Pages

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

বিচারপতি নিজামুল হক বিচার ব্যবস্থার মুখে কালিমা লেপন করেছেন-শুনানীতে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

১/১/২০১২
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নতুন করে বিচার শুরুর আবেদনের ওপর শুনানী শেষ হয়েছে আজ।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কেলেঙ্করির জের ধরে জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, বর্তমান আমির  মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার নতুন করে শুরু করার আবেদন করা হয়েছিল আসামী পক্ষ থেকে। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে এ বিষয়ে শুনানী শুরু হয়। উভয় পক্ষের যুক্তি পাল্টা যুক্তি গতকাল শেষ হয়েছে।

বিচারপতি নিজামুল হক বিচার ব্যবস্থার মুখে কালিমা লেপন করেছেন :
আজ  শেষ দিনের মত শুনানীতে অংশ নিয়ে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক এ বিচার  নিয়ে যা করেছেন তার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মুখে কালিমা লেপন  করেছেন। বিচার বিভাগের মর্যাদা এবং সম্মানকে তিনি ধ্বংস করে দিয়েছেন । তার কারনে সাধারন মানুসের কাছে বিচার বিভাগের গ্রহনযোগ্যতা আজ সর্বনিম্ম পর্যায়ে  চলে গেছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুবিচারের যে পবিত্র ঝর্নাধারা তাকে তিনি অপবিত্র করেছেন। সুবিচারের সরল সোজা পথকে তিনি ওলট পালট করে দিয়ে গেছেন।   ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক  এভাবে বিচারকে কলুষিত এবং কলঙ্কিত করার পরও তার রেখে যাওয়া কাজের দায় দায়িত্ব আপনারা কেন নেবেন?

অধ্যাপক গোলাম  আযমের মামলার  চার্জগঠনের ড্রাফট বেলজিয়াম থেকে পাঠানো হয়েছে এবং হুবহু কপি করে তা বসিয়ে দিয়ে চার্জ গঠন আদেশ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার  আব্দুর রাজ্জাক  বলেন, বিভিন্ন তারিখে মোট ছয়টি ড্রাফট এসেছে চার্জ গঠন বিষয়ে বেলজিয়াম থেকে।
২০১১ সালের ১০ ডিসেম্বর ৬৮ পৃষ্ঠার, ১২ ডিসেম্বর  ৯৮ ও  ৬২ পৃষ্ঠার দুটি ড্রাফট, ১৯ ডিসেম্বর ২৩ পৃষ্ঠার, ২০ ডিসেম্বর ৮২ পৃষ্ঠার এবং ২৩ ডিসেম্বর ১০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট পাঠানো হয় চার্জ গঠন বিষয়ে। সর্বশেষ ১০ পৃষ্ঠার যে ডকুমেন্ট পাঠানো হয় সেটি চার্জ গঠনের কাঠামো বিষয়ে।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় চার্জগঠন বিষয়ে রিভিউ আবেদন করেছিলাম।  ১৮  জুন ২০১১ তা খারিজ করা হয়। ১৬  জুন বেলজিয়াম থেকে এ বিষয়ে আদেশ আসে।
গোলাম  আযমের মামলা দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তারের আবেদন খারিজ করে ১৮ জুন আদেশ দেন। এ বিষয়ক আদেশের ড্রাফট ১৫ জুন বেলজিয়াম থেকে আসে।
১৬ অক্টোবর স্কাইপ সংলাপে আমাদের দুজন বিদেশী সাক্ষী নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। সে আলোচনা বিচারপতি নিজামুল হক বললেন আমাদের আবেদন তিনি খারিজ করে দেবেন। ১৮ অক্টোবর তিনি খারিজ করে আদেশ দিলেন। ৫  অক্টোবর স্কাইপ সংলাপে আমাদের সাক্ষী সীমিত করা বিষয়ে তারা দুজনে আলোচনা করলেন। আলোচনায় বললেন সাক্ষী সীমিত করা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে আবেদন করতে বলবেন। ৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষী সীমিত করার দাবি জানিয়ে আবেদন করা হয়।
এভাবে বিচারের সবকিছ্ইু বেলজিয়াম থেকে ড. আহেমদ জিয়া উদ্দিন পাঠিয়েছেন এবং বিচারপতি নিজামুল হক তা পড়ে শুনিয়েছেন মাত্র।
আসামী পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে   উপস্থিত ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

 ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক শুনানী গ্রহণ করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন