সাক্ষীর নাম, বয়স, ধর্ম এবং পেশা ছাড়া অন্য কোন পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরো করেন।

জবানবন্দী:
সাক্ষী মো: মাহবুবুল আলম হাওয়লাদার নিজের পরিচয়ে বলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। বয়স ৬০,। পেশা ব্যবসায়ী।
এরপর মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলতে থাকেন: 
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি নিজ বাড়িতে ছিলাম। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষন দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।  এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতর সংগ্রাম।’ তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা কর। এই ভাষনের পর সারা দেশে স্বাধীনতা প্রিয় মানুষ সকল বাঙ্গালী জাতি মুক্তিযুদ্ধের  জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইটের নামে  ঢাকাসহ সারিা দেশে হত্যা লুন্ঠন অগ্নি সংযোগ  করে এবং লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও হিন্দু  সম্প্রদায়কে হত্যা করতে থাকে। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাক হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন  বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। তারপর থেকেই ছাত্র  জনতা মুক্তিযুদ্ধের  পক্ষের  স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের  জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেণ। অনেকে মুক্তিযুদ্ধের  ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতের চলে যান। অনেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবে অস্ত্রগুলি সংগ্রহ করে গেরিলা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে  পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ  গড়ে তোলে। এবং প্রতিরোধ  অব্যাহত রেখে গেরিলা আক্রমন করে সারা  বাংলাদেশে  পাক  হানাদার বাহিনী হত্যা করে। পাক  হানাদার বাহিনী উপায়ান্ত না দেখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী গোলাম আযম, খুলনার এ কে এম ইউসুফ, পিরোজপুরের খান মো: আফজালসহ অনেককে নিয়ে পাক হানাদার বাহিনী সহযোগী বাহিনী শান্তি কমিটি গঠন করে। এই শান্তি কমিটির লোকেরা বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে  ইসলামীর নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন শান্তি কমিটি গঠন করে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের  লোকদের হত্যার জন্য। পরবর্তীতে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সেকেন্দার আলী শিকদার, দানেশ আলী মোল্লা, মোসলেহ উদ্দিন মাওলানা আজহার আলী তালুকদার, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মহসিন হোসেন, আব্দুল ফরিদ, হাবিবুর রহমান মুন্সি, হাকিম কাজীসহ আরো অনেককে নিয়ে  পারের হাট শান্তি কমিটি গঠন করে। এই শান্তি কমিটি স্থানীয় সদস্য মাওলানা মোসলেহউদ্দিন, দেলাওয়া হোসাইন বর্তমান সাঈদী, মহসিন, হাবিবুর রহমান মুন্সি, মোমিন হাওলাদার, হাকিম কাজীসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র এবং স্বাধীনতা বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী সহযোগী রাজাকার বাহিনী গঠন করে।
সহযোগী বাহিনীর মোসলেহ উদ্দিন মাওলানা, দেলাওয়ার হোসাইন বর্তমান সাঈদী, মহসিন, মোমিন হাওলাদার, সোবহান মাওলানা হাকিম কাজিসহ অনেক মাদ্রাসা ছাত্র স্বাধীনতা বিরোধী  কিছু লোক সমন্বয়ে পাক হানাদার বাহিনী সহযোগী বাহিনী হিসেবে রাজাকার বাহিনী গঠন করে।

মে মাসের প্রথম সপ্তায় পাক হানাদার বাহিনী পিরোজপুরে আসে। ৭ মে সকাল বেলা আমি নিজ বাড়িতেই ছিলাম। এবং লোকমুখে শুনতে পাই পাক হানাদার বাহিনী পারের হাট আসিতেছে  এবং পারের হাটের শান্তি কমিটির লোকেরা পারের হাট রিক্সা স্ট্যান্ডে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছে। আমি পারের হাটে যাইয়া  রিক্সা স্ট্যান্ডের আড়ালে থেকে  গোপনে লক্ষ্য করিতেছি পারেরর হাটের শান্তি কমিটির লোকের দাড়িয়ে আছে। কিছু পরে একেকটি রিক্সা করে ২৬টি রিক্সায় ৫২
জন পাক হানাদার বাহিনী রিক্সা স্ট্যান্ডে নামে। শান্তি কমিটির লোকেরা তাদের অভ্যর্থনা জানায়। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী উর্দুভাষা ভাল জানতেন বিধায় ক্যাপ্টেন ইজাজের সাথে কথা বলেন।  পরে বাজারের দিকে পাক হানাদার বাহিনী যেতে থাকে। শান্তি কমিটির লোকেরা বাজারের ভেতরের দিকে যায়।  মুক্তিযোদ্ধার পক্ষের আওয়ামী লীগ ও হিন্দু  সম্প্রদায়ের লোকদের দোকানঘর, বসতঘর ক্যাপ্টেন ইজাজকে দেখিয়ে দেয়। ক্যাপ্টেন ইজাজ লুটের নির্দেশ দেয়। লুটপাট শুরু হয়ে যায়। আমি অকুস্থল থেকে কিছু দূরে সরে যাই। পরে জানতে পারি ৩০ থেকে ৩১টি দোকান ঘরের মামামাল, বসতবাড়ি লুটপাট করে  সাঈদী সাহেবের নেতৃত্বে ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়। পারের হাটের বড় ব্যবসায়ী মাখন সাহার দোকান ঘরের মাটির নিচে একটি লোহার সিন্ধুক থেকে ২২ কোজি সোনা রূপা লুট করে। ক্যাপ্টেন ইজাজ তা নিজেই নিয়ে নেয়। এক ঘরে  এত সোনা পাওয়ায় ক্যাপ্টেন ইজাজ পারের হাটের নাম রাখেন সোনার পারেরর হাট। পারের হাটের উত্তর দিকে পুলের নিকট মদন সাহার দোকান ঘর, বসত ঘর দেলাওয়ার হোসাইন বর্তমান সাঈদী নিজের নেতৃত্বে লুটপাট করে। দোকান ও বসত ঘর ভেঙ্গে খালের পূর্ব পাশে শ্বশুর  বাড়ি নিয়ে যায়। পারের হাটের লোকেররা লুটপাটের মালামাল, সোনাসহ ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি পাসতহবিল গঠন করে। নগরবাসী সাহা, তারকাচন্দ্র  সাহা, বেনীমাধব সাহা প্রানের ভয়ে ভারতে চলে গেলে তাদের ঘরের মালামাল লুটপাট করে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নেতৃত্বে নগরবাসী সাহার ও পারের হাটের লুটের মালামাল নিয়ে গঠিত পাসতহবিলের মালালা নিজেই বেচাকেনা করে। এবং  আরো লুটের অর্থ এর সাথে যোগ করে বাড়াতে থাকে। এই টাকা দিয়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী খুলনা, ঢাকায় অট্টালিকা ও বহু সম্পদ গড়ে তোলে।
বাদুরা চিথলিয়া গ্রামে পরবর্তীতে মানিক পসারী ও তাদের ভাইদের বাড়িঘর লুটপাট করে ও অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। বাদুরা মুক্তিযোদ্ধা সেলিম খঅনের বাড়ি লুট করে অগ্নি সংযোগ করে  পুড়িয়ে দেয়। সেকেন্দার শিকদার, দাসেন আলী মোল্লার নেতৃত্বে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী  উর্দুভাষা ভাল জানতেন বিধায় ক্যাপ্টেন ইজাজের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পক গড়ে তোলে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী শর্ষিণা মাদ্রাসায় আলেম কাসে পড়াশুনাকালে জামায়াতের ছাত্র  রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ  প্রমানান্তে তাকে বহিষ্কার করে দেয়।
৭ মে লুটপাট ঘটনার পরে পাক বাহিনী পিস কমিটির সবাইকে নিয়ে পারের হাট রাজলক্ষ্মী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্প স্থাপন করে। সেখানে মদন সাহার বসতঘর দোকানঘর লুটপাট করে তার  শ্বশুর বাড়িতে রাখে। স্বাধীনতার পর আমিসহ আরো মুক্তিযোদ্ধারা মিলে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে সে বাড়ি উদ্ধার করে এনে মদনসহাকে ফিরিয়ে দেই।
আমি সুন্দরবন মুক্তিযোদ্ধা  ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পোগন সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলাম। ৯ নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিন  এবং একেএম আউয়াল আমাকে এই গোয়েন্দা  দায়িত্বে নিযুক্ত করেন।  পিরোজপুর জেলার সকল এলাকায়  শান্তি কমিটি নিয়ে  ধর্ষণ লুটাপাট, অগ্নিসংযোগ নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা, মুক্তিযোদ্ধা ও  মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হিন্দু সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মহিলাদের ধরে ধর্ষনের উদ্দেশে জেরাপূর্বক  পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে তুলে দেয়া হয়। সারা জেলায় এলাকায় এলাকায় আমি  গোয়েন্দা হিসেবে এসব অপরাধমূলক ঘটনা অবলোকন করি এবং সুন্দরবন মুক্তিযোদ্ধা  ক্যাম্পে সংবাদ দেই। পারের হাট ফকির দাসের বিল্ডিংয়ে রাজাকার ক্যাম্প গঠন করা হয় পাক বাহিনী ৭ মে এলাকায় আসার আগেই। 
২ জুন সকাল বেলা আমি নিজ বাড়িতে ছিলাম। স্বাক্ষী খলিলুর রহমান খুব ভোরে আমার বাড়ি এসে গোপনে জানিয়ে দেয় যে, আপনি এবং আপনার ঘরে যে আওয়ামী লীগ এর  নেতাকর্মী  এবং মুক্তিযোদ্ধারা আছে তাদের লিস্ট হয়েছে ধরার জন্য। আমি আমার ঘরে মুক্তিযোদ্ধা  ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের  আশ্রয় দিতাম  । আমি তাদেরকে অনেক দূরে নিয়ে রাখি। লোকদের কাছ থেকে জানতে পারি অনুমান সকাল ১০টায় পারের হাটের শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী দানশ আলী মোল্লা,

সেকেন্দার শিকদার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মোমিন হাওলাদার, হাকিম  কাজী, হাবিবুর রহমান মুন্সী  পাক হানাদার বাহিনী সঙ্গে নিয় উমেদপুর গ্রামে  আমার বাড়ির  নিকটস্থ হিন্দু পাড়ায় আক্রমণ চালিয়েছে। চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, জগৎ তালুকদার, বিশাবালী, শুকুরবালী, পনির মন্ডলসহ আরো
অনেকের ২৫/৩০টি ঘর লুটপাট করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। প্রায় ১৫ লক্ষ  টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
বিশাবালী অসুস্থ  থাকায় তাকে ধরে ফেলে এবং একটি নারিকেল গাছের সাথে বেঁেধ মারমিট করে। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নির্দেশক্রমে বলে যে, ওটাকে যখন পেয়েছি ওটাকে গুলি কর। জনৈক রাজাকার গুলি করে বিশাবালীকে হত্যা করে।
আমি এর একটু পূর্বে যখন জানি যে, আমার বাড়ির নিকটস্থ হিন্দু পাড়ায় আক্রমণ চালিয়েছে তখন আমি দণি দিক দিয়ে হিন্দু পাড়ার নিকটস্থ রাস্তার দক্ষিনে একটু দূরে ঝোপের পাশে আরো অনেককে দেখে আমিও সেখানে স্থান নেই। যখনই গুলি করে আমিসহ ওখানে আরো যারা ছিল মাহতাব তালুকদার, লতিফ হাওলাদার  আরো অনেকে ওখান থেকে দৌড়ে অন্যত্র দূরে আড়ালে স্থান নেই। অনুমান ১২টায় এ হিন্দু পারা থেকে শান্তি কমিটির লোক ও কিছু রাজাকার আমার নিজ বাড়ির দিকে যেতে দেখি এবং আমার বাড়ির ভেতর গিয়ে আমার ভাই আব্দুল মজিদকে  চাপ সৃষ্টি করে। আমাকে ও আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মী মুক্তিযোদ্ধাদের তাদের সামনে  হাজির করতে বলে। আমার ভাই অস্বীকার করলে তার ওপর অত্যাচার চালানো হয়। এক পর্যায়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে আলমিরা হতে ১০ ভরি ¯¦র্ণালঙ্কার নগদ ২০ হাজার টাকা, আমার মা যেখানে থাকত সেই ঘর থেকে দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল  এবং ঘরের আসবাবপত্র ফার্নিচার ভেঙ্গে চুরে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এরপর মাহবুবুল আলম বলেন, তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য পিরোজপুর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর রেডিও টেলিভিশনে খবরে জানতে পারি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি ন্যায্য বিচার পাওয়ার আশায় ট্রাইব্যুনালের প্রধানের বরাবরে গত বছর ২০ জুলাই অভিযোগ দাখিল করি। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই। এই আমার জবানবন্দি।’

সত্য স্বাক্ষ্য দিতে কিসের ভয়: মাহবুবুল আলম হাওলাদার সাক্ষ্যদানের  এক পর্যায়ে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত তিনজন ব্যক্তির নাম  উল্লেখ করে অভিযোগ করেণ যে, তাদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষী  নিরাপদ বোধ করছেননা। আদালত তখন জানতে চান তারা কারা। তখন তাদের নাম পড়ে শোনানো  হয়। আদালত তাদের দাড়ানোর জন্য নির্দেশ দিলে  উপস্থিত দুজন উঠে দাড়ান। আদালত তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদেরকে মাওলানা সাঈদীর আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। তখন আদালত তাদের অনুরোধ করেণ   স্বাক্ষীর নিরাপত্তার জন্য বাইরে চলে যেতে। এসময় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী  আদালতকে তার আত্মীয়দের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, মাননীয় আদালত এদের একজন আমার আপন শ্যালক। আরেকজন আমার বড় ভায়রার ছেলে।  তাদের দেখে যদি স্বাক্ষী ভয় পায় তাহলেতো  অন্য স্বাক্ষীরা বলবে আমার ছেলে এবং অন্যদের  এখানে দেখেও তারা ভয় পাচ্ছে।  তখনতো আমার কোন আত্ময়স্বজন আদালতে থাকতে পারবেনা। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তখন বলেন, না না এমনটি হবেনা। আমরা সেটি দেখব। মাওলানা সাঈদী তখন বলেন, সত্য স্বাক্ষ্য দিতে স্বাক্ষী ভয় পাবে কেন। সত্য স্বাক্ষী দিতে ভয় পাওয়া উচিত নয়। আল্লাহ স্বাক্ষীদের বলেছেন তোমরা সাহসের সাথে সত্য স্বাক্ষ্য দাও। আমি দোয়া করছি তিনি যেন সত্য স্বাক্ষ্য দিতে পারে।

আদালতে সবাই যাতে নির্বিচারে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য  ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ডেপুটি রেজিস্ট্রার ব্যারিস্টার মেজবাহ  উদ্দিনকে ডেকে পাঠান  এবং আদালতে প্রবেশে তারা কি নিয়ম পালন করছেন তা জানতে চান। বিচারপতি নিজামুলক বলেন, সবাইকে  আদালতে  প্রবেশ করতে দেয়া যাবেনা।  উভয় পক্ষের নির্দিষ্ট সংখ্যক আইনজীবী, কয়েকজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী, আসামী পক্ষের আত্মীয়স্বজন এবং সাংবাদিকদের পাশ  দিতে হবে। সাংবাদিকদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রনের  বিষয়টিও  ভবিষ্যতে দেখা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন