Pages

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩

অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত

৯/১/২০১৩
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে  মামলায় তার ছেলে সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ১১টি সেশন তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন। এসময়  ২৪৬ট ডকুমেন্ট প্রর্দশন করেছেন। এসব ডকুমেন্টের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন  বই পুস্তক, দলিলপত্র; রাজাকার, শান্তিকমিটি বিষয়ক বিভিন্ন গেজেট, আদেশ, অফিসিয়াল চিঠিপত্র, ১৯৭১ সালের বিভিন্ন পত্রপত্রিকার নিউজ, ১৯৭১ নিয়ে বর্তমান সময়ে প্রকাশিত গবেষনামূলক খবরাদি প্রভৃতি। আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর সাক্ষ্য আজই  শেষ হয়ে যেত। তবে তার উপ¯া’পিত কিছু ডকুমেন্ট অস্পষ্ট থাকায় সেগুলো পুনরায় দাখিলের জন্য আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে মামলার কার্যক্রম।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে সাক্ষ্য  প্রদানে সহায়তা করেন। অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সহকারি এটর্নি জেনারেল গিয়াসউদ্দিন আহমেদ মিঠু, অ্যাডভোকেট শিশির মো: মনির।

রাষ্ট্রপক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
ট্রাইব্যুনাল সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক গতকাল বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।


১৯-১১-২০১২ ইং জবানবন্দী শুরু ঃ
আজকে আমার জবানবন্দীতে গতকালের প্রদত্ত সাক্ষ্যের একটি তথ্য সম্পর্কে কিছু স্পষ্টিকরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। আমি গতকাল ৫টি মার্শাল ল’ এর কথা বলেছিলাম। প্রকৃতপক্ষে ১৯৫৮, ১৯৭৫ এবং ১৯৮২ এর মার্শাল ল ছাড়া ১৯৬৯ এবং ১৯৭১ কে দুটি পৃথক মার্শাল ল’ হিসাবে চিহ্নিত করেছি। কোন অবস্থাতেই ১/১১ খ্যাত সামরিক বাহিনী সমর্থিত বেসামরিক সরকারকে সামরিক শাসন বুঝাই নি। উল্লেখ্য সামরিক বাহিনী সমর্থিত বে-সামরিক সরকারের সময়ও এদেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদগণ গ্রেফতার হয়েছিলেন। আমার সা: স্বা: সংক্রান্ত বক্তব্য শেষ করার পূর্বে সা: শা: সময় সা: স: গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে আমি কিছু কথা বলতে চাই এভং আমার ব্যক্তিগত অভিমতের আলোকে দুই একটি উদাহরন দিতে চাই। সব সময়ই সামরিক শাসকগণ দেশের কর্তৃত্ব গ্রহন করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট ৯ মাধ্যমে সকল প্রকার সরকারি ও বেসরকারী প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া সকল মাধ্যমের উপায় বিশেষ করে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রন আরোপ করে থাকেন। এই নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হল (১) সামরিক শাসনের সমালোচনা হতে বিরত রাখা, (২) সামরিক শাসন কর্মকান্ডের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকা, (৩) সামরিক সরকারের স্বার্থের পরিপন্থী কোন সংবাদ প্রচার করে গণমাধ্যম যেন সাধারণ জনগনের মাঝে সামরিক সরকারের ব্যাপার বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে না পারে। ১৯৭১ সালে সামরিক সরকার গণমাধ্যমের উপর গেজেট .............মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে কঠোর নিয়ন্ত্রন আরোপ করেছি। একি রকমভাবে ১৯৮২ সালে মার্শাল ল’ এর পরেও গণমাধ্যমের উপর সামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রন আরোপ করে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। সেই নিয়ন্ত্রনের আলোকে ১৯৮২/৮৩ সালে আমি বাংলাদেশ টেলিভিশন বা বি,টি,ভি এবং তৎকালীন রেডিও বাংলাদেশ আমার দায়িত্ব পালন কালীন গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রনের কাজ সম্পন্ন করেছি। এই দায়িত্ব সমূহ আমি ২ লে:/লে: পদবীতে হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। একজন .........অফিসার হিসাবে এ সকল কর্মকান্ডে আমি আসার সুপিরিয়র অফিসার বা কমান্ডার এর সরাসরি নির্দেশে সম্পন্ন করেছি। এখানে সুপিরিয়র অফিসার এর কমান্ডার বলতে আমি বিভিœ স্তরের এবং বিভিন্ন পদবীর জৈষ্ঠ সামরিক অফিসারকে বুঝিয়েছি। কেননা সামরিক শাসনের সময় সুপিরিয়র অফিসার বা কমান্ডার সব সময় সামরিক কর্মকর্তা হন। কোন অবস্থাতেই সুপিরিয়র অফিসার বা কমান্ডার বলতে কোন বেসামরিক ব্যক্তিকে বুঝায় না।
এখন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রনের আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় দু/একটি উদাহরন দিতে চাই। এ প্রসঙ্গে প্রথমে বলতে চাই তখন কোন বেসরকারী টেলিভিশন বা রেডিও চ্যানেল ছিল না। প্রাথমিক পর্যায় আমি টেলিভিশন ডিউটি পালন করি। আমার ডিউটির অন্তর্ভূক্ত ছিল (১) কোন লাইভ অনুষ্ঠান হলে সেখানে বসে থেকে দেখা এবং শূণ্য যেন ঐ অনুষ্ঠানে সামরিক সরকার স্বার্থের পরিপন্থী কোন বক্তব্য না যায়, (২) যে কোন নাটক বা বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান হলে সেখানে স্ব-শরীরে উপস্থিত থেকে একইরুপভাবে নিয়নিস্ত্রত করা যেন ঐ অনুষ্ঠানে রেকডিংয়ের মাধ্যমে সামরিক সরকার বিরোধী কোন বক্তব্য প্রচার না হয়, (৩) দৈনিক টেলিভিশন কি কি অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে তা লিখিত আকারে টেলিভিশন অফিসের প্রোগ্রামিং অফিসার (তখন টেলিভিশন প্রোগ্রামিং অফিসার ছিলেন বাংলার একজন স্বনামধন্য সংবাদ সরদার ফিরোজ উদ্দিন, ডিনি এখন একটি বেসরকারী টেলিভিশনের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা) আমার কাছে নিয়ে আসতেন। আমার দায়িত্ব ছিল প্রতিটি লাইন ও প্রতিটি শব্দ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ে সেটাতে অনুমোদন করে স্বাক্ষর দেওয়া। যদি কোন অনুষ্ঠান সামরিক সরকার স্বার্থের পরিপন্থী হতো বলে আমার ধারনা হতো তখন আমি আর্কাইভে গিয়ে নিজে দেখে নিতাম। তাতেও যদি সন্তুষ্ট না হতাম তখন আমি আমার সুপিরিয়র অফিসার বা আমার কমান্ডারের নিকট এ ........তুলে ধরতাম। তিনি ঐ অনুষ্ঠানটি পরিবর্তন করার জন্য নির্দেশ দিলে আমি সে অনুযায়ী প্রোগ্রামিং অফিসারকে নির্দেশ দিতাম এবং নতুন করে তিনি দিনের প্রোগাম তৈরি করে নিয়ে আসলে আমি পূনরায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ে অনুমোদন করে স্বাক্ষর করতাম। (৪) সংবাদ প্রচারের পরে সংবাদ পাঠক স্বয়ং রিডিং স্ক্রিপ্ট নিয়ে সংবাদ প্রচারের কয়েক ঘন্টা পূর্বে আমার অফিসে আসতেন। আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ে প্রতি পৃষ্ঠার উপরে এবং নীচে স্বাক্ষর করে তা অনুমোদন করতাম। সংবাদের ক্ষেত্রে সন্দেহজনক কোন কিছু আমার চোখে ধরা পড়লে আমি পূর্বের ন্যায় একি প্রক্রিয়া অনুসরন করতাম। যদি কোন অনুমোদিত কিন্তু স্পর্শকাতর বিষয় সেদিনের সংবাদে প্রচারের জন্য থাকত থাহলে আমি স্বয়ং সংবাদ পাঠকের পাশের কক্ষে যেখান থেকে সংবাদ পত্র নিয়ন্ত্রন করা হয় সেখানে গিয়ে যতক্ষন সংবাদ পাঠ করা শেষ না হয় ততক্ষন বসে থাকতাম। পরবর্তীকালে আমি যখন রেডিও ডিউটি দেই তখনও প্রায় একই ধরনের নিয়ন্ত্রন আমরা নিশ্চিত করতাম। দেশে যেহেতু তখন পর্যন্ত টেলিভিশনের তুলনায় রেডিওর প্রচলন বেশি ছিল সেহেতু রেডিও সংবাদের ব্যাপারে আমরা আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতাম। এ প্রসঙ্গে একটি .....উদাহরন দিয়ে আমি আমার মার্শাল ল সংক্রান্ত বক্তব্য শেষ করতে চাই। ১৯৮৩ সালের কোন এক সময় তৎকালীন সম্ভবত যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক সামরিক সরকারের প্রশাসক, যার নাম ছিল জ.অ.গ এড়ষধস গঁশঃধফরৎ সংবাদ পাঠক সংবাদ পাঠ করার সময় ভূলক্রমে ” এর পরিবর্তে পাঠ করেন। তার অনিচ্ছাকৃত রাম গোলাম মুক্তদির। ভুলের জন্য উর্দ্ধন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংবাদ প্রচার শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাকে সাসপেন্ড করা হয়।
এবারে আমি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক, ভারতের সাথে অন্যান্য প্রতিবেশ দেশ সমূহের ........., ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের পটভুমি ইত্যাদি নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। ইতিহাস শুধু অতীত নয় ইতিহাস ভবিষ্যতও। ইতহাস আমাদের শিক্ষা দেয় কোনটি সঠিক এবং কোনটি সঠিক নয়। এজন্য এই মামলার সঠিক বিবেচনায় এই উপমহাদেশের ইতিহাস আলোচনা করা অত্যাবশ্যকীয়। আমি ডিফেন্স --------এ মাস্টার্স করার সময় এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজে এম ফিল করার সময় আমার এই বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ অধ্যয়ন ও গবেষনা করার সুযোগ হয়েছে। আমার অধ্যয়ন ও গবেষণার আলোকে আমি ঐতিহাসিক কিছু বর্ণনা দিচ্ছি।
ইন্ডিয়ান কংগ্রেস এর নেতৃবৃন্দগণ কখনোই চাননি ভারতবর্ষ বিভক্ত হোক। এ বিষয়ে ভারতীয় বুদ্ধিজীবী সাহিত্যিক সাংবাদিকগণের অনেক বই এবং আর্টিকেল প্রকাশও প্রচার হয়েছে। ভারতের বুদ্ধিজীবী .........চোধুরী, ... জওহার নেহেরুকে উদ্ধৃতি করে বলেছেন ভারত বর্ষকে বিভাগ করতে হলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। আমি এক ইঞ্চি পাকিস্তানও দেখতে চাই না। ভারতীয় বিখ্যাত সাহিত্যিক বিমলা.... শাসনামলে মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃতি করে বলেছেন ভারত কে বিভাগ করা মানের ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। কংগ্রেসের সভাপতি আচার্য কৃপালিনী ভারত বর্ষ বিভাগের বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিলেন। অর্থাৎ এদেশে বৃটিশ রুপের সমাপ্তি লগ্নে ভারতীয় এবং কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সমগ্র ভারত বর্ষকে তাদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে চেয়েছিলেন। এটি এক ঐতিহাসিক সত্য। যেহেতু তৎকালীন পূর্ব বাংলার ( যা বর্তমানে বাংলা ভুখন্ড নামে পরিচিত) মুসলমানগণ বুঝতে পেরেছিল যে, ভারতবর্ষ বিভক্ত না হলে পূর্ব বঙ্গের মুসলিম ভারতীয় কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দের প্রজা হিসেবে বাস করতে হবে সেজন্যই এদেশের অধিকাংশ মুসলমানদের ভোটেই মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাস ভুমির ব্যপারে বৃটিশ সরকার অনুমোদন দেয়। এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে আমি ১৯৫৫ সালের বঙ্গভঙ্গ এবং ১৯১১ সালের বঙ্গভঙ্গ রদের বিষয়ে কিছু বলছি। মুসলমানদের উন্নতির জন্য তৎকালীন বৃটিশ সরকার পূর্ব বঙ্গকে আলাদা প্রদেশের মর্যাদা দেয়। মুসলমানদের আলাদা মর্যাদা ভারতীয় নেতাগণ মেনে নিতে না পারার কারণে সর্বভারতীয় বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন হয়। এরই ফলে ১৯১১ সালে ভারতীয় বিশেস করে কংগ্রেস নেতৃবর্গ .......বৃটিশ সরকার ১৯১১ সালে এই বঙ্গভঙ্গ রদ করেন। ঠিক এর পর পরই বৃটিশ সরকার যখন মুসলমানদের জন্য আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নেয় তখন কেউ কেউ এমন মন্তব্য করে যে, “চাষাভুষাদের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় কি প্রয়োজন এসমস্ত ঐতিহাসিক সত্যকে সামনে রেখে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, কংগ্রেস তখন ভারতীয় নেতৃবৃন্দ এই অঞ্চলে নিজেদের কর্তৃত্ব ও প্রভুত্ব বজায় রাখার জন্য সব সময় তৎপর ছিলেন। এই পটভুমিকায় ১৯৪৭ সালে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্থাৎ ভারত এবং পাকিস্তান জন্ম লাভ করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর হতে ভারত তাদের উপনিবেশক বা সম্প্রসারনবাদী মনোভাবের বহি:প্রকাশ ঘটায়। স্বাধীনতার পরপরই তারা ............যেগুলো স্বাধীন ছিল এগুলো করায়ত্ত করে। এরপর নজর দেয় হায়দারাবাদের দিকে। ১৯৪৮ সালে ......ফেব্রুয়ারী মাসেই ভারত হায়দারাবাদ দখলের পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে পন্ডিত নেহেরু বলেছেন, “যখন এবং যেভাবে প্রয়োজন মনে করত হায়দারাবাদ দখল করব”। পন্ডিত নেহেরুর এ ধরনের বক্তব্যকে তৎকালীন বৃটিশ প্রধান স্যার উইলিয়াম চার্চিল দাম্ভিব উক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে ১৯৪৮ সালের ৩০ জুলাই ইংল্যান্ডের হাউস অব কমার্স- এ বলেন যে, “পন্ডিত নেহেরুর এই আগ্রাসী বক্তব্য হিটলার কর্তৃক অস্ট্রিয়া দখলের পূর্বে যে রুপ উক্তি করা হয়েছিল সেই রুপ”। ১৯৪৮ সালে কায়েদে আজমের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরে ১৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে ভারত হায়দারাবাদ দখল করে। হায়দারাবাদ তখন স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল, তাদের নিজস্ব পতাকা ছিল এবং জাতিসংঘে তাদের প্রতিনিধি ছিল। কিন্তু তারপর ভারতের এই সম্প্রসারনতার কাজ থেমে থাকেনি। ভারতীয় বুদ্ধিজীবী নিরোধ চৌধুরী বলেছেন যে, “১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত ভারত তিনবার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান দখলের পরিকল্পনা করেছিল।” তিনি আরো বলেছেন যে, “....প্রকাশ পরায়ন সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান দখলের জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন”। এ ধরনের অসংখ্য বর্ণনা ইতিহাসে রয়েছে যেগুলো ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক লেখনীর মাধ্যমে বেরিয়ে এসছে।
(ঋরহরংযবফ ধঃ ৪.০৪)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন