২/৪/২০১২
দৈনিক সংগ্রামের প্রকাশক, সম্পাদক, ফেনী সংবাদদাতা এবং ফেনি বারের ১২ জন আইনজীবীকে তলব করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবেনা সে মর্মে সশরীরে হাজির হয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল তাদেরকে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত “পুলিশকে দেয়া জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেনীর আইনজীবীগণ” শীর্ষক খবরের জন্য আদালত এ আদেশ দিলেন। দৈনিক সংগ্রামের তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ঐ রিপোর্টে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে দলীয় ট্রাইব্যুনাল আখ্যায়িত করেছেন ফেনী বারের ১২ জন আইনজীবী । বিবৃতিতে তারা বলেছেন “এই ট্রাইব্যুনালে কোন মানুষ ন্যায় বিচার পাবেনা।”
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অনুপস্থিত ১৫ জন সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী দিয়েছেন তা আদালত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করে ২৯ মার্চ আদেশ দিয়েছেন।
ফেনী বারের ১২ জন আইনজীবী এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এবং দৈনিক সংগ্রামের ফেনী সংবাদাতার বরাতে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে। বিবৃতিতে আইনজীবীগন বলেছেন, “সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী সাক্ষীকে আদালতে এসেই সাক্ষ্য দিতে হবে। আদালতে এসে না বলা পর্যন্ত কোন বক্তব্যই সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবেনা। এ ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে বলা কথা আইনের কাছে মূল্যহীন।” আইনজীবীগন পুলিশের কাছে সাক্ষীদের দেয়া বক্তব্যকেও মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আইনজীবীগন একই সাথে ১৫ জন সাক্ষীর বক্তব্যকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ না করে তা প্রত্যাখ্যান এবং দলীয় ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে বন্দী জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি করেছেন।
গতকাল একটার দিকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। এর আনুমানিক ১৫ মিনিট পরে আবার কোর্ট বসে এবং তখন ট্রাইব্যুনাল সংগ্রাম বিষয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ বিষয়ক আদেশ দেন। দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতে হাজির হয়ে লিখিত আকারে কারণ ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুলক হক দৈনিক সংগ্রামের উক্ত প্রতিবেদনের কিছু অংশ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, আমরা আগে বলেছি ট্রাইব্যুনালের আদেশের সমালোচনা করা যাবে। ভুলও বের করা যাবে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে সাধারন মানুষের মনে ভুল ধারণা জন্মায় এমন কিছু করা যাবেনা। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালকে দলীয় আখ্যায়িত করেছেন তারা। বিষয়টি আদালত অবমাননার শামীল। (এস্টাবলিশেস এ প্রাইমাফেসি কেস ফর কনটেম্পট) । ১৬ এপ্রিল তাদের সকলকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত আকারে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে কেন ট্রাইব্যুনাল আইনের ১১.৪ ধারা মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবেনা।
সংগ্রাম অফিসে সরাসরি এবং ফেনী আইনজীবীদের ফেনী জেলা পুলিশ প্রধানের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসময় আদালতে উপস্থিত ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবিরকে লক্ষ্য করে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সরি, আমাদের এ ধরনের আদেশ দিতে হল।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিবৃতিটি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এসেছে। তাদের ভাল করে জানা উচিত ছিল যে, ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য নয়।
আইনজীবীদের কাছ থেকে এ ধরনের বিবৃতি আসায় বিচারপতি নিজামুল হক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “এ পার্টিসান ট্রাইব্যুনাল”? (দলীয় ট্রাইব্যুনাল?)
ফেনী জেলার যে ১২ জন আইনজীবীর যৌথ বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে সংগ্রামে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে তারা হলেন, সফিউল আলম, নুরুল ইসলাম বাচ্চু, মাঈনুদ্দীন, মোতাছিম বিল্লাহম গোলাম সরোয়ার, বেলায়েত হোসেন, কামাল উদ্দিন, আমিনুল হক ভুট্টো, এমদাদুল হক, আব্দুল কাইউম, মো: হাসান।
দৈনিক সংগ্রামের প্রকাশক, সম্পাদক, ফেনী সংবাদদাতা এবং ফেনি বারের ১২ জন আইনজীবীকে তলব করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবেনা সে মর্মে সশরীরে হাজির হয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল তাদেরকে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত “পুলিশকে দেয়া জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেনীর আইনজীবীগণ” শীর্ষক খবরের জন্য আদালত এ আদেশ দিলেন। দৈনিক সংগ্রামের তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ঐ রিপোর্টে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে দলীয় ট্রাইব্যুনাল আখ্যায়িত করেছেন ফেনী বারের ১২ জন আইনজীবী । বিবৃতিতে তারা বলেছেন “এই ট্রাইব্যুনালে কোন মানুষ ন্যায় বিচার পাবেনা।”
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অনুপস্থিত ১৫ জন সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী দিয়েছেন তা আদালত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করে ২৯ মার্চ আদেশ দিয়েছেন।
ফেনী বারের ১২ জন আইনজীবী এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এবং দৈনিক সংগ্রামের ফেনী সংবাদাতার বরাতে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে। বিবৃতিতে আইনজীবীগন বলেছেন, “সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী সাক্ষীকে আদালতে এসেই সাক্ষ্য দিতে হবে। আদালতে এসে না বলা পর্যন্ত কোন বক্তব্যই সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবেনা। এ ক্ষেত্রে পুলিশের কাছে বলা কথা আইনের কাছে মূল্যহীন।” আইনজীবীগন পুলিশের কাছে সাক্ষীদের দেয়া বক্তব্যকেও মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আইনজীবীগন একই সাথে ১৫ জন সাক্ষীর বক্তব্যকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ না করে তা প্রত্যাখ্যান এবং দলীয় ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে বন্দী জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি করেছেন।
গতকাল একটার দিকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। এর আনুমানিক ১৫ মিনিট পরে আবার কোর্ট বসে এবং তখন ট্রাইব্যুনাল সংগ্রাম বিষয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ বিষয়ক আদেশ দেন। দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতে হাজির হয়ে লিখিত আকারে কারণ ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুলক হক দৈনিক সংগ্রামের উক্ত প্রতিবেদনের কিছু অংশ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, আমরা আগে বলেছি ট্রাইব্যুনালের আদেশের সমালোচনা করা যাবে। ভুলও বের করা যাবে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে সাধারন মানুষের মনে ভুল ধারণা জন্মায় এমন কিছু করা যাবেনা। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালকে দলীয় আখ্যায়িত করেছেন তারা। বিষয়টি আদালত অবমাননার শামীল। (এস্টাবলিশেস এ প্রাইমাফেসি কেস ফর কনটেম্পট) । ১৬ এপ্রিল তাদের সকলকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত আকারে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে কেন ট্রাইব্যুনাল আইনের ১১.৪ ধারা মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবেনা।
সংগ্রাম অফিসে সরাসরি এবং ফেনী আইনজীবীদের ফেনী জেলা পুলিশ প্রধানের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসময় আদালতে উপস্থিত ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবিরকে লক্ষ্য করে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সরি, আমাদের এ ধরনের আদেশ দিতে হল।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিবৃতিটি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এসেছে। তাদের ভাল করে জানা উচিত ছিল যে, ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য আইন প্রযোজ্য নয়।
আইনজীবীদের কাছ থেকে এ ধরনের বিবৃতি আসায় বিচারপতি নিজামুল হক বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “এ পার্টিসান ট্রাইব্যুনাল”? (দলীয় ট্রাইব্যুনাল?)
ফেনী জেলার যে ১২ জন আইনজীবীর যৌথ বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে সংগ্রামে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে তারা হলেন, সফিউল আলম, নুরুল ইসলাম বাচ্চু, মাঈনুদ্দীন, মোতাছিম বিল্লাহম গোলাম সরোয়ার, বেলায়েত হোসেন, কামাল উদ্দিন, আমিনুল হক ভুট্টো, এমদাদুল হক, আব্দুল কাইউম, মো: হাসান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন